শনিবার ১৯ এপ্রিল, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

গরম পড়তেই বাতানুকূল যন্ত্রটি চালু হয়ে গিয়েছে। অসহনীয় রোদ থেকেই বাড়ি ফিরেই এসি চালিয়ে ঠান্ডায় গা এলিয়ে দিয়েই শান্তি।
অনেকের বাড়িতেই এই প্যাচপেচে গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি চলছে। কারও কারও তো, গরমকালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি না চললে রাতে ঘুমতেই পারেন না। কিন্তু আরাম হচ্ছে ঠিকই, এতে শারীর খারাপ হচ্ছে না তো? কারণ নাক দিয়ে জল পড়া, নাক বন্ধ, গলা বসে যাওয়া, গলা ব্যথা, অ্যালার্জির সমস্যাও দিন দিন বাড়ছে। তা হলে কি এর থেকে বাঁচতে কোনও উপায় আছে? গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি চালিয়েও কীভাবে ভালো থাকা যায়? চিন্তা নেই, উপায় আছে।
 

কেন টানা এসি ঘরে থাকলে শরীর খারাপ হয়?

এসি চালালে খানিক শরীর খারাপ হয়েই থাকে। বাইরে তাপমাত্রার পারদ যখন ৪০ ছুঁইছুঁই, তখন এসি চালিয়ে ঘরের তাপমাত্রা ২৩ বা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই রাখা হচ্ছে। এর পরেও একটানা বেশি ক্ষণ এসি চললে বা এসি ঘরে থাকলে সর্দি-কাশি, গলাব্যথা প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কারও কারও মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। এর মূল কারণ হচ্ছে, আপনার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি ঘরের তাপমাত্রা কমানোর সঙ্গে সঙ্গে
সেখানকার আর্দ্রতাকেও শুষে নিচ্ছে।

আরও পড়ুন:

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৫৪: গ্রীষ্মকালে আলাস্কা সত্যিই অচেনা এক দেশ

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৯৩: মা সারদার সঙ্গে সরলাদেবীর কাশীভ্রমণ

আসলে আমরা বুঝতে পারছি না, আপনার এসি যন্ত্রটি কিন্তু ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় যে পরিমাণ আর্দ্রতা থাকা উচিত, তার অনেকটাই কমিয়ে দিচ্ছে। ফলস্বরূপ ঘরের তাপমাত্রার পারদের সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতার সমতা থাকছে না। ঘরের আবহাওয়া বেশ শুষ্ক হয়ে যায়। আর এই সব কারণেই হাঁচি-কাশি, গলা ব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা বাড়ছে। মাইগ্রেন বা সাইনাস থাকলে তো সাবধান হতেই হবে। কারণ ঘরের তাপমাত্রার পারদের সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতার সমতা না থাকায় এই সমস্যা বেড়ে যায়। শরীরে জলের অভাবও হতে পারে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি আমাদের শরীরকে ভিতর থেকে শুষ্ক করে দেয়। মনে রাখতে হবে, এমন সময় আমাদের জল তেষ্টা না পেলেও কিন্তু শরীরে জলের চাহিদা থাকে। সে কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না করলে পেশির টান ধরার সম্ভাবনা থাকে। বেশ ক্লান্তিবোধ হয়।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৬: পরাগপাখি

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১১১: বিপদ যখন আসে

জানলে ভালো, শুষ্ক আবহাওয়ায় কিন্তু জীবাণুদের বেশ বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। ফলে ‘অ্যালার্জিক রাইনিটিস’-এর সমস্যার প্রবণতা বেড়ে যায়। এরকম ক্ষেত্রে চোখ জ্বালা করতে পারে, ড্রাই আইজ বা শুষ্ক চোখের সমস্যাও হতে পারে। হাঁচি শুরু হলে থামতে চায় না। সেই সঙ্গে শুকনো কাশি হলেও বেশ ভোগাবে।
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১০৯: আধুনিক যুগে দাবানলের ফলে বনদহনের সঙ্গে খাণ্ডব বনদহনের সাদৃশ্য আছে কী?

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৫৪: গ্রীষ্মকালে আলাস্কা সত্যিই অচেনা এক দেশ

 

তাহলে বাঁচার উপায়?

এই সব সমস্যা থেকে বাঁচে হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে ঘরে রাখুন হিউমিডিফায়ার নামক যন্ত্রটিও। দামও খুব বেশি নয়, হিউমিডিফায়ার ৩০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। বহু কোম্পানি এই হিউমিডিফায়ার তৈরি করে। এই যন্ত্রটি চালিয়ে রাখলে ঘরের ভিতর আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা করবে। ঘরের ভিতরের বাতাসও হবে বিশুদ্ধ। সুধু তাই নয়, ঘরে হিউমিডিফায়ার চালু রাখলে অক্সিজেনযুক্ত বাতাসের জোগানও বাড়ে। আপনার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি যে পরিমাণ আর্দ্রতা টেনে নেয়, হিউমিডিফায়ার তার সমপরিমাণ অক্সিজেনযুক্ত বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দিতে পারে।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৯: সে এক স্বপ্নের ‘চাওয়া পাওয়া’

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৭৬: পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, যাঁর জীবনের আকাশে কখনও শত্রুতার মেঘ জমেনি

এসির সঙ্গে হিউমিডিফায়ার যন্ত্রটিও চালিয়ে রাখার সুবিধা হল, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, অ্যালার্জি, গলা ব্যথার সমস্যা আর বাড়বে না। বাড়ির ছোটরাও থাকবে সুস্থ। এ প্রসঙ্গে পালমোনোলজিস্ট ভিভেক নানজিয়া বক্তব্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটির কারণে আমাদের শ্বাসনালির পথ শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবে আমাদের হাঁপানির সমস্যা বাড়তে থাকে। আবার যাঁদের সিওপিডি বা হাঁপানির মতো সমস্যা আছে, তাঁরাও যদি ঘরে হিউমিডিফায়ার যন্ত্রটি রাখা যায়, তা হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা এড়ানো সম্ভাব হবে। সুরক্ষিত থাকবেন গলা, নাক ও ফুসফুসের সংক্রমণ থেকেও।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’ -এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content