রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

অনেকেই পেটের মেদ কমাতে খাওয়াদাওয়ায় সবার আগে আগে রাশ টেনে দেন। আর দ্রুত রোগা হওয়ার তাড়া থাকলে তো প্রায় দিনই উপবাস শুরু করে দেন কেউ কেউ। পুষ্টিবিদদের আপত্তি ঠিক এখানেই। এ প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদদের একাংশের বক্তব্য, উপবাস করে বা না খেয়ে থেকে ওজন ঝরানো সম্ভব নয়। উল্টে পরিমিত এবং সময় মতো পুষ্টিকর খাবার খেলেই তাড়াতাড়ি ওজন ঝরানো সম্ভব হবে। ভুঁড়ি কমানোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কারণ পেটের মেদ ঝরাতে কিছু খাবার একসঙ্গেই খাওয়া প্রয়োজন। তা হলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সুফল মিলবে।
 

শাকসব্জি আর ডালিয়া

ডালিয়ার খিচুড়ি রাঁধুন হরেক রকম শাকসব্জি দিয়ে। এই খাবার স্বাদ এবং স্বাস্থ্যগুণ দু’ক্ষেত্রেই অনন্য। ডালিয়ায় থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন এবং ফাইবার শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সত্যিই অসাধারণ কাজ করে। আবার ওজন কমাতে শাকসব্জির ভূমিকা তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপরি পাওনা হল, ডালিয়ার খিচুড়ি হজমেও সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৫: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— নোনা শাক ও নোনা ঝাঁজি

মুভি রিভিউ: ‘বাবলি’ স্বর্ণযুগের বাংলা ছবির মতো রোম্যান্সে ভরপুর

 

বাদাম এবং গ্রিন টি

সন্ধেবেলায় গ্রিন টি-এর সঙ্গে বাদাম খাওয়া যেতে পারে। গ্রিন টি হল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার। ফলে আমাদের বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে। আর বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন থাকায় ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই সব খাবার একসঙ্গে খেলে আমারদের মধ্যপ্রদেশ অল্প কয়েক দিনের মধ্যে কমে যাবে।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৯: ভারতের বিপ্লবী মেয়েরা এবং অন্তরে রবীন্দ্রনাথ

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫২: পুলক রাখিতে নারি (কেল)

 

পালং শাক ও মুগ ডাল

মেদ ঝরাতে ডাল খুবই উপকারী। তবে ডাল হিসাবে মুগই বেশি কার্যকরী বলে পুষ্টিবিদরা মনে করেন। মুগ ডালে আছে ফাইবার, প্রোটিনের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান। এই ডালের সঙ্গে যদি মিনারেলসে ভরপুরে পালংশাক খান, তা হলে পেটের মেদ ঝরবে তাড়াতাড়ি। ভুঁড়ি কমাতে মুগ ডালের সঙ্গে পালংয়ের জুটিতে ভরসা রাখতেই পারেন।


Skip to content