রোজকার জীবনযাত্রায় নানা অনিয়ম আমাদের গ্যাস-অম্বলের সমস্যা ক্রমশ বাড়িয়ে তোলে। নিয়ম মেনে খাবার না খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান না করা, বাইরের খাবার খাওয়া, অনেকক্ষণ খালিপেটে থাকার অভ্যাস— এ সব কারণেই অনেকেরই গ্যাসের সমস্যা নিত্যদিনের হয়ে উঠছে।
মনে রাখতে হবে, সুস্থ থাকতে হলে আমাদের শুধু বাইরে থেকে নয়, দেহের ভিতরেরও যত্ন নিতে হবে। দিনের পর দিন গ্যাস-অম্বলকে গুরত্ব না দিলে পরবর্তী কালে বড় সমস্যা দেখে দিতে পারে। আমরা অনেক সময়ই গ্যাস হলে একটা ওষুধ খেয়ে নিই। এতে হয় তো সাময়িক ভাবে সমস্যার হয়। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধানে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি যোগাসনের উপর। এই যোগাসনগুলি নিয়ম মেনে করলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব। কোন কোন যোগাসনে কী লাভ হবে, রইল হদিস।
বজ্রাসন
● হাঁটু ভেঙে পায়ের পাতা মুড়ে গোড়ালি ফাঁক করে তার অপর নিতম্ব রেখে বসুন। হাঁটু দুটি পাশাপাশি জোড়া থাকবে। শিরদাঁড়া সোজা থাকবে। দু’ হাত দু’ হাঁটুর ওপর থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ৩০ সেকেন্ড থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে দু’ মিনিট করুন। প্রত্যহ নিয়ম মেনে বজ্রাসন করলে বশে থাকবে গ্যাসের সমস্যা।
বালাসন
● এই আসনটি গ্যাসের সমস্যা দূর করতে নিয়ম করলে উপকার পাবেন। বালাসন করার সময় প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। এর পরে প্রণাম করার ভঙ্গিতে হাত দু’টি একসঙ্গে জড়ো করে সামনের দিকে ঝুঁকুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে থাকুন। কিছু ক্ষণ এ ভাবে বসার পর উঠে বসুন। রোজ দিন নিয়ম মেনে বালাসন করলে গ্যাসের সমস্যা কমবে।
পশ্চিমোত্তানাসন
● চিত হয়ে শুয়ে দু’ হাত তুলে মাথার দু’ পাশে ওপরের দিকে রাখুন। আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’ হাত দিয়ে জোড়া পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। কপাল দুটি পায়ের মাঝখানে ঠেকান এবং বুক ও পেট ঊরুতে লাগান। খেয়াল রাখবেন, হাঁটু যেন ভাঁজ না হয়। এ অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে মনে মনে ১০ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে ৩০ গুনুন। পূর্বের অবস্থায় এসে হাত মাথার পাশ থেকে নামিয়ে শবাসনে বিশ্রাম নিন। প্রতিদিন দিন নিয়ম মেনে অন্তত তিন বার পশ্চিমোত্তানাসন করলে গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই কমবে।