‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও’— রং শুকনো হোক বা তরল, ভেষজ হোক বা রাসায়নিক দেওয়া— দোলের দিন আনন্দে সবাই একে অপরের গায়ে লাগাবেই। এখনকার দিনে বাজারে যে সমস্ত রং পাওয়া যায় তাতে যা রাসায়নিক মেশানো থাকে, তাতে ত্বকের সমস্যা হতে বাধ্য।
যাঁদের ত্বক বেশি স্পর্শকাতর তাঁদের সমস্যা আরও বেশি। রং লাগার পরে ত্বকে আস্তে আস্তে দেখা দেয় র্যা শ-ফুস্কুড়ি। এমনকি ত্বক জ্বালাও করতে পারে। তাই দোলে যদি রং খেলতেই হয়, তার আগে থেকেই ত্বকের যত্ন নেওয়া ভালো। দোলের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এমন কিছু প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না, যাতে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক মেশানো আছে। সেগুলি কী কী, জেনে রাখা ভালো।
কী কী প্রসাধনী মাখা বন্ধ করবেন?
ফেসওয়াশ বা সাবান দিয়ে মুখ ধোয়া যাবে না
● অনেকেই নিয়মিত ফেসওয়াশ দিয়ে ঘষে ঘষে মুখ পরিষ্কার করেন। দোলের কিছু দিন আগে থেকে ফেসওয়াশের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। সাবান দিয়ে একেবারেই মুখ পরিষ্কার করবেন না। সাবানের ক্ষার ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে দেয়। এমনকি ত্বকের পিএইচের ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়। বরং পরিষ্কার জলে মুখ ধোয়া ভালো। পরিবর্তে অ্যালো ভেরা বা ভেষজ কোনও তেল বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
স্ক্রাবিং মানা
● দোকান থেকে কেনা স্ক্রাবারের ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বক খুব শুকিয়ে থাকবে, তার উপরে রঙের রাসায়নিক লাগলেই ত্বকে জ্বালা, র্যা শ হতে শুরু করে দিতে পারে। দোলের আগে এমন কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না যাতে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আছে। এগুলি ত্বককে আরও স্পর্শকাতর করে তোলে।
ব্লিচ করা যাবে না
● দোলের আগে কখনোই ব্লিচ করবেন না। ব্লিচের মধ্যে রয়েছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এবং অ্যামোনিয়ার মতো রাসায়নিক। যেগুলি ত্বকে প্রদাহজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। রেটিনল বা রেটিনয়িক অ্যাসিড আছে এমন ক্রিম বা প্রসাধনী মুখে একদমই লাগাবেন না। এমনকি, দোলের আগের দিন খুব বেশি ভিটামিন সি দেওয়া প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না।
অ্যালকোহল দেওয়া প্রসাধনী নয়
● এমন কোনও টোনার বা ক্লিনজার ব্যবহার করবেন না যাতে অ্যালকোহল মেশানো আছে। দেখে নেবেন টোনারে ইথানল, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল মেশানো আছে কি না। তেমন টোনার দোলের আগে মুখে কখনোই লাগাবেন না। বদলে গোলাপজল দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। কাঁচা দুধ বা দুধের সর দিয়ে মুখ ধুলেও উপকার পাবেন। এতে ত্বকের কালচে দাগ উঠে যাবে সহজেই।
গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম
‘সময় আপডেটস’ -এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com