ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
সকালে ব্যস্ত সময়ে রান্নার তাড়া থাকে প্রত্যেক বাড়িতেই। অফিস বেরোনোর আগে খাবার তৈরি করার তাড়ায় নিঃশ্বাস ফেলার সময় হয় না কারওর। রান্নাঘরে থাকে তুমুল ব্যস্ততা। এমন সময়ে যদি দেখেন বেসিনে জল যাচ্ছে না। উপরন্তু বেসিনের উপরে থাকা থালা, বাসন সব জলে ভাসছে। তাহলে আপনার মাথা গরম হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। তাই এই ধরনের সমস্যা যাতে না হয়, সেইজন্য আগে থেকে সতর্ক থাকুন। বেসিনের পাইপ সবসময় পরিষ্কার রাখুন। বেসিনের মুখে যেন চুল জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বেসিনে জল আটকে যায় অনেক কারণেই। তবে বেসিনে জল আটকে গেলেও ঘরোয়া পদ্ধতিতে পাইপ পরিষ্কার করে সেই আটকে যাওয়া জল বের করা সম্ভব। কীভাবে, তা জেনে নিন।
১. বেসিনের পাইপ পরিষ্কার করুন লেবু দিয়ে
আপনি ঘরে থাকা পাতিলেবু দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন বেসিন। যেকোনও জায়গা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে পাতিলেবুর কোনও বিকল্প নেই। এটি প্রাকৃতিক অ্যাসিড হিসাবে কাজ করে। তাই লেবুর রস দিয়ে বেসিন পরিষ্কার করলে দেখবেন বেসিন একেবারে ঝকঝকে হয়ে গেছে। বেসিনের ময়লা উধাও হবে লেবুর রসে।
২. নুন, বেকিং সোডা, ভিনিগার আর গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করুন বেসিনের পাইপ
বেসিনের জল আটকে যাওয়ার মতো সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে বেসিনের পাশাপাশি নিয়মিত পাইপ পরিষ্কার রাখাটাও অত্যন্ত জরুরি। তার জন্য লোক লাগিয়ে পাইপ পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই। ঘরোয়া পদ্ধতিতেও পাইপ পরিষ্কার করা যেতে পারে। এর জন্য লাগবে নুন, বেকিং সোডা, ভিনিগার আর গরম জল। প্রথমে বেসিনের পাইপের মুখে আধ কাপ মতো নুন ঢেলে দিন। তারপর দু’লিটার মতো জল ফুটতে দিন। জল ফুটে গেলে তাতে সাবানগুঁড়ো মিশিয়ে ওই জল ধীরে ধীরে পাইপে ঢালুন। ফলে সেই সময় নুনের সঙ্গে অর্ধেক ময়লা ধুয়ে যাবে। এরপর পাইপের মুখে আধ কাপ মতো বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। তারপর ১৫ মিনিট ওইভাবেই রেখে দিন। এরপর পাইপের মুখে ওই বেকিং সোডার উপর ছড়িয়ে দিন এক কাপ ভিনিগার। এতে বাকি যা ময়লা থাকার কথা, সেটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৩. অলিভওয়েল দিয়ে বেসিন পরিষ্কার করুন
দীর্ঘদিন ধরে বাসন মাজার কারণে বেসিনে দাগ লেগেছে প্রচুর। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না? কোনও চিন্তা নেই। বেসিনে লেগে যাওয়া এই দাগ মুছে স্বচ্ছ ঝকঝকে বেসিন করতে হলে ব্যবহার করুন অলিভওয়েল। তবে মনে রাখবেন, তেল দিয়ে বেসিন পরিষ্কার করার পর টিস্যু পেপার দিয়ে বেসিন ভালো করে মুছে নেবেন। কিন্তু জল দেবেন না।
বেসিনে জল আটকে গেলে কী কী করবেন, এতক্ষণ তা জেনে নিলেন। এবার আপনার বড়ির বেসিনে জল আটকানোর আগেই সতর্ক হয়ে যান। কীভাবে সতর্ক হবেন জেনে নিন।
১. চা পাতা এবং ডিমের খোসা বেসিনে ফেলা যাবে না?
ব্যস্ত সময়ে বেসিনে জল আটকে গেলে স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ গরম হয়ে যায় আপনার। তাই এই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই যাতে বেসিনে জল জমতে না পারে সেইদিকে বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন। অনেকেই চা পাতা, ডিমের খোসা বেসিনের মধ্যে ফেলেন। ডিমের খোসা সাধারণ গুঁড়ো করে বেসিনে ফেলেন অনেকে। কিন্তু ডিমের খোসা যত ছোট টুকরোই করে ফেলুন না কেন, বেসিনের পাইপে তা আটকে যাবেই। তাই ডিমের খোসা বেসিনে না ফেলে ঘরে রাখা ডাস্টবিনে ফেলুন। বেসিনে চায়ের পাতা ফেললেও জল আটকে যেতে পারে। প্রতিদিন চায়ের পাতা একটু একটু করে জমে গিয়ে জল বেরোনোর মুখটাই বন্ধ করে দেয়। ফলে বেসিনে জল আটকে যায়। তাই চায়ের পাতা বেসিনে ফেলার অভ্যাসটাও এবার বদলে ফেলুন।
২. তরল ওষুধ বেসিনে ফেলবেন না
তরল ওষুধ বেসিনে ফেলবেন না। যদি অল্প ওষুধ বেসিনে পড়েও যায় তাহলে বেশি করে জল দিয়ে তা ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। কারণ তরল ওষুধ বেসিনের পাইপে খুব তাড়াতাড়ি জমে যায়। যার কারণে বেসিনে জল আটকে যেতে পারে।
৩. বেসিনে ভাত ফেলবেন না
বেসিনে ভাত একেবারেই ফেলবেন না। কারণ দিনের পর দিন ভাত জমতে জমতে দলা পাকিয়ে যায়। ভাত ফেলে বেসিন ধুয়ে দিলেও পাইপে গিয়ে সেগুলি আটকে যায়। ফলে জল যাওয়ার পথে বাধা পায়।
৪. ময়দা বা আটাও ফেলবেন না
ভাতের মতো ময়দা বা আটাও বেসিনে ফেললে দলা পাকিয়ে যায়। জল ঢাললে বেসিন থেকে সেগুলি চলে গেলে পাইপে গিয়ে আটকে যায়। যার কারণে ওই পাইপ দিয়ে আর জল যেতে চায় না। তাই বেসিনে আটা, ময়দা, ভাত কোনও কিছুই ফেলবে না।
৫. বেসিনে চুল জমতে দেবেন না
বেসিনে চুল ফেলার মতো বদভ্যাসও অনেকের রয়েছে। মনে রাখবেন, চুল জলে নষ্ট হয় না। তাই দিনের পর দিন চুল জমে গিয়ে পাইপের মুখে একটি জালের সৃষ্টি করে। যেখানে অন্যান্য আবর্জনা জমে যায়, ফলে ওই জায়গা দিয়ে জল বেরোতে পারে না। বাথরুমের জালিতেও এই একই সমস্যা হতে পারে। তাই ভুল করেও আর বেসিনে চুল ফেলবেন না। বাথরুমেও ফেলবেন না চুল। এগুলো ফেলার জন্য বাড়িতে ব্যবহার করুন ডাস্টবিন।
৬. প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস বেসিনে ফেলবেন না
বেসিনে প্লাস্টিক জাতীয় কোনও জিনিস কিংবা স্টিকার ফেলবেন না। কারণ, এই পদার্থগুলো বেসিনের পাইপের মুখ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। ফলে জল বেরোতে পারে না। তাই বেসিনে প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস কখনওই ফেলবেন না।
আপনি ঘরে থাকা পাতিলেবু দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন বেসিন। যেকোনও জায়গা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে পাতিলেবুর কোনও বিকল্প নেই। এটি প্রাকৃতিক অ্যাসিড হিসাবে কাজ করে। তাই লেবুর রস দিয়ে বেসিন পরিষ্কার করলে দেখবেন বেসিন একেবারে ঝকঝকে হয়ে গেছে। বেসিনের ময়লা উধাও হবে লেবুর রসে।
বেসিনের জল আটকে যাওয়ার মতো সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে বেসিনের পাশাপাশি নিয়মিত পাইপ পরিষ্কার রাখাটাও অত্যন্ত জরুরি। তার জন্য লোক লাগিয়ে পাইপ পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই। ঘরোয়া পদ্ধতিতেও পাইপ পরিষ্কার করা যেতে পারে। এর জন্য লাগবে নুন, বেকিং সোডা, ভিনিগার আর গরম জল। প্রথমে বেসিনের পাইপের মুখে আধ কাপ মতো নুন ঢেলে দিন। তারপর দু’লিটার মতো জল ফুটতে দিন। জল ফুটে গেলে তাতে সাবানগুঁড়ো মিশিয়ে ওই জল ধীরে ধীরে পাইপে ঢালুন। ফলে সেই সময় নুনের সঙ্গে অর্ধেক ময়লা ধুয়ে যাবে। এরপর পাইপের মুখে আধ কাপ মতো বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। তারপর ১৫ মিনিট ওইভাবেই রেখে দিন। এরপর পাইপের মুখে ওই বেকিং সোডার উপর ছড়িয়ে দিন এক কাপ ভিনিগার। এতে বাকি যা ময়লা থাকার কথা, সেটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
দীর্ঘদিন ধরে বাসন মাজার কারণে বেসিনে দাগ লেগেছে প্রচুর। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না? কোনও চিন্তা নেই। বেসিনে লেগে যাওয়া এই দাগ মুছে স্বচ্ছ ঝকঝকে বেসিন করতে হলে ব্যবহার করুন অলিভওয়েল। তবে মনে রাখবেন, তেল দিয়ে বেসিন পরিষ্কার করার পর টিস্যু পেপার দিয়ে বেসিন ভালো করে মুছে নেবেন। কিন্তু জল দেবেন না।
বেসিনে জল আটকে গেলে কী কী করবেন, এতক্ষণ তা জেনে নিলেন। এবার আপনার বড়ির বেসিনে জল আটকানোর আগেই সতর্ক হয়ে যান। কীভাবে সতর্ক হবেন জেনে নিন।
ব্যস্ত সময়ে বেসিনে জল আটকে গেলে স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ গরম হয়ে যায় আপনার। তাই এই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই যাতে বেসিনে জল জমতে না পারে সেইদিকে বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন। অনেকেই চা পাতা, ডিমের খোসা বেসিনের মধ্যে ফেলেন। ডিমের খোসা সাধারণ গুঁড়ো করে বেসিনে ফেলেন অনেকে। কিন্তু ডিমের খোসা যত ছোট টুকরোই করে ফেলুন না কেন, বেসিনের পাইপে তা আটকে যাবেই। তাই ডিমের খোসা বেসিনে না ফেলে ঘরে রাখা ডাস্টবিনে ফেলুন। বেসিনে চায়ের পাতা ফেললেও জল আটকে যেতে পারে। প্রতিদিন চায়ের পাতা একটু একটু করে জমে গিয়ে জল বেরোনোর মুখটাই বন্ধ করে দেয়। ফলে বেসিনে জল আটকে যায়। তাই চায়ের পাতা বেসিনে ফেলার অভ্যাসটাও এবার বদলে ফেলুন।
তরল ওষুধ বেসিনে ফেলবেন না। যদি অল্প ওষুধ বেসিনে পড়েও যায় তাহলে বেশি করে জল দিয়ে তা ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। কারণ তরল ওষুধ বেসিনের পাইপে খুব তাড়াতাড়ি জমে যায়। যার কারণে বেসিনে জল আটকে যেতে পারে।
বেসিনে ভাত একেবারেই ফেলবেন না। কারণ দিনের পর দিন ভাত জমতে জমতে দলা পাকিয়ে যায়। ভাত ফেলে বেসিন ধুয়ে দিলেও পাইপে গিয়ে সেগুলি আটকে যায়। ফলে জল যাওয়ার পথে বাধা পায়।
ভাতের মতো ময়দা বা আটাও বেসিনে ফেললে দলা পাকিয়ে যায়। জল ঢাললে বেসিন থেকে সেগুলি চলে গেলে পাইপে গিয়ে আটকে যায়। যার কারণে ওই পাইপ দিয়ে আর জল যেতে চায় না। তাই বেসিনে আটা, ময়দা, ভাত কোনও কিছুই ফেলবে না।
বেসিনে চুল ফেলার মতো বদভ্যাসও অনেকের রয়েছে। মনে রাখবেন, চুল জলে নষ্ট হয় না। তাই দিনের পর দিন চুল জমে গিয়ে পাইপের মুখে একটি জালের সৃষ্টি করে। যেখানে অন্যান্য আবর্জনা জমে যায়, ফলে ওই জায়গা দিয়ে জল বেরোতে পারে না। বাথরুমের জালিতেও এই একই সমস্যা হতে পারে। তাই ভুল করেও আর বেসিনে চুল ফেলবেন না। বাথরুমেও ফেলবেন না চুল। এগুলো ফেলার জন্য বাড়িতে ব্যবহার করুন ডাস্টবিন।
বেসিনে প্লাস্টিক জাতীয় কোনও জিনিস কিংবা স্টিকার ফেলবেন না। কারণ, এই পদার্থগুলো বেসিনের পাইপের মুখ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। ফলে জল বেরোতে পারে না। তাই বেসিনে প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস কখনওই ফেলবেন না।