সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

রাতের খাবার খাওয়া শেষ করতেই প্রায় ১১টা বেজে যায়। তার পর চলে ঘণ্টা দুয়েক ধরে সিনেমা বা সিরিয়াল দেখা। সেটা শেষ হতে না হতেই আবার বিছানায় শুয়ে ইনস্টাগ্রাম কিংবা ফেসবুক ঘাঁটাঘাঁটি। ফলে রোজই ঘড়ির কাঁটা ২টো পেরিয়ে ৩টে, কখনও কখনও আবার ৪টেও বেজে যায়।
এ ভাবেই রাতের পর রাত না ঘুমিয়েই কেটে যায় অনায়াসেই। এখন আর রাত জাগতে কষ্ট হয় না। এই অভ্যাস প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে। এ দিকে শরীরের ক্ষতিও কম হচ্ছে না। হঠাৎই নানা রকম গোলমাল এবং রক্তপরীক্ষার পর দেখা গেল নানা রকম রোগ বাসা বাঁধা শুরু করে দিয়েছে। ব্যস! চিকিৎসকের কড়া নির্দেশ এ বার থেকে তাড়াতাড়ি ঘুম এবং সকালে ঠিক সময় ওঠতে হবে, নাহলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী।
আরও পড়ুন:

প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় এক কাপ হোয়াইট টি খান, এক মাসেই সুফল টের পেতে পারেন

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৩: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—খলসি ও করঞ্জা

কিন্তু বললেই তো আর সব কিছু বদলে দেওয়া যায় না। ঘুমের অভ্যাস বদলানো খুব একটা সহজ বিষয় নয়। দীর্ঘ দিন ধরে যদি কেউ রাতে জেগে থাকার অভ্যাস তৈরি করে ফেলে, তা হলে হঠাৎ করে তা বদলে ফেলা খুব সহজসাধ্য নয়। বরং সাত সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। অন্তত তিন সপ্তাহ টানা যদি সকাল সকাল উঠতে পারেন, তবেই এই অভ্যাস একটু একটু করে বদলানো যায়।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭০: পাভেল কোথায়?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৯: রসিক স্বভাব মা সারদা

 

কোন কোন অভ্যাস বদলাবেন?

 

দরকারে ঘুমের সময়টা পরিবর্তন করুন

রোজ সকাল ৬টা নাগাদ ঘুম থেকে ওঠা এবং রাত ১০টার পর ঘুমিয়ে পড়াই শরীরের পক্ষে উপকারী। কিন্তু এক দিনে এত বড় বদল করতে যাবেন না। তা হলে মুশকিল হয়ে যাবে। তার চেয়ে একটু একটু করে নিজের ঘুমের সময়টা পরিবর্তন করে নিন।
 

একই সময়ে ঘুমোনো এবং ঘুম থেকে ওঠা

কোন সময়ে ঘুমোতে যাচ্ছেন এবং কোন সময়ে উঠবেন, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ রোজ একই সময়ে ঘুমোনো এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা। না হলে শরীর খারাপ হবেই।

আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৬: রাজার নিয়ন্ত্রণহীন অনুচরেদের কুকর্মের দায় রাজাকেই নিতে হয়

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৪: পুণ্য আষাঢ়ের প্রথম দিবসে

 

রাতের খাবার সারুন দু’ঘণ্টা আগে

ঘুমোনোর অন্তত দু’ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে নিন। রাতের খাবার যতটা পারেন কম তেল-মশলাযুক্ত হতে হবে। ঘুমের আগে গ্রিন টি বা ক্যামোমিল টি খেয়ে নিতে পারেন। এর ফলে ঘুম আসতে সুবিধা হবে। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে, সকালে উঠতেও ততটা সমস্যা হবে না।
 

ঘুমনোর আগে স্মার্টফোন, টিভি, কম্পিউটার বন্ধ করে দিন

ঘুমের এক ঘণ্টা আগে থেকেই সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করে দিন।যতক্ষণ আপনি এই বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার কম করবেন তত তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যাবে । বরং ফোনে পর দিনের অ্যালার্ম সেট করে বিছানা থেকে বেশি খানিকটা দূরে রেখে দিন। যাতে অ্যালার্ম বন্ধ করতে পর দিন উঠে অনেকটা যেতে হয়। এতে ঘুমও সহজে ভেঙে যাবে।


Skip to content