শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী।

পার্লারে গিয়ে শখ করে চুলে পছন্দের রং করেছেন অথচ এক মাস যেতে না যেতেই চুলের রং ফিকে হয়ে গিয়েছে? সঠিক যত্ন না নিলে ফিকে তো হবেই এতে রঙের কী দোষ! রং করার আগে ও পরে যে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয় সেগুলো কি আপনি মেনে চলেন? না মানলে সেই নিয়মগুলি আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিন।
 

চুল রং করার আগে অবশ্যই মাথায় রাখুন

চুলের রং করানোর আগে দেখে নিন কী কী উপাদান দিয়ে সেটি তৈরি। রাসায়নিক কোনও উপাদান থাকলে এড়িয়ে যান। ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ রং বেছে নিন।
চুল ধোয়ার সময় পরিষ্কার জল দিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন রং যেন না থাকে।
চুলে রং বসতে একটু সময় লাগে। রং করার দু’দিনের মধ্যেই চুলে শ্যাম্পু করে ফেলবেন না, তাহলে তাড়াতাড়ি রং ধুয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:

আপনার হাড় দুর্বল হয়ে গিয়েছে? এই চারটি যোগাসন নিয়মিত করছেন তো?

সামান্য পরিশ্রমেই সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগছে? নিজের অজান্তে শরীরে পিসিওএস বাসা বাঁধেনি তো?

রং করার পর কী ধরণের শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন তা অত্যন্ত জরুরি। সালফেটযুক্ত শ্যাম্পু চুলের পক্ষে বড্ড ক্ষতিকর। এই ধরণের শ্যাম্পু খুব তাড়াতাড়ি চুলের রং নষ্ট করে দেয়। তাই রং করানোর পর বিশেষ শ্যাম্পু পার্লারের পরামর্শে কেনাই ভালো।
চুলে রং করার পর এমনিই চুল উজ্জ্বল দেখায়। তাই অনেকেই কন্ডিশনার ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন। আর সেখানেই করেন ভুল। ভালো সালফেট মুক্ত কন্ডিশনার এবং চুলের মাস্ক ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ফুল ক্রিম দুধে পাতা দই আর মধুর প্যাক খুব ভালো। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন, তারপর হালকা কোনও শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—বাইন ও গর্জন

‘এত বড় তারকা হয়েও একটুও বদলাননি’, রজনীকান্ত সাক্ষাতে মুগ্ধ অমিতাভ

চুলে রং করার কিছু দিন পর ডিমের কুসুম, মধু আর অলিভ অয়েলের প্যাকও খুব ভালো উপকারী। তবে ডিমের তীব্র গন্ধে অনেকের অসুবিধে হয়, সেক্ষেত্রে বার দুয়েক শ্যাম্পু করতে হবে।
রং করানোর পর চুল একটু রুক্ষ হয়ে যায়। তাই অনেকেই তড়িঘড়ি করে নানা রকম রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু তাতে চুলের রং ফিকে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন:

সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২২: সরলাদেবী, এক পণ্ডিত মানুষ

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৮: সকালবেলাই হাঁটতে হবে?

চুলে রং না করলেও নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে নিয়ে চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর ভালো করে মাখিয়ে নিন। গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে চুল মুড়ে রাখুন। তাতে তেলের পুষ্টিটা চুলের একেবারে গোড়া পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। পরদিন হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুল থাকে মোলায়েম।
গরমে স্টাইলিং প্রোডাক্ট থেকে দূরে থাকতে হবে। অতিরিক্ত তাপ একদিকে যেমন চুল শুকনো করে দেয়, তেমনি রঙের জেল্লাও ফিকে হয়ে যায় গরমে। তাই যতটা পারেন, গরমে স্টাইলিং টুল এড়িয়ে চলুন। এমনকী, গরম জলে চুল ধোয়াও ঠিক নয়। একান্তভাবেই গরমে স্টাইলিং টুল ব্যবহার করতে হলে আগে চুলে থার্মাল প্রটেকশন স্প্রে করে নিন। এতে চুল আর চুলের রং, দুই-ই বাঁচবে। চড়া রোদে বেরোনোর সময় ছাতা ব্যবহার করুন বা স্কার্ফ দিয়ে চুল ঢেকে নিন।

Skip to content