শনিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

প্রায়শই দেখা যায় বাচ্চারা খাবার টেবিলে বসে খাবার দেখলেই তাদের যত অনীহা চিৎকার-চেঁচামেচি। অনেক সময় গল্প বলে, ভুলিয়ে-ভালিয়ে, বকাঝকা করেও কিছুতেই খাওয়ানো যায় না। আপনার বাচ্চাও কি তাই করে? তাহলে সমস্যার সমাধানে পাঁচটি পরামর্শ রইল—
 

কী সেই ৫ পরামর্শ?

 

ব্রেকফাস্ট

দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবারে এটি। তাই বাচ্চাকে খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সাথে নিজেও কখনো ব্রেকফাস্ট বাদ দেবেন না। রোজ সকালে নিয়ম করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সোনামণিকে ব্রেকফাস্ট খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। প্রতিদিন নতুন নতুন জলখাবার তৈরি করা সম্ভব না হলেও একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাবার দিন। কারণ, অনেক সময় একই খাবার খেতে খেতে বাচ্চাদের অনীহা জন্মায়।

 

অল্প পরিমাণে বারে বারে

বড়দের মতো বাচ্চাদের দৈনিক তিন বেলা খেতে দেবেন না। ঘনঘন খেতে দিলে তাদের শরীরেও খিদে তৈরি হয়। অল্প পরিমাণে দু-তিন ঘণ্টা অন্তর খেতে দিন। কখনও কখনও স্যান্ডউইচ, কখনও বা বিভিন্ন ধরনের বাদাম এইসব খেতে দিলে ওরা খুশি মনে খাবে।
 

খেলাধুলা

বাচ্চাদের একটু শারীরিক পরিশ্রম না হলে খিদে হয় না। তাই বিকেলবেলা সম্ভব হলে কাছাকাছি কোনও পার্কে নিয়ে গিয়ে ওদের খেলার অভ্যাস তৈরি করুন। বাচ্চার অবসর সময়ে কখনওই ওদের হাতে ফোন দিয়ে বসিয়ে রাখবেন না। বিকেলে ছাদে নিয়ে গিয়ে খেলাধুলা করান। আবার ঘরের মধ্যে ছোটাছুটি করলে বকাবকি করবেন না।

আরও পড়ুন:

মুভি রিভিউ: রাজনীতির পটভূমিকায় ‘মহারানি সিজন ১’ টানটান উত্তেজনায় ভরা

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৫: সুন্দরবনের প্রকৃত ম্যানগ্রোভ ও ম্যানগ্রোভ-সহযোগীরা

 

ডিশে সাজিয়ে দিন প্রিয় খাবার

মাঝে মাঝে বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রিয় খাবার দিতে হয়। সারা সপ্তাহে ঠিকমতো খেলে ছুটির দিন আইসক্রিম বা চকোলেটের ব্যবস্থা করতে পারেন। সারা সপ্তাহে কথা শোনার উপহার হিসেবে এই খাবারগুলো দিন। এতে তারা খুশি হয়ে আপনার কথা ও যেমন শুনবে, তেমনি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যেসও তৈরি হবে।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৩: ‘সুরের পরশে’ তুমি-ই যে শুকতারা

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৯: কামিনী রায়, জনৈক বঙ্গমহিলা

 

চিকিৎসকের পরামর্শ

সবরকম চেষ্টা করেও যদি কিছুতেই বাচ্চাকে খাওয়াতে না পারেন, একজন শিশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পেটের কোন রকম সমস্যা হচ্ছে কিনা অথবা কোন ব্যাকটেরিয়াল রোগের জন্য অনেক সময় খিদে মরে যেতে পারে। তাই পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।


Skip to content