ভাইরাল জ্বর হোক বা কঠিন কোনও অসুখ— চিকিৎসকের কাছে গেলেই আগে রোগীর জিভ দেখতে চান তাঁরা। কারণ, শরীরে অস্বাভাবিক কিছু ঘটলেই এই অঙ্গে তার কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে। যা দেখে সহজেই রোগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা স্পষ্ট হয় চিকিৎসকদের। খাবারের স্বাদ বুঝতে না পারা, জিভ শুকিয়ে যাওয়া কিংবা জিভে কাঁটা ফোটার মতো অনুভূতি একেবারেই স্বাভাবিক নয়। তা ছাড়া, জিভের স্বাভাবিক লালচে গোলাপি রং বদলে যাওয়া দেখেও রোগের লক্ষণ আন্দাজ করতে পারেন চিকিৎসকেরা।
জিভের কোন রং কী কী রোগের ইঙ্গিত দেয়?
ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের আক্রমণ
● সাধারণত ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের আক্রমণে জিভের উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। দাঁত মাজার সময়ে নিয়মিত জিভ পরিষ্কার না করলেও এই সমস্যা দেখা যায়। তা ছাড়া, ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হলেও জিভ সাদাটে হয়ে যেতে পারে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ সানস্ক্রিন বা ময়েশ্চারাইজার
● জিভের রং হঠাৎ নীলচে বা বেগনি হয়ে গেলে বুঝতে হবে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হচ্ছে। এ ছাড়া, শ্বাসযন্ত্র কিংবা কার্ডিয়োভাসকুলার কোনও সমস্যা থাকলেও জিভের রং নীল হয়ে যেতে পারে।
কালচে আস্তরণ
● অতিরিক্ত ধূমপান করলে, ক্যাফিনজাতীয় পানীয় খেলে জিভের উপর কালচে আস্তরণ পড়তে পারে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, চড়া অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবেও কিন্তু জিভের উপর এমন কালচে আস্তরণ পড়তে পারে।
ভিটামিন বি-র অভাব
● জিভের উপর স্ট্রবেরির মতো লালচে কাঁটা কাঁটা কিছু ফুটে উঠলে তা শরীরে ভিটামিনের অভাবকেই ইঙ্গিত করে। সাধারণত শরীরে ভিটামিন বি-র অভাব হলে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ভিটামিনের অভাবেই বাচ্চারা কাওয়াসাকি রোগে আক্রান্ত হয়।
রক্তে আয়রনের অভাব
● জিভের রং একেবারে ফ্যাকাসে হয়ে গেলে তা রক্তে আয়রনের অভাবকেই ইঙ্গিত করে। আবার জিভের উপর লাল এবং সাদা চাকা চাকা দাগ অটোইমিউন রোগের ইঙ্গিতও বহন করে।