এখন শহরের বেশির ভাগ মানুষেরই চেয়ারে বসে খাবারপ্রবণতা দেখা যায়। মাটিতে বসে খাওয়ার রেওয়াজ প্রায় উঠেই গিয়েছে। গ্রামের দিকে অবশ্য এখনও অনেকে এ ভাবেই খাওয়াদাওয়া করেন। যদিও কয়েক দশক আগে শহরেও প্রচুর মানুষ মাটিতে বসেই খাবার খেতেন। মাটিতে বসে খাবার খাওয়ার অনেকগুলি সুবিধা আছে। প্রথমত, এ ভাবে খাবার খেতে বসলে, বিনা কারণেই কয়েকটি যোগাসন করা হয়ে যায়। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী—
সুখাসন
● বাবু হয়ে বসে এই আসন করতে হয়। মাটিতে বসে খাওয়ার সময়ে বিনা চেষ্টায় এই আসনটি করা হয়ে যায়। এতে হজম ক্ষমতা বারার সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়ে। শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হয়।
স্বস্তিকাসন
● এটিও বাবু হয়ে বসেই করতে হয়। মাটিতে বসে খাওয়ার সময়ে অজান্তেই সকলে এই যোগাসনে বসে পড়েন। এতে হৃদযন্ত্রের উপকার হয়। শরীরের উপরের ভাগে রক্ত চলাচল ভালো হয়। সবচেয়ে বড় কথা এই আসন মনকে ধীরে ধীরে শান্ত করে। মানসিক চাপের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
সিদ্ধাসন
● আপনি কি হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন? শুধুমাত্র এই কারণেই কি চেয়ারে বসে খাচ্ছেন? তা হলে আপনার জানা দরকার, হাঁটুর ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে সিদ্ধাসন। আর বিনাশ্রমেই এই আসনটি করা হয়ে যায় মাটিতে বসে খেলে। এতে শুধু হাঁটুর ব্যথা কমে তাই নয়, মেরুদণ্ডেরও উপকার নয়। প্রস্টেট গ্রন্থির নানা সমস্যা নিমেষে দূর হয়ে যায়।
নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার কারণে অনেকেই চেয়ারে বসে খেতে বাধ্য হন। চিকিৎসকরা তাঁদের সেই পরামর্শ দেন। কিন্তু তেমন কিছু বারণ না থাকলে রোজ মাটিতে বসে খেতেই পারেন। তাতে শরীরের অনেক উপকার হয়। রোজ যদি নাও পারেন, সপ্তাহে এক বা দু’দিন মাটিতে বসে খেলেও আপনার শরীরের লাভ হবে।