রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

শরীরচর্চার কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। যত ছোট থেকে ব্যায়াম করা যায় ততই ভালো। তবে অনেকেই ব্যায়াম করা বলতে জিমে গিয়ে ভারী জিনিষ নিয়ে ব্যায়াম করাকে বোঝেন। কিন্তু শরীর বৃদ্ধির সময় অর্থাৎ ছোট বেলায় জিম করলে পেশী শক্ত হয়ে যায়। শরীর বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রাপ্ত হয়। জিম এক্সপার্টদের মতে, সাধারণত জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার উপযুক্ত সময় হল ২৫ বছরের পর। তবে যদি ২৫ বছরের আগে শারীরিক গঠন যথেষ্ট পরিমাণে হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ২৫ বছরের আগেও জিম শুরু করা যায়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য শরীরচর্চা যেমন জরুরি, তার থেকেও বেশি জরুরি সঠিক খাদ্যাভাস।
 

জিমে শুরুর আগে মাথায় রাখুন

প্রথম দিকে বেশি ভারী জিনিস নিয়ে ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন না।
প্রথম মাসে সপ্তাহে তিন দিনের বেশি না করাই ভালো।
নিয়মিত লেগ ওয়ার্কাউট করবেন।
ওয়ার্কাউটের আগে ওয়ার্মআপ এবং শেষে অবশ্যই স্ট্রেচিং করতে হবে।

আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৬৮: অন্ধ অতীত

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫১: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—পশুর, ধুধুল ও হাবল

 

খালি পেটে না ভরা পেটে?

মনে রাখবেন, খালি পেটে জিম করার ফল মারাত্মক হতে পারে। জিমে যাওয়ার আগে প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া খুব দরকার। ব্যায়ামের ফলে যে চাপ পড়বে সেটি শরীরের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পার। যার ফলে হাইপোগ্লেসিমিয়া হয়ে শরীর অবসন্ন হয়ে যেতে পারে। তাই কখনওই খালি পেটে ব্যায়াম করতে যাবেন না।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫১: সেই ‘পৃথিবী আমারে চায়’

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৬: কুসুমকুমারী দাশ—লক্ষ্মী সরস্বতীর যুগ্ম মূর্তি

 

কী কী খেতে পারেন?

 

বাদাম

জিমে যাওয়ার আগে আট থেকে দশটা বাদাম খেতে পারেন। শরীরকে শক্তি যোগাতে খুব সাহায্য করবে। তাছাড়া বাদামে ক্যালোরিও কম।
 

ব্রাউন ব্রেড ও মধু

জিম করার আগে ব্রাউন ব্রেড ও মধু খেতে পারেন। ব্রেডে থাকা কার্বোহাইড্রেট এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। আর মধু জোগাবে প্রোটিন।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৯: রসিক স্বভাব মা সারদা

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৬: গলা সাধলেই লতাকণ্ঠী?

 

ডিম

ওয়ার্কআউটের আগে ডিম খাওয়া খুব ভালো। ডিমের সাদা অংশ এই ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।
 

ফল ও দই

ফলের মধ্য রয়েছে শর্করা, দইয়ে রয়েছে প্রোটিন। ব্যায়ামের আগে খাওয়ার জন্য এই কম্বিনেশন দারুণ। ঘুম থেকে উঠে খেয়ে নিন একটা কলা ও এক বাটি দই।
 

ওটস

জিমে যাওয়ার আগে ওটসও খেতে পারেন। দুধ হালকা গরম করে তাতে ওটস, কাজুবাদাম, খেজুর, কলা, আপেল ছোট ছোট টুকরো করে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। কারণ ওটস ওয়ার্কআউটের সময় এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা ফাইবার রক্তে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বাড়ায়।


Skip to content