শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

কালো চা তো অনেকেই খান। কেউ কেউ স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য গ্রিন টি’ও খান। কিন্তু হোয়াইট টি খেয়েছেন কি? সেটি খেলে কী হয়? সেই সম্পর্কে কি কিছু জানেন?
চিনের ফুজিয়ান প্রদেশে প্রথম এই চা চাষ শুরু হয়। এখন ভারত এবং নেপালের বহু জায়গাতেও এই চা পাতার চাষ হয়ে থাকে। হোয়াইট টি’র রং হালকা হলুদ। কালো চা বা গ্রিন টি’র বেশির ভাগ গুণই এতে রয়েছে। কিন্তু এই চায়ের স্বাদ একটু আলাদা। অন্য চায়ের তুলনায় এর কষা ভাব একটু কম। সুগন্ধের মাত্রাও বেশ কম। সন্ধের পরে এই চা খাওয়ার রীতি আছে। চিনে রাতের খাবারের সঙ্গে বা তার পরে অনেকে এই হোয়াইট টি পান করে থাকেন।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫২: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— গর্জন, ভোলা ও নোনা ঝাউ

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯১: এক আলমারি বই : রাণুর বিয়েতে কবির উপহার

 

কী কী উপকার পাওয়া যাবে?

 

ত্বককে রক্ষা করে

এই চা খেলে ত্বকের নমনীয়তা বাড়ে। ফলে বয়সের ছাপ কম পড়ে। তা ছাড়া নানা জীবাণু ঘটিত সংক্রমণ থেকেও ত্বককে রক্ষা করে এই চা। নিয়মিত এই চা খেলে এক মাসেই ত্বকের উন্নতি চোখে পড়ে।
 

দূষিত পদার্থ বার করে দেয়

ওজন কমাতেও খুব উপকারী এই চা। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। ফলে দ্রুত ওজন কমে। রোজ এক কাপ করে এই চা খেলে এক মাসেই ওজন কমতে পারে।

আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭০: পাভেল কোথায়?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৯: রসিক স্বভাব মা সারদা

 

চুলের যত্ন

ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও উপকার করে এই চা। নিয়মিত এই চা খেলে, মাসখানেক যেতে না যেতেই খুশকির সমস্যা একদম থাকে না। তাছাড়া চুলের গোড়াও মজবুত হয়।
 

ডায়াবিটিস

যাঁরা ডায়াবিটিসের সমস্যা ভুগছেন, তাঁরা যদি নিয়ম করে রোজ এক কাপ হোয়াইট টি পান করেন, তাঁদের এই সমস্যা অনেকটা কমতে পারে। কারণ হোয়াইট টি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৬: রাজার নিয়ন্ত্রণহীন অনুচরেদের কুকর্মের দায় রাজাকেই নিতে হয়

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৩: এক্সপায়ারি ডেটের ওষুধ খাবেন?

 

মনকে শান্ত রাখে

এই হোয়াইট টি এমন কয়েকটি হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যেগুলি মনকে শান্ত রাখে। যাঁরা নিয়মিত এই চা পান করেন, তাঁদের রক্তচাপ কমে।
 

ক্যানসারের আশঙ্কা কমে

তবে এই চায়ের সবচেয়ে বড় গুণ, এটি ক্যানসার প্রতিহত করতে সাহায্য করে। দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত এই চা পান করেন, তাঁদের ক্যানসারের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।


Skip to content