শুক্রবার ৪ অক্টোবর, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

খাবার খাওয়ার পর কি মিষ্টি খাওয়া ঠিক? ছবি: সংগৃহীত।

খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) প্রায়শই আমাদের বিভিন্ন ভাবে সচেতন করে। ‘হু’-এর বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভ্যাসই বলে দেয় পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের হাল কেমন থাকবে। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়? পরিবারের সবাইকেই একই রকম খাবার খেতে হবে? কোন বেশি নজর দেওয়া দরকার? পরিবারের সব বয়সের সদস্যকে সুস্থ রাখতে হলে কয়েকটি অভ্যাস পরিবর্তন করা জরুরি। নেটমাধ্যমে রকমারি পদের ছবি দেখে জিভে জল এলে চলবে না। জোর দিতে হবে পরিবারের সাধারণ পুষ্টির দিকে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়বে। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
 

সুস্থ থাকতে কোন কোন অভ্যাস জরুরি?

 

কমাতে হবে কার্বোহাইড্রেট

নিত্য দিন কমাতে হবে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ। অধিকাংশ বাঙালিই ভাত, রুটি দিয়ে পছন্দমতো নানা ধরনের রান্না খেতে পছন্দ করেন। যদিও এটা করলে চলবে না। কতটা পরিমাণ ভাত বা রুটি খাচ্ছেন, তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি কি না সে সব অবশ্যই জেনে নিতে হবে। তবে রোজকার পারে ফল, ডাল, সব্জির পরিমাণ বাড়াতে পারেন।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৬: যন্ত্রণাদগ্ধ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ রাঁচিতে পেয়েছিলেন সান্ত্বনার প্রলেপ

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৬: সুন্দরবনের লৌকিক চিকিৎসায় ম্যানগ্রোভ—হরগোজা ও কেয়া

 

প্রয়োজন মতো প্রোটিন খেতে হবে

প্রোটিন ছাড়া শক্তি পাওয়া মুশকিল। সে জন্য ডিম, মাছ, মাংসের পরিমাণে জোর দিতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে কতটা পরিমাণ খাওয়া দরকার। অনেক বাড়িতে নিরামিষ খাওয়ার চল আছে। সেক্ষেত্রে দুধ, ছানা, দই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় নিয়ম করে রাখতে হবে। এরকম বহু বাড়ি আছে, যেখানে খাদ্যের গুণ নিয়ে তেমন ভাবনাচিন্তা করা হয় না। কিন্তু পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখতে হলে খাদ্যের গুণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা খুবই প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৬১: হায়রে কালা একি জ্বালা…

হাজার চেষ্টা করেও বাচ্চাকে খাওয়াতে পারছেন না? রইল পাঁচটি পরামর্শ

 

মিষ্টি খাওয়ায় রাশ টানতে হবে

অনেক বাঙালি বাড়িতে এই অভ্যাস আছে যে, রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে মিষ্টি খাওয়া। এই অভ্যাস অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত ভাবে মিষ্টি খাওয়া যাবে না। প্রাত্যহিক দিনে এই পরিবর্তন না আনা গেলে পরিবারে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। সেই সঙ্গে সুস্থ থাকতে ফ্রিজে আইসক্রিম, চকোলেট, বোতলবন্দি ঠান্ডা পানীয় রাখাও একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে।


Skip to content