শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

এক একজন মানুষ এক এক ভাবে ঘুমোন। কেউ পাশ ফিরে ঘুমন তো, কেউ আবার মুখ গুঁজে। যদিও সবচেয়ে ভাল নাকি চিৎ হয়ে শোওয়া। এ ভাবে ঘুমোলে অনেক সমস্যা কমে। এমনই বলছে হালের গবেষণা। এ নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণা করেছিল। সেই গবেষণা বলছে, সবচেয়ে ভালো চিৎ হয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস।
 

কেন কারণে চিৎ হয়ে শোওয়া উচিত?

 

ত্বকে বয়সের ছাপ

পাশ ফিরে শোওয়া ত্বক কুঁচকে যাওয়া, মুখে বয়সের ছাপ পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। এই সমস্যা অনেকটাই কমে চিৎ হয়ে শুলে।
 

মুখের একদিকে রক্ত জমে যায়

এক দিকে পাশ ফিরে না শোওয়াই ভালো। কারণ, যে দিকে মুখ ফিরে শুচ্ছেন মুখের সেই দিকে রক্ত জমতে থাকে। এর ফলে মুখ অনেক সময় ফোলা ফোলা দেখতে লাগে। চিৎ হয়ে শুলে আবার এই সমস্যা হয় না। উলটে মুখ কিছুটা হলেও রোগা দেখতে লাগে।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-১৫: জঙ্গি তৎপরতায় স্তব্ধ উন্নয়ন

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৩: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—খলসি ও করঞ্জা

 

সবচেয়ে বেশি বিশ্রাম হয়

গবেষণায় এও উঠে এসেছে, চিৎ হয়ে শুলে পিঠ, কাঁধ এবং মেরুদণ্ডের অনেকটা আরাম হয়। শুধু তাই নয়, এ ভাবে শুলেই সবচেয়ে বেশি বিশ্রাম হয়।
 

সাইনাসের সমস্যায় উপকারিতা

যাঁদের সাইনাসের সমস্যা আছে তাঁদেরও চিৎ হয়ে শোওয়া উচিত। এতে কিছুটা সমস্যা কমতে থাকে। পাশাপাশি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও কিছুটা কমে যায়।

আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭০: পাভেল কোথায়?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৯: রসিক স্বভাব মা সারদা

 

শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি

চিৎ হয়ে শোওয়ার আরেকটি উপকার হল, এতে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি হয়। খুব সহজেই ফুসফুস ভর্তি করে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। ফলে ফুসফুসের ক্ষমতা তো বাড়েই, তেমনই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। সব মিলিয়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তির সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
 

মাথাব্যথায়

আপনি কি মাথাব্যথা নিয়ে ঘুমোতে যাচ্ছেন নাকি? গবেষণার রিপোর্ট বলছে, পাশ ফিরে শুলে সমস্যা নাও কমতে পারে। তবে চিৎ হয়ে শুলে আবার তাড়াতাড়ি ওই সমস্যা কেটে যায়।

আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৬: রাজার নিয়ন্ত্রণহীন অনুচরেদের কুকর্মের দায় রাজাকেই নিতে হয়

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৪: পুণ্য আষাঢ়ের প্রথম দিবসে

 

কমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চিৎ হয়ে শুলে আমরা সূর্যের প্রথম আলো টের পাই। রোদ উঠলে আমাদের নিজে থেকেই ঘুম ভাঙে। এর ফলে ঘুম থেকে ওঠার সময় কিছুটা এগিয়ে আসে। উলটো দিকে শীঘ্রই ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাসও আমাদের তৈরি হয়। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিছুটা কমে।


Skip to content