আজকাল অনেকেই মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে পাতে ভাত প্রায় রাখেনই না। ভাত খেতে ভালো লাগলেও তাঁরা লোভ সম্বরণ করেছেন। কারও কারও আবার ভাত খেলে খুব ঘুম পায়। কাজে মনঃসংযোগ করতে অসুবিধা হয়। কেউ কেউ আবার কাজের দিনগুলিতে ভাত খান না। চেষ্টা করেন কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার।
এদিকে, সাদা ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি হওয়ায় ডায়াবিটিস রোগীদের পক্ষেও একটা খাওয়া খুব একটা ভালো নয়। এ প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, ১০০ গ্রাম সাদা ভাতে প্রায় ১৩০ ক্যালোরি থাকে। আর কার্বোহাইড্রেট থাকে প্রায় ২৮ গ্রাম। কেউ যদি নিত্যদিন এই পরিমাণ ক্যালোরি পুড়িয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে কিন্তু সমস্যা নেই। কিন্তু থেকে গেলেও মুশকিল। তাহলে ভাবছেন, সমস্যার সমাধানে ভাতের পরিবর্তে কী কী খাওয়া যেতে পারে? রইল এমন তিনটি খাবারের হদিস।
কোন তিনটি খাবার?
কর্নমিল
● ভুট্টার দানা গুঁড়ো করে তৈরি করা হয় কর্নমিল। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কর্নমিল চোখের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। ভুট্টায় ফাইবার বেশি থাকায় কর্নমিল অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যেও উপকারী। ১০০ গ্রাম কর্নমিলে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে ৩৭০। যদিও প্রোটিনের পরিমাণই বেশি। তাই যাঁরা নিরামিষ খাবারে অভ্যস্ত, তাঁদের ভালো খাবার হতে পারে কর্নমিল। কারণ এটি প্রোটিনের ঘাটতিও পূরণ করবে।
কিনোয়া
● কিনোয়া ফাইবার এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর খাবার। ভাতের বিকল্প খাবার হতে পারে এই কিনোয়া। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই ইনডেক্স) অনেক কম। ফলে ডায়াবিটিস আক্রান্তদের জন্য এই খাবার উপাদেয়, নিরাপদও। ১০০ গ্রাম রান্না করা কিনোয়াতে ক্যালোরি থাকে ১৪৩। কাউ কাউ গমজাত খাবার বা গ্লুটেন হজম করতে পারেন না। তাঁরা কিন্তু নিশ্চিন্তে কিনোয়া খেতে পারেন।
রেড রাইস
● কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। তাই আর যাই হোক ‘ভাত’ না খেলে বাঙালির মন ভরে না। যাঁদের ভাত না খেলে চলেই না, তাঁরা কিন্তু সাধারণ সাদা ভাতের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস বা রেড রাইস নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। ব্রাউন রাইস বা রেড রাইসে তৈরি ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ বেশ কম থাকে। আবার ফাইবার, একাধিক রকমের ভিটামিন ও খনিজের পরিমাণ বেশি থাকে। ১০০ গ্রাম ব্রাউন রাইস বা রেড রাইস চালে ক্যালোরির পরিমাণ ৪৫৫। শুধু ভাত নয়, এই চাল দিয়ে পায়েসও তৈরি করেও খেতে পারেন। পায়েস তৈরি করলে আপনাআপনিই লালচে রং এসে যাবে। খেতেও সুস্বাদু।