বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


প্রয়াত প্রতুল মুখোপাধ্যায়।

প্রয়াত বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন তিনি রোগভোগ ভুগছিলেন। আজ শনিবার ভোরে প্রতুল মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। চলতি বছরের শুরু থেকেই প্রতুলবাবু অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাংলা সঙ্গীত জগৎ প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ।
খবর, প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ রবীন্দ্রসদনে নিয়ে যাওয়া হবে। শনিবার বিকেল চারটে পর্যন্ত সাধারণের জন্য দেহ রাখা থাকবে। উপস্থিত হয়েছে গান স্যালুটের দল। বিকেল ৪টে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রসদনে আসবেন। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের দেহ দান করা হয়েছে। তাই বিকেল ৪টের পর তাঁর দেহ এসএসকেএম হাসপাতালে আবার ফিরিয়ে আনা হবে।
আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১৪: ‘…জীবন খুঁজে পাবি ছুটে ছুটে আয়’, লরেন্স ও ফ্রিডা/২

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৭১: ধর্মকার্যের জন্য টাকা জোগাড় করা আর সাদা কাপড়ে ময়লা লাগিয়ে ধোয়া, দুই-ই সমান

সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সমাজমাধ্যমে শোক জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, “আধুনিক বাংলা গানের খ্যাতনামী শিল্পী, গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আমি শোকাহত।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, কয়েক দিন আগেই তিনি হাসপাতালে গিয়ে শিল্পীর সঙ্গে দেখা করেন। শিল্পীর মৃত্যুতে গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০২: অন্ধকারে কে?

হ্যালো বাবু!, পর্ব-৬৮: গুগলি/৩

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “আমি গর্বিত, এমন গুণী মানুষকে আমাদের সরকার তাঁর যোগ্য সম্মান জানাতে পেরেছিল। রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ থেকে শুরু করে ‘সঙ্গীত সম্মান’, ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’, ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কার’ পেয়েছেন তিনি।” শিল্পীর পরিবার, পরিজন এবং অগণিত গুণগ্রাহীকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’ ভীষণ জনপ্রিয় গান। মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানেই প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮৭: সুন্দরবনের পাখি — ফিঙে

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৬: জীবন নিয়ে কৌতুক আর ‘যৌতুক’

এসএসকেএমের মেন ব্লকেই চিকিৎসাধীন শিল্পীর মেডিক্যাল বোর্ড জন্য গঠন করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীও চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৫ জুন বাংলাদেশের বরিশাল জেলায়। বাবা ছিলেন স্কুলের শিক্ষক। ছোট থেকেই গান লেখা এবং সুর দিয়ে গাওয়ার প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল। প্রতুল মুখোপাধ্যায় বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের মাধ্যমে। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবি। এই ছবির নেপথ্য কণ্ঠশিল্পীও ছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’ -এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content