শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


প্রবীণ অভিনেত্রী, তথা সঞ্চালক তবস্‌সুম প্রয়াত। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাতে মারা গিয়েছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসাবে ছবির জগতে তিনি প্রথম প্রবেশ করেন। তাঁর সঞ্চালনা অন্য মাত্রা যোগ করেছিল সাদাকালো টিভির পর্দায়।
তবস্‌সুমের ছেলে হোসাং গোভিল তাঁর মায়ের মৃত্যুর খবর প্রথম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাত ৮টা ৪০মিনিট নাগাদ হাসপাতালে মারা যান তবস্‌সুম। তার আগে সুস্থই ছিলেন তিনি। ১০ দিন আগে আমাদের শোয়ের শুটিংও করেছিলাম। পরের সপ্তাহে আবারও শুটিং করার কথা ছিল। আচমকাই ঘটল এই অঘটন।’’
তিনি এও জানান, ‘‘কয়েকদিন ধরে হজমের সমস্যায় ভুগছিলেন মা। মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। শুক্রবার ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। দু’মিনিটের মধ্যে দু’বার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল মায়ের।’’
আরও পড়ুন:

কলকাতার হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দিল ১৩ বছরের নাবালিকা, ‘নিকু’তে রয়েছে সদ্যোজাত

আর্জেন্টিনার পতাকা টাঙাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, স্কুলছাত্রের মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে

প্রবল তুষারঝড়ে কাশ্মীরে মৃত্যু বাঁকুড়ার জওয়ানের, শহিদকে শেষবারের মতো দেখতে অপেক্ষায় গোটা গ্রাম

১৯৪৭ সালে প্রথম ছবিতে শিশুশিল্পী হিসাবে কাজ করেন তবস্সুম। সেই ছবিতে ছিলেন নার্গিস। ১৯৭২ সালে দূরদর্শনের জনপ্রিয় টক শো ‘ফুল খিলে হ্যায় গুলশন গুলশন’ সঞ্চালনা শুরু করেন। সেই শোয়ের মাধ্যমেই জনপ্রিয় হন তিনি। ‘মেরা সুহাগ’ (১৯৪৭), ‘মঁঝধার’ (১৯৪৭), ‘বড়ি বেহেন’ (১৯৪৯), ‘দিদার’ (১৯৫১)-এ অভিনয় করেন। শেষ বার দেখা গিয়েছিল ‘স্বর্গ’ ছবিন১৯৯০ সালে।
গত বছর কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ১০ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেত্রী। এও জল্পনা রটেছিল, অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। তাঁর ছেলে হোসাং সাফ জানান, এই তথ্য একেবারেই ভুয়ো।

Skip to content