ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
নারী, সাম্রাজ্যবাদ এবং পণ্যায়ন; উত্তরাধুনিকতার সংজ্ঞায়নের এই সুপ্রাচীন সূত্রবিশেষের, যুগবিভাজন এবং আর্থ-সামাজিক বিবর্তনের নিরিখে প্রকৃতিগত রূপান্তর ঘটলেও এই সমীকরণগত রসায়নের ভিত্তিটির স্বরূপ যে একেবারে একইরকম রয়ে গিয়েছে সেটা এই ২০২২ সালের একদম শুরুতে দাঁড়িয়েই ফের প্রমাণ করতে চলেছে ‘হইচই’। সমাজ বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে নারীর অবস্থান যে কতটা ভয়াবহ পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে আজও, তার জীবন্ত প্রতিভূ হয়েই এবার দর্শকদের মাঝে আসতে চলেছে পর্ণা। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, কথা বলছি ‘হইচই’-এর আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘উত্তরণ’ নিয়ে। সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বটতলা’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এবার সিরিজের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মধুমিতা সরকার এবং রাজদীপ গুপ্ত। এই গল্প আদতে পর্ণার গল্প। ‘নারীরা কি সত্যিই স্বাধীন?’ লাখ টাকার এই প্রশ্ন নিয়েই কদিন আগে মধুমিতা ওরফে পর্ণার সঙ্গে দর্শকদের প্রাথমিকভাবে পরিচয় হয়েছে ইউটিউবে সদ্য ছড়িয়ে হইচই নির্মিত একটি শর্টসের মাধ্যমে। সম্প্রতি সোশ্যাল সাইটে মুক্তি পেয়েছে ‘উত্তরণ’-এর ট্রেলার, সেখানেও পর্ণাকে বলতে শোনা যায় যে, ‘মুখে যে যা-ই বলুক আসলে শরীরের খবর সবাই রাখে।’ একঢাল এলোচুলে ঘরোয়া শাড়ি আর ছোট্ট সিঁদুরের টিপে সাজানো এক প্রাণোচ্ছল গৃহবধূর যাত্রা দিয়ে আরম্ভ হয়েছিল যে পথচলা, একটা ভিডিও ক্লিপ সেই চলার সমস্ত গতিকে এক নিমেষে স্তব্ধ করে দিল। পেশায় শিক্ষিকা হওয়া সত্ত্বেও কেবলমাত্র তার লিঙ্গগত অবস্থানের সাপেক্ষেই তার স্বনির্ভরতাকে বিন্দুমাত্র সম্মান দিতে রাজি নয় সমাজ। ওই নির্দিষ্ট ভিডিও ক্লিপটিতে কিন্তু একজন মহিলার পাশাপাশি একজন পুরুষের অস্তিত্ব লক্ষণীয়, কিন্তু পুরুষতন্ত্রের রাজত্বে নারীশরীরের থেকে লোভনীয় আর কীই-বা আছে! তাই পুরুষটি নয় বিদ্বজ্জনদের সমস্ত মাথাব্যথা নারীটিকে ওরফে নির্দিষ্ট আর্থ-সামাজিক সংকেতবদ্ধ নারী শরীরটিকে নিয়ে। এ যাবৎকাল হয়ে আসা এই বর্বর আচরণের বিরুদ্ধে ‘অপর’ এক সামাজিক অস্ত্র স্বরূপই হইচই-এর নতুন ওয়েব সিরিজ ‘উত্তরণ’ গতকাল মুক্তি পেয়েছে। ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।
পর্দায় পর্ণার চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার এবং পর্ণার স্বামী অভি-র চরিত্রে অভিনয় করছেন বিদ্যা রাজদীপ গুপ্ত। মধুমিতা তার অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন মেগাসিরিয়াল দিয়ে। ২০১১ সালে সম্প্রচারিত ‘সবিনয় নিবেদন’ ধারাবাহিকে এক অবাঙালি কন্যে ‘নয়না’র চরিত্রে প্রথম আবির্ভাব ঘটে মধুমিতার। এরপর একে একে ‘কেয়ার করি না’, ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘কুসুমদোলা’র মতো একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে পাকাপোক্ত স্থান তৈরি করে নিয়েছেন দর্শকদের মনের মণিকোঠায়। ২০২২ সালে মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত ‘চিনি’ চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর সঙ্গে মুখ্য চরিত্রে পর্দা ভাগ করে নিতে দেখা গিয়েছে তাকে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের চরিত্রে তাকে প্রথম দেখা যাবে। মধুমিতার আবরণে পর্ণার ব্যক্তিত্ব কতটা জীবন্ত হয়ে উঠবে দর্শকদের কাছে? এই প্রশ্নের উত্তরও একমাত্র ‘উত্তরণ’ই দিতে পারবে৷
পর্দায় পর্ণার চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার এবং পর্ণার স্বামী অভি-র চরিত্রে অভিনয় করছেন বিদ্যা রাজদীপ গুপ্ত। মধুমিতা তার অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন মেগাসিরিয়াল দিয়ে। ২০১১ সালে সম্প্রচারিত ‘সবিনয় নিবেদন’ ধারাবাহিকে এক অবাঙালি কন্যে ‘নয়না’র চরিত্রে প্রথম আবির্ভাব ঘটে মধুমিতার। এরপর একে একে ‘কেয়ার করি না’, ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘কুসুমদোলা’র মতো একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে পাকাপোক্ত স্থান তৈরি করে নিয়েছেন দর্শকদের মনের মণিকোঠায়। ২০২২ সালে মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত ‘চিনি’ চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর সঙ্গে মুখ্য চরিত্রে পর্দা ভাগ করে নিতে দেখা গিয়েছে তাকে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের চরিত্রে তাকে প্রথম দেখা যাবে। মধুমিতার আবরণে পর্ণার ব্যক্তিত্ব কতটা জীবন্ত হয়ে উঠবে দর্শকদের কাছে? এই প্রশ্নের উত্তরও একমাত্র ‘উত্তরণ’ই দিতে পারবে৷