শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


৯৫তম অস্কারের মঞ্চে ভারতীয় ছবির জয়জয়কার। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রের বিভাগে সেরার স্বীকৃতি অর্জন করেছে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। সেরার শিরোপা নিতে মঞ্চে ছিলেন তথ্যচিত্রের পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস, ও প্রযোজক গুনীত মোঙ্গা। সবার নজর তাঁদের দিকে থাকলেও কিছুটা আড়ালে থেকেও বাঙালির গর্ব বাড়ালেন আরও এক কন্যা। তিনি সঞ্চারী দাস মল্লিক। ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ এর সম্পাদনা করেন যিনি। মেয়ের অস্কারজয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত সঞ্চারীর মা-বাবা।
মহানগরেরই মেয়ে তিনি। দক্ষিণ কলকাতায় গল্ফ গ্রিন এলাকায় মা শুভা দাস মল্লিক ও সদন দাস মল্লিকের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠেন সঞ্চারী। মেয়ের এত বড় কৃতিত্বে আনন্দে চোখে জল মা-বাবার। সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মাস কমিউনিকেশন বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন শুভা দাস মল্লিক। সঞ্চারীর দাদু মনজেন্দু মজুমদার ছিলেন সত্যজিৎ রায়ের সমসাময়িক। ওঁর সঙ্গে থেকেই ‘ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি প্রতিষ্ঠা’ করেন তিনি। সিনেমা সঞ্চারীর রক্তে রক্তে। তাই মেয়ের দক্ষতার উপর চিরকালই তাঁর বাবা মায়ের ভরসা ছিল। তবে মেয়ে অস্কারের মতো বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃতি পাবে, এ কথা স্বপ্নেও ভাবেননি শুভা।
আরও পড়ুন:

দুই কন্যা কাঁপালেন অস্কার মঞ্চ! ভারতে অস্কার আনল তামিল ছবি ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’

কালো কাঁধখোলা গাউনে দীপিকার নজরকাড়া অস্কার সাজ!

শুভা বলেন, ”মনোনয়ন যখন এসেছিল, খুশি হয়েছিলাম। অস্কার জয়ের পরে ওঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টেক্সট করি।’’ সকাল ৭টা নাগাদ শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর পরে, দুপুরে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মেয়েকে নিয়ে গর্বিত তিনি, কথার ছত্রে ছত্রে তারই প্রমাণ পাওয়া যায়। মায়ের কাছ থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত সঞ্চারী। তবে শুভা বলেন, “মেয়ে খুব খুশি। তবে ওঁর অভিযোগ, আমি আগে কেন ওকে শুভেচ্ছা জানাইনি। আমি শুভেচ্ছা জানানোর আগেই ওর কাছে প্রচুর মেসেজ এসেছে। এই অভিজ্ঞতা যে কতটা আলাদা, সেটাও বলেছে আমাদের।’’
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২: ‘আও টুইস্ট করে’ গানের জন্য পঞ্চমের সঙ্গে শচীনকর্তার বাক্যালাপও বন্ধ ছিল বেশ কিছুদিন

ষাট পেরিয়ে, পর্ব-২৫: মা-বাবার বয়স বাড়ছে, এই সময় পড়ে গেলে বড় বিপদ ঘটতে পারে, সুরক্ষার প্রয়োজনে মানতে হবে কিছু নিয়ম/১

ভিন্ন দেশে থাকা সত্ত্বেও মেয়ের গলায় উচ্ছ্বাসের আবেগ শুনতে পেয়েছেন মা। আপাতত তাতেই সন্তুষ্ট তিনি। শুভা বললেন, ”সঞ্চারী যখন গোয়াতে ছিল, তখন ওর কাছে এই ছবির প্রস্তাব আসে। এটাই ওঁর প্রথম তথ্যচিত্র। এর আগে বিজ্ঞাপন আর ফিচার ফিল্মে কাজ করেছে ও।”

সত্যজিৎ রায়ের পর ফের অস্কার পেলেন আরও এক বাঙালি। দেশের জন্য তো বটেই, বাঙালি হিসাবেও এ এক অনন্য গর্বের জায়গা। মেয়ের কৃতিত্বের আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি হিসাবেও আরও গর্বিত শুভা দাস মল্লিক।

Skip to content