বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


সুশান্ত সিংহ রাজপুত।

অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুত আত্মহত্যা করেননি, তাঁকে খুন করা হয়েছিল। সুশান্তের মৃত্যুর প্রায় দু’বছর পর কুপার হাসপাতালের মর্গের এক কর্মী সংবাদমাধ্যমে এমনটাই দাবি করেছেন। কুপার হাসপাতালেই অভিনেতার ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। কুপার হাসপাতালের মর্গের ওই কর্মীর নাম রূপকুমার শাহ। তিনি দাবি করেন, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দেহে এবং গলায় ক্ষতের দাগ ছিল। রূপকুমারের কথায়, বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। যদিও কর্তৃপক্ষ তখন তাঁকে ‘নীতি’ মেনে কাজ করার নির্দেশ দেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
রূপকুমার শাহ এ বিষয়ে একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে রূপকুমার জানিয়েছেন, ‘‘সুশান্ত যখন মারা যান, সে সময় কুপার হাসপাতালে মোট পাঁচটি দেহ এসেছিল ময়নাতদন্তের জন্য। সেগুলির মধ্যে একটি দেহ ছিল ভিআইপি-র। ময়নাতদন্তের সময় জানতে পারি তিনি অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুত। বলিউড অভিনেতার শরীরে একাধিক ক্ষত ছিল। তাঁর গলাতেও দু’-তিনটি দাগ ছিল। ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ শুধু দেহের ছবি তোলার কথা বলেন। সেই নির্দেশ মতো কাজ করেছিলাম।’’

শাহের দাবি, সুশান্ত খুন হয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ‘নীতি’ মেনে কাজ করার কথা বলেন। তাঁর কথায়, ‘‘সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দেহ দেখি সিনিয়রদের জানিয়েছিলাম, আমার মনে হয় এটা আত্মহত্যা নয়। তিনি খুন হয়েছেন। জানিয়েছিলাম, আমাদের নিয়ম মেনে কাজ করা দরকার। যদিও সিনিয়রেরা আমায় দ্রুত ছবি তুলে দেহ পুলিশের হাতে দিতে বলেন। রাতেই সুশান্তের ময়নাতদন্ত হয়।’’
আরও পড়ুন:

ডায়াবিটিসে ভুগছেন? সকালের জলখাবারে কী ধরনের খাবার খেতে পারেন? রইল ডক্তারবাবুর জরুরি পরামর্শ

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১৭: মনের মাধুরী মিশায়ে রচেছি তোমারে ‘কল্যাণী’

উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের একটি আবাসন থেকে ২০২০ সালের জুনে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিনেতার পরিবারের দাবি, সুশান্তকে খুন করা হয়েছে। মু্ম্বই পুলিশের পর সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এবং সিবিআই। সে সময় সুশান্তের বান্ধবী অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে সুশান্তের জন্য মাদক জোগাড়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

Skip to content