ক্রমশ জটিল হচ্ছে অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগটের মৃত্যুরহস্য। এই পরিস্থিতিতে রবিবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজনে হলে সোনালি মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই।
সোনালিকে রাসায়নিক যুক্ত পানীয় অর্থাৎ মাদক খাইয়ে খুন করা হয়। শরীরেও রয়েছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। তাপর আবার পরিকল্পনা করে মৃত্যুর পর তাঁরই বাড়িতে চুরি করা হয়। ক্রমশ জটিল হচ্ছে সোনালির রহস্যমৃত্যু। অভিনেত্রীর পরিবারও মনে করছে, সোনালির মৃত্যুর সমাধান করা খুব সহজ নয়। শনিবার সোনালির পরিবারের সদস্যরা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেই গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত রবিবার সোনালি রহস্যমৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত জানিয়েছেন, “দায়িত্ব গ্রহণ করুক সিবিআই। আমার কোনও সমস্যা নেই। সব আনুষ্ঠানিকতার শেষে যদি দরকার পড়ে, তাহলে মামলাটি সিবিআই-এর হাতেই তুলে দেওয়া হবে।”
বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ রবিবার হরিয়ানার একজন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন এবং মাদক রাখার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। পুলিশ যদিও তাঁর নাম প্রকাশ করেনি। তবে ইনিই সোনালির সহকর্মীদের মাদক জুগিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল।
পাঁচজনের মধ্যে তিনজন মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে গোয়ার আঞ্জুনা বিচের সৈকত-রেস্তরাঁ তথা পাব ‘কার্লিজ শ্যাক’-এর কর্ণধার এডউইন জোসেফ নুনেজও রয়েছেন। আরেক জনের নাম দত্তপ্রসাদ গাঁওকর। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমেই সোনালির দুই সহকর্মী সুধীর সাঙ্গোয়ান এবং সুখবিন্দর সিংকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সুধীর এবং সুখবিন্দর সোনালির পানীয়ে মাদক মেশানোর কথা জেরায় স্বীকারও করেছেন।