শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫


সোনালি।

সোনালি ফোগটের মৃত্যুতে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ রবিবার হরিয়ানার একজন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন এবং মাদক রাখার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। এই নিয়ে মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল। পাঁচজনের মধ্যে তিনজন মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে গোয়ার আঞ্জুনা বিচের সৈকত-রেস্তরাঁ তথা পাব ‘কার্লিজ শ্যাক’-এর কর্ণধার এডউইন জোসেফ নুনেজও রয়েছেন। আরেক জনের নাম দত্তপ্রসাদ গাঁওকর। পুলিশ সূত্রের খবর, তৃতীয় মাদক পাচারকারী অর্থাৎ রবিবার যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনিই সোনালির সহকর্মীদের মাদক দিয়েছিলেন।
এ দিকে, সোনালি ফোগটের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় গোয়া প্রশাসনকে চিঠি লেখার কথা জানিয়েছে হরিয়ানা সরকার। তারা বলেছে, সোনালির মৃত্যু রহস্যের তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার জন্য গোয়াকে অনুরোধ করা হবে। অভিনেত্রী সোনালিকে গত ২৩ অগস্ট গোয়ার একটি হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী সোনালি তাঁর দুই সহকর্মীর সঙ্গে কাজের সূত্রে গোয়ায় এসেছিলেন। প্রথম থেকেই সোনালির পরিবার সোনালির দুই সহকর্মী সুধীর সাঙ্গোয়ান এবং সুখবিন্দর সিংহের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ এনেছে। পুলিশ এই দুজনকে গ্রেফতারও করেছে। সুধীর এবং সুখবিন্দর সোনালির পানীয়ে মাদক মেশানোর কথা জেরায় স্বীকারও করেছেন।
হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী সোনালি তাঁর দুই সহকর্মীর সঙ্গে কাজের সূত্রে গোয়ায় এসেছিলেন। প্রথম থেকেই সোনালির পরিবার সোনালির দুই সহকর্মী সুধীর সাঙ্গোয়ান এবং সুখবিন্দর সিংহের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ এনেছে। পুলিশ এই দুজনকে গ্রেফতারও করেছে। সুধীর এবং সুখবিন্দর সোনালির পানীয়ে মাদক মেশানোর কথা জেরায় স্বীকারও করেছেন।
তদন্তে পুলিশ জানছে, সোনালি মৃত্যুর আগের রাতে, অঞ্জুনা বিচে এডউইনের সৈকত-রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখে এবং অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে মাদক মেশানো পানীয় সোনালিকে খেতে বাধ্য করা হয়। সেই পানীয় খাওয়ার পরই সোনালি ক্রমশ অসুস্থ বোধ করেন। তিনি ঠিকমতো হাঁটতেও পারছিলেন না বলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী সোনালি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, হোটেলে যাওয়ার জন্য তাঁকে অন্যের সাহায্যও নিতে হয়। এই ঘটনার পরের দিন সোনালিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Skip to content