অমলকান্তি বন্ধু খুঁজে বেড়ায়। (চিত্রকলা: সংগৃহীত)
ভাগ- ৮
নাট্যকথা: রোদ্দুর ও অমলকান্তি— মুখবন্ধ ও চরিত্র বিন্যাস
আলো নেভে। মঞ্চ অন্ধকার
ভাগ- ৯
আলো জ্বলে – একটা সবুজ পর্দার সামনে একা অমল কান্তি বসে – ডাক্তারের কথা শুরু হলে কালোচশমাটা পরে নেয়।
মঞ্চের আলো বাড়তে বাড়তে যেন ঝলসে উঠে অন্ধকার হয়ে যায়। তারপর অল্প আলোর রেখায় ডাক্তারকে সাদা আপ্রণ পরে বসে থাকতে দেখা যায় – অমল কান্তি এখন দর্শকের দিকে পিছন ফিরে বসে– তাকে সিল্যুয়েটের মতো দেখায়। হালকা আলোয় দর্শকের মুখোমুখি বসে থাকা ডাক্তার অস্পষ্ট।
নাট্যকথা: রোদ্দুর ও অমলকান্তি/৫
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪: কবে আসবে তুমি মননের সে ‘সহযাত্রী’? [০৯/০৩/১৯৫১]
পুজোর ছুটিতে সপরিবারে ঘুরতে যাচ্ছেন? কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন? রইল ডাক্তারবাবুর জরুরি পরামর্শ
শারদীয়ার গল্প-৫: ধান চোর ইঁদুর
অমলকান্তি আমাদের অন্তর্দৃষ্টি। (চিত্রকলা:সংগৃহীত)
ভাগ- ১০
আবছা মায়াবী আলোয় দেখা যায় আগে দেখা সব কটি পুরুষ নারী চরিত্রেরা নিজের নিজের আসনে –সোমনাথ-বাণী চা-দোকানের
বেঞ্চে –নীতা পিঁড়ে বসে। সকলেই চটি কবিতার বই হাতে –নিজের মতো করে সকলেই অমলকান্তি কবিতাটি পড়ছে – কোরাস নয়। একের থেকে অন্যের গলায় চলে যায় কবিতার অংশ শোনায়
ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম। রোজ দেরি করে ক্লাসে আসত, পড়া পারত না।
এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকত যে, দেখে ভারি কষ্ট হত আমাদের।
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল!
যা নাকি অল্প একটু হাসির মতো লেগে থাকে।
অস্ট্রিয়ার ক্রিস্টাল দুনিয়া— সোয়ার্ভস্কি
শারদীয়ার গল্প-৪: অস্মর্তব্য
শারদীয়ার গল্প-৩: আলোকসংশ্লেষ
অকালে বুড়িয়ে যাচ্ছে ত্বক? তারুণ্য ধরে রাখতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
আলো বাড়তে থাকে আবহের সব গোলমাল মিলিয়ে যেতে থাকে রবীন্দ্র সংগীতের অংশবিশেষের মূর্ছনায়
সুরে সুরে বাঁশি পুরে তুমি আরো আরো আরো দাও তান
মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ”
গান মিলিয়ে যায় আবহে – চরিত্রেরা মঞ্চে ফিরে এসে অমলকান্তির পাশে এসে দাঁড়ায় সমবেত আবৃত্তি –আলো অমলকান্তির ওপর বাড়তে বাড়তে ঝলসে উঠে – কমে আসতে থাকে – তার কালো চশমাপরা মুখটুকু দেখা যায় অন্ধকার মঞ্চে।
পর্দা পড়তে থাকে আবহে সমবেত আবৃত্তির শেষ পংক্তির অনুরণন চলতে থাকে পর্দা বন্ধের শেষ অবধি।
।।সমাপ্ত।।
[এখানে মূল নাটকটি প্রকাশিত হল। তবে বহুরূপী নিবেদিত মঞ্চাভিনয়ে দৃশ্যভাবনা, দৃশ্যান্তরে আবৃত্তি ও গানের ব্যবহার এবং নাট্য-উপস্থাপনায় সামান্য সম্পাদনা ও পরিবর্তন করা হয়েছে।]
[বহুরূপী ব্যতীত আর কোনও নাট্যদলকে এ নাটকের মঞ্চাভিনয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নাটকটি ভারত সরকারের রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস-এ দ্বারা আইনত রেজিস্ট্রিকৃত (L-76713/2018) নাটকের পূর্ণ বা আংশিক মঞ্চ, শ্রুতি বা চিত্রাভিনয় বা কোনপ্রকার অনুবাদ আইনত দণ্ডনীয়]