শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


মুখের আড়ালে লুকিয়ে থাকে যন্ত্রণা। ( চিত্রকলা: সংগৃহীত)

 

ভাগ- ২

আলো জ্বলে অন্য অংশে–প্রশান্তের
নার্সিংহোমের রিশেপসন বেতের
সোফায় বসে আছে– মোটাসোটা
ডাক্তার প্রশান্ত- অমলকান্তি পৌঁছোয়
– কাঁধের ব্যাগ ছাড়া।


অমলকান্তি: কেমন আছিস প্রশান্ত! চিনতে পারচিস তো?

প্রশান্ত: আরে অমলকান্তি! বোস বোস! অনেক রোগা হয়ে গিয়েছিস! খাওয়াদাওয়া করছিস না?

অমলকান্তি: খাচ্ছি তো! আমারটা বোধ হয় হাড়ে শুষে নিচ্ছে!

প্রশান্ত: আমার বেলা সেটা গতরে বাড়ছে বলচিস?! হা হা হা ! কী করছিস?

অমলকান্তি: একটা প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করতাম! সেই গত যুগের ঘটঘটাং। তো কালের নিয়মে সেটা উঠে গেলো। মালিক বিশ্বম্ভর রায় এক সময়ের জমিদার মানুষ-দরাজ মন! সেই লোহালক্কড় সরিয়ে সেখানেই একটা আধুনিক জেরক্স মেসিন বসিয়ে দিলেন। তোর খবর বল!

প্রশান্ত: আমার চলছে নার্সিং হোম বাড়ি। এখন অবশ্য আমি এখানে আপোয়েন্টেড ডাক্তার — আমি চাকরি করি।

অমলকান্তি: চাকরি করিস?

প্রশান্ত: নার্সিং হোমের মালিক আমার খুব পরিচিত- আডমিনিস্ট্রেটিভ দায়-দায়িত্ব সব তার- অ্যান্ড চন্দ্রাণী ইস ভেরি এফিসিয়েন্ট!

অমলকান্তি: চন্দ্রাণী মানে!

প্রশান্ত: হ্যাঁ আমার বউ! ওই এখন সব সামলায়। এ সবের ঝক্কি খুব!

অমলকান্তি: হ্যাঁ আমি জানি! প্রথম ঠিকানা খুঁজে যেদিন এসে ছিলাম সেদিন তোর নার্সিংহোমে বিস্তর ঝামেলা। ডেড বডি থানা পুলিশ!

প্রশান্ত: মানে তুই কি (ফোন বাজে- রিংটোন “আগুনের পরশমণি” –কার কল দেখে অমলকান্তির কাছে সময় চেয়ে নেয় প্রশান্ত) – হ্যাঁ বলুন শান্তাপ্রসাদজি! প্লট দেখেছেন? আপনি স্যাটিসফায়েড? কামালগাজির জমির মতো লিগাল ঝঞ্ঝাট নেই তো? হ্যাঁ হ্যাঁ — ফাইন! দেন প্লিজ গো আহেড – ইয়েস ওক্কে!! হ্যাঁ — কী কথা হচ্ছিল!

অমলকান্তি: সেদিন তোর নার্সিংহোমে বিস্তর ঝামেলা, আমার আসার ব্যাপারটা তোর খেয়াল থাকার কথাও নয়! আমি যখন ঢুকছি তখন তোকে পুলিশের জীপে

প্রশান্ত: ওহ! আই সি! কিন্তু তুই তো তার পরেও বোধহয়…

অমলকান্তি: হ্যাঁ, তখন তোকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু তুই খুব…

প্রশান্ত: ইয়েস আই ক্যান ক্লিয়ারলি রিমেম্বার! তুই জানতে চাইলি কী হয়েছে। অন্য কেউ হলে এড়িয়ে যেতাম। কিন্তু তোকে সেদিন বলে ছিলাম যে সুধীর আমার হয়ে অন্যায়ের সব দায় মাথায় নিয়ে জেলে গিয়েছে! কারণ সুধীরও যে আমাদেরই সঙ্গে স্কুলে…
অমলকান্তি: সুধীর তো তোদের বাড়িতেই মানুষ?

প্রশান্ত: হ্যাঁ! বাবা ওকে বড় করার দ্বায়িত্ব নেন। পড়াশোনায় খুব ব্রিলিয়ান্ট, ইনফ্যাক্ট সুধীর আমি চন্দ্রাণী কমন ফ্রেন্ডস ছিলাম! চন্দ্রাণী ওকেও খুব পছন্দ করতো। কিন্তু ওর এক দাদা আসাইল্যামে ছিল আর ওর একটা ক্রিমিনাল হিস্ট্রি ছিল। তাই ও কিছুতেই বিয়েতে রাজি হল না, চন্দ্রাণীকে আমি বিয়ে করলাম।

অমলকান্তি: অনেক দিনের শাস্তি?

প্রশান্ত: হ্যাঁ! ডাক্তারিটা চিরকালই খুব রিস্কের। জানিস তো লোকে ভাবে ডাক্তাররা — ধন্বন্তরী ভগবান অ্যান্ড হোয়াট নট! কিন্তু একজন ডাক্তার সব রোগীর ক্ষেত্রেই তার বিচার বুদ্ধি অনু্যায়ী একটা মেডিকেল প্রোসিডিওর ফলো করে – কারও ক্ষেত্রে সেটা ফেইল করে পেশেন্ট এক্সপায়ার করে যায়। একজন এঞ্জিনিয়ার মেশিন রিপেয়ারের পরও মেসিন ফেইল করে। একজন সফটওয়ার স্পেশালিস্ট প্রোগ্রাম সাপ্লায়ের পর প্রোগ্রাম ক্রাশ করে। ডাক্তারও তাই! কিন্তু আজকাল তো পান থেকে চূন খসলেই মারধোর করে দিচ্ছে। ফলে উই বিকেম শেকি, মিনিমাল রিস্কে কাজ করছে – (ফোন বাজে- রিংটোন “আগুনের পরশমণি” –কার কল দেখে অমলকান্তির কাছে সময় চেয়ে নেয় প্রশান্ত) হ্যাঁ, হালদার বাবু বলুন! হ্যাঁ শান্তাপ্রসাদের সঙ্গে কথা ফাইনাল হয়ে গিয়েছে আমি ডিল ওক্কে করে দিয়েছি। হ্যাঁ হ্যাঁ, আপনি হ্যাঁ বলে দিন। নিশ্চিন্তে। সন্ধেবেলা ক্লাবে দেখা হচ্ছে বাই।

অমলকান্তি: বাবা তুই তো বহুমুখী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে – আজকাল কী যেন বলে ‘মাল্টি টাস্ক’।

প্রশান্ত: ‘মাল্টি টাস্ক’ কিনা জানি না! তবে নিশ্চিত রোজগার।

অমলকান্তি: প্রোমোটারি?

প্রশান্ত: ঝামেলা ঝঞ্ঝাট লিগাল আপ্রুভ্যাল সব বিল্ডার প্রোমোটারের দায়িত্ব। শান্তাপ্রসাদ। আর আমরা ফাইনান্সার। কোনও ঝামেলা নেই। আমি চালকল মালিক সঞ্জীব হালদার।

অমলকান্তি: চালকল?

প্রশান্ত: হ্যাঁ চালকল। শিক্ষায় আছে আপিস কাছারিতে আছে ব্যবসায় কোন ছুৎমার্গ নেই উঁচুনিচু নেই- স্নবারিস্যম নেই। কারণ টাকার রং আর গন্ধ সমান, সেটা লোহাপট্টি হোক মেছুয়াপট্টি হোক নার্সিংহোম হোক বা মদের দোকান! এতে যা রোজগার মাথায় সামাজিক দায়িত্বের খাঁড়া নিয়ে লক্ষ মানুষের রক্ত পুঁজ-মাংস ঘেঁটেও তার কিয়দংশও হয় না। (আলো নেভে)
 

ভাগ- ৩

আলো জ্বলে লেখকের অংশে – অমলকান্তি টার্ন করে

অমলকান্তি: আমি ভাবতে পারছি না অপু, একজন ডাক্তার এ কথা বলছে! সেদিন কাগজে পড়লাম রাজ্য সরকারের ভর্তুকিতে চলা মেডিকেল কলেজে একজন ডাক্তারি স্টুডেন্টের পেছনে প্রতিবছরে সরকারের খরচ কমবেশি এক থেকে দু’ লক্ষ টাকা।

লেখক চশমাখুলে তাকায় – অমলকান্তি হাত পা নেড়ে অনেক কথা বলে তার কথা শোনা যায় না – লেখকের কথা আবহে শোনা যেতে থাকে।

লেখক (আবহ): আমাদের মধ্যে যে এখন মাস্টারি করে অনায়াসে সে ডাক্তার হতে পারত, যে ডাক্তার হতে চেয়েছিল, উকিল হলেও তার এমন কিছু ক্ষতি হতো না।

কাজের মাসি রেণুদি চা নিয়ে আসে– লেখকের সম্বিত ফেরে অমলকান্তি এসে চা নেয়।

রেণুদি: দাদা আপনাদের চা!

অমলকান্তি: ওফ রেণুদি আপনার টাইমিং-এর জবাব নেই। তুস।

কাজের মাসি রেণুদি অবাক হয়ে তাকাতেই অমলকান্তি বোকার মতো কথাটা গিলে নেয়-রেণুদি চলে যায় – লেখক একটু অবাক হয়ে বলে।

লেখক: রেণুদিকে আর কিছু বানাতে বলব!

অমলকান্তি: নানা!

লেখক: আরে আমি তো বুঝতে পারলাম তুমি যেন কিছু বলতে গিয়ে সঙ্কোচে শেষমেষ আর বললে না!

অমলকান্তি: অসাধারণ! এই জন্যেই তোমার লেখার কবিতা গানের এতো কাটতি- প্রায় সাড়ে বিরানব্বই ভাগ ঠিক বলে দিলে কিন্তু কিছু মনে করো না লেখক। ওই যে সাড়ে সাত শতাংশের তফাৎ, ওইটেই শনির সাড়ে সাতির মতো তফাৎ করে দিচ্ছে। বিভূতিভুষণ হচ্ছে না, সত্যজিৎ হচ্ছে না সুধীন দাশগুপ্ত হচ্ছেনা সলিল চৌধুরী হচ্ছে না। আনন্দ বক্সি এস ডি আর ডি বর্মণ লতা আশা কিশোর শ্যামল মান্না আরতি হেমন্ত সন্ধ্যা স্পর্শ করা যাচ্ছে না। সফটওয়ার আছে কম্পিউটার আছে অঢেল কর্পোরেট টাকার প্রমোশন আছে ছবি আছে টিভি আছে, কিন্তু কিছুতেই আর তফাত মোছা যাচ্ছে না।

লেখক: তার মানে ভালো যা কিছু সব আগে হয়ে গিয়েছে – এখন আর কিছু হচ্ছে না- এই তো।

অমলকান্তি: না না হচ্ছে তো। সংখ্যায় পিল পিলে বাচ্চার মতো গণ্ডায়-গণ্ডায় হচ্ছে। এতো হচ্ছে – এ তো খারাপ বা এতো একই রকম হচ্ছে কাউকে আর আলাদা করে মনে থাকছে না।
আরও পড়ুন:

নাট্যকথা: রোদ্দুর ও অমলকান্তি/১

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩: এক ফ্লপ মাস্টার জেনারেল-র ‘মর্যাদা’ [২২/১২/১৯৫০]

ছোটদের যত্নে: সুস্থ ও পরিপুষ্ট সন্তানের জন্য এগুলি মেনে চলছেন তো? সন্তানসম্ভবাদের জরুরি পরামর্শে শিশু বিশেষজ্ঞ

মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৩২: নির্জন বনপথে একাকিনী দময়ন্তী হেঁটে চলেন

ছোটদের গল্প: মায়ের আদর

লেখক: সেটা সময় পালটে যাবার জন্যে – লাইফ অনেক ফাস্ট হয়ে গিয়েছে – একটা জিনিস নিয়ে পড়ে থাকার সময় কোথায়।

অমলকান্তি: হে বন্ধু আজও কিন্তু রাত কেটে একটু একটু করে ভোর হয়– গোলাপ কিন্তু আজও একটু একটু করেই ফোটে – আকাশ জুড়ে একমাস পরেই একটু একটু করে সোনার থালার মতো চাঁদ জন্মায় প্রতি পূর্ণিমায়। তখনি জ্যোৎস্না ছড়িয়ে পড়ে তোমার আমার মনে, তার আগে নয়। তবে হ্যাঁ, সময় পাল্টাছে সমাজ পাল্টাছে মানুষ পাল্টাছে তাই আমায় নীতা বলে দিয়েছে এ যুগের কোড অফ কন্ডাক্ট মেনে চলতে। নাহলে বাউণ্ডুলে ব্যাচেলর হিসেবে আমার নাকি সমূহ বিপদ। আর সে কারণেই ঠিক সময়ে চা-টা পেয়ে ঠোঁটে এসে গেল কথাটা। কিন্তু রেণুদিকে না বলে কথাটা পেটে চালান করে দিলাম- অথচ দিনে রাতে নীতাকে বারো চোদ্দবার বলি – নীতা ‘তুসসি গ্রেট হো’— গ্রেট না হলে আমার মতো একটা অদ্ভুত লোকের জন্যে এত কষ্ট করে এখানে থেকে গেলো, টেলারিং শপ চালাচ্ছে। ও স্বচ্ছন্দে ছেলের সংসারে আডজাস্ট করে বোম্বেতে থাকতে পারতো, শাশুড়ি হিসেবে সে কোয়ালিটি ওর নিঃসন্দেহে আছে – ওই সিনেমাটা আমায় নীতাই দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল। কী সাংঘাতিক টিকিটের দাম গো। ভাগ্যিস সত্যজিৎ রায় আজ আর ছবি করবেন না, পয়সার জন্যে ওঁর ছবি হলে না দেখতে পেলে খুব কষ্ট হতো।

ভাবনার আঁচড়। (চিত্রকলা: সংগৃহীত)

লেখক: আর কারও ছবি ভালো লাগে না?

অমলকান্তি: ভালোলাগাটা তো নিজের নিজের। অনেকটা আমাদের ওই ক্যানাল ইস্ট রোডের দুফালি ঘরের বাড়িটার মতো, চেঁচামিচি-টিভির খবর সিরিয়াল হিন্দি গান কালীমন্দিরের শাঁখ ঘণ্টা খালের ওপারে মালগাড়ি আর সারক্যুলার রেলের ঘস ঘস –এটা ছাড়া আবার মন বসাতে পারি না। নিজের বলে মনে হয় না, ওঁর ছবিতে যেন নিজেকে দেখতে পেতাম আর কারও ছবি দেখতে গেলে সেটা, হ্যাঁ, তপন সিনহা ভালো লাগত আর হ্যাঁ, ওই ছেলেটি ঋতুপর্ণ ঘোষ। ওর কয়েকটা ছবিতে আমার অমন ফিলিংস হয়েছিল, কিন্তু সেও-তো অকালে।
আরও পড়ুন:

ত্বকের পরিচর্যায়: দাদের সমস্যায় জেরবার? এই সব মানলে সারবে অসুখ

এক সপ্তাহে ৭ কেজি পর্যন্ত ওজন কমতে পারে শসার এই স্পেশাল ডায়েট মেনে চললে

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৪: যুদ্ধযাত্রী নবীনকিশোর, ভীত-শঙ্কিত পিতৃহৃদয়

মাইগ্রেনও পুরোপুরি সেরে যেতে পারে, জেনে নিন এর থেকে বাঁচার সহজ উপায়

লেখক: তা তোমার কোড অফ কন্ডাক্টটা কীরকম- আমাকেও তো শিখতে হবে তাহলে।

অমলকান্তি: নানা তোমার চিন্তা নেই। এক নম্বর তুমি ব্যাচেলর নও বিপত্নীক। আর সবচেয়ে বড় কথা তুমি বিখ্যাত মানুষ। এটা আমাদের মতো অখ্যাত ব্যাচেলর বাউণ্ডুলেদের জন্যে, যেমন ধরো বাসে উঠে বসার জায়গা পেয়ে গিয়েছি। এমন সময় পাঁচ-ছ বছরের একটা স্কুলফেরতা মেয়েকে নিয়ে তার মা উঠলো এক হাতে স্কুলের বস্তা অন্যহাতে টিফিন বস্তা- আমি স্বছন্দে মামনিকে কোলে নিয়ে বসতে পারি মানে বছর দশেক আগেও তাই করেছি- কিন্তু হালের কোড অফ কন্ডাক্ট বলছে — এখন সেটায় যথেষ্ঠ ঝুঁকি ও বিপদ। যদি পরোপকারের ছারপোকা খুব কামড়ায় তাহলে নিজের সিটটিকে রাজা হর্ষবর্ধনের মতো দান করে দেওয়া অনেক শ্রেয়। তাতে কোনও বিপদ আপদ নেই বরং নামার সময় একটি বাড়তি টাটা পাবার সম্ভাবনা প্রবল।

লেখক: বাবা তোমার ভাইঝি তোমায় এই সব ট্রেনিং করাচ্ছে।

অমলকান্তি: নানা! বেশ কিছুদিন আগে মুখ ফসকে বলে দিয়েছিলাম। এতো অল্প বয়সে বিধবা হলি, তোকে ভালোবেসে সে ছেলে সারাজীবন বিয়ে করল না। এত কৃতী ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও তোকে বিড়ম্বনায় না ফেলতে অজ পাড়াগাঁয়ে গিয়ে গরীব মানুষের চিকিৎসা শুরু করলো। আর এমনি নিয়তি যে তোর পঙ্গু ছেলেকে তোর সেই বন্ধুই প্রায় অলৌলিকভাবে সারিয়ে তুললো। তবু সামাজিক সঙ্কোচ আর ভয়ে যাকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছিলি তাকে বিয়েটা করতে পারলি না। (আলো নেভে) — চলবে

[বহুরূপী ব্যতীত আর কোনও নাট্যদলকে এ নাটকের মঞ্চাভিনয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নাটকটি ভারত সরকারের রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস-এ দ্বারা আইনত রেজিস্ট্রিকৃত (L-76713/2018) নাটকের পূর্ণ বা আংশিক মঞ্চ, শ্রুতি বা চিত্রাভিনয় বা কোনপ্রকার অনুবাদ আইনত দণ্ডনীয়]

Skip to content