রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


নানা রঙের মুখ। ( চিত্রকলা: সংগৃহীত)

 

ভাগ- ৪

আলো জ্বলে অমলকান্তির ক্যানাল ইস্ট রোডের দু’ফালি ঘরের একটিতে- তোলা উনুনে চাপা দেওয়া অ্যাল্যুমিনিয়মের হাঁড়ি। পিঁড়েতে বসে হাঁটুতে কনুই মুড়ে তার ওপর চিবুক ছুঁইয়ে হাঁড়ির দিকে তাকিয়ে নীতা (৪২/৪৩) – আবহে চেঁচামিচি-টিভির খবর সিরিয়াল হিন্দি গান কালীমন্দিরের শাঁখ ঘণ্টা খালের ওপারে মালগাড়ি আর সার্কুলার রেলের ঘস ঘস –তার মধ্যে শব্দ করতে করতে মুখকুলি হাত-পা ধোওয়ার মধ্যে নেপথ্যে অমলকান্তি কথা বলে চলেছে – ঘরে একা নীতা

অমলকান্তি(নেপথ্যে): কেন সারাজীবন বৈধব্যের যন্ত্রণা বেছে নিলি?! বিয়েটা করলে তো এই একাকীত্বের থেকে বাঁচতে থেকে পারতিস!! সময় পাল্টেছে!

নীতা: ছোটকা! দুমদাম এমন সব কথা বলো না যার কোনও মাথামুণ্ডু নেই!
পায়জামা পরে আদুল গায়ে শুধু গামছা জড়িয়ে অমলকান্তি এসে সেই হাতল ভাঙ্গাচেয়ারে বাবু হয়ে বসে।

অমলকান্তি: কারণ সহ ব্যাখ্যা করো। দুমদাম ও মাথামুণ্ডু শব্দবন্ধের তাৎপর্য উল্লেখ্য।

নীতা: এটা ঠাট্টার বিষয় নয় ছোটকা- বাবু আপিস ছুটি করে বউকে নিয়ে থানে থেকে আসবে তার আধবুড়ি মায়ের বিয়ের যোগাড় করতে?!

অমলকান্তি: কী মুশকিল আমি কি এখনকার কথা বলছি? যখন বাবু ছোট ছিল!

নীতা: আচ্ছা বেশ আমার কপাল দোষে যদি আমার পরের স্বামীও – না- বলো না? তাহলে কী একাকীত্ব কাটাতে সামাজিক সঙ্কোচকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আমি একটার পর একটা বিয়ে করে যাবো!
অমলকান্তি কিছু বলতে যায় – সশব্দে ট্রেন যায়- অমলকান্তি ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে অপেক্ষা করে- শব্দ অপসৃয়মান হতে কথা বলে

অমলকান্তি: একটার পর একটা বিয়ে- এটা তোর অপযুক্তি!

নীতা: না- আমি চাইনি ওই বয়সে বাবুর মনে কোনও চাপ আসুক! খুব ছোট্ট তাই বাবা চলে যাওয়াটা সে ভাবে ফিল করেনি বাবু আর হাঁটতে না পারাটা একটা ভীষণ ট্রমা ছিল ওর কাছে! অপারেশন হল ও সুস্থ হল- তখন পড়াশোনাকে ও আঁকড়ে ধরলো। তখন আমি যদি স্বার্থপরের শুধু আমার নিজের সুখের জন্যে বিয়ে করতাম –ছেলেটা মানসিক ভাবে একা হয়ে পড়তো ওর ক্ষতি হতো।

অমলকান্তি: আচ্ছা নীতা তোর মনে হয় না দ্বিতীয় বিয়েটা করলে বাবুকে তোরা দুজনে মিলে আরও ভালোভাবে মানুষ করতে পারতিস??

নীতা: না ছোটকা। একটা বাচ্ছাকে ৬ বছর আমি আগলে রেখেছি –সে আমার কাছে সম্পদ তাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না- যে বা যিনি আমায় ভালোবাসেন সে বা তাঁর কাছে কোনও এক দূর্বল মূহুর্তে আমিই প্রধান, বাবু নিছক দায় বা দায়িত্ব হয়ে উঠতেই পারতো- আমি বাবুকে সবটুকু দিয়ে একা যেভাবে বড় করেছি শিক্ষিত করেছি মানুষ করেছি- আমাদের মধ্যে আর কেউ এসে পড়লে সেটা কঠিন হতো। তাই আমি নিজের চারপাশে স্বেচ্ছায় একটা গণ্ডী টেনে রেখেছি – এটাই স্বাভাবিক জীবনের কোড অফ কন্ডাক্ট। তাই আমরা অস্বাভাবিকতা নিয়ে এখন আলোচনা করতে পারছি।

অমলকান্তি: দশে দশ! কিন্তু বাবু মানুষ হয়েছে বলে যেটা দাবি করছো সেটা আমি মানি না!

নীতা: উদাহরণসহ কারণ ব্যাখ্যা করো!

অমলকান্তি: তুই এতদ্দিন বাদে কলকাতা এলি, কি বলে তুই বউকে নিয়ে শিকদার বাগানে শ্বশুর বাড়িতে উঠলি। এত বচ্ছর এই ক্যানাল ইস্ট রোডের বাড়িতে তুই বেড়ে উঠলি- এটা তোর উচিত কাজ?মানুষের মতো কাজ!

নীতা: বাবু বাবুর বউকে আমি শিকদার বাগানে ওর শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়েছি – ওরা নিজে থেকে যায়নি –কেন বলেছিলাম?
নীতা কিছু বলতে যায় – সশব্দে ট্রেন যায়- অমলকান্তি ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে অপেক্ষা করতে বলে- শব্দ অপসৃয়মান হতে কথা বলে

অমলকান্তি: কেন বলেছিলে?

নীতা: সেই কেনটা জানতে তোমার মতো ব্যাচেলর বাউণ্ডুলেকে আজকের কোড অফ কন্ডাক্টটা ভালো করে বুঝতে হবে! সময়টা পাল্টেছে – কাল যেটা স্বাভাবিক ছিল আজ সেটা অস্বাভাবিক আবার একই ভাবে হয়তো কালকের অস্বাভাবিক অসম্ভবটা আজ অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং সম্ভব।

অমলকান্তি: পুরোটা গুলিয়ে গেল!

নীতা: তোমার গুলিয়ে যাবার মতো সহজ বিষয় নয় এটা! তুমি বুঝতে পারছো বুঝতে চাইছ না!- বাবু বিয়ে বউভাত চুকিয়ে পরদিনই বউ নিয়ে ফিরে গিয়েছে থানেতে – ও ছুটি পায়নি। ওদের বউভাত হয়েছিল বাবুর বিয়েবাড়ি ভাড়াদেওয়া বন্ধুর বাড়িতেই –এক যাবার দিন সকালে আর এবার কলকাতায় এসেই সে আমাদের এই ক্যানাল ইস্ট রোডের বাড়িতে পা দিল। এখানে যে উঠবে, ওরা থাকবে কোথায়? রাতে শোবে কোথায় এই দু’ ফালি কামরায়??
অমলকান্তি: কেন? আমি আর বাবু ওই তক্তপোশে আর ওঘরের ক্যাম্পখাটে তুই আর নতুন বউ! তবে তুই যদি বলতিস ওই কটা দিন আমি মজাসে অপুর ষোলোতলায় কাটিয়ে দিতুম!- অপু তো একাই। প্রায়ই বলে! তবে আমি বলেই দিয়েছি ওখানে অনেক ঝামেলা- খেয়ে ঢেঁকুর উঠবে না! তুই পিঠ চুলকে না দিলে রাতে ঘুম হবে না। সকালে ইয়ে হবে না।

নীতা: দাঁড়াও দাঁড়াও! তুমি তোমার বন্ধুকে বলেছো যে তোমার ভাইজি নীতা পিঠ চুলকে না দিলে তোমার ঘুম আসে না?!!

অমলকান্তি: হ্যাঁ বলেছি। এর মধ্যে ৩০২-ধারার খুনের মামলাটা কি সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

নীতা (হঠাৎ চটে): ছোটকা তুমি (নিজেকে সংযত করে) ছোটকা তুমি এটা বোঝ না যে তোমার এই সিম্পল স্টেটমেন্টগুলো আজকাল কত কমপ্লেক্স সিচ্যুয়েশন তৈরি করে –সময়টা বদলেছে সমাজটা বদলেছে মানুষ বদলেছে –সহজকে অনুমানের মশলায় জটিল রগরগে করা আজকাল মানুষের অভ্যেস – কাগজের শব্দ ছক ভরার মতোই একটা টাইম পাস।

অমলকান্তি: বলাটা ঠিক হয়নি, না? আমি আসলে এতো ডিপ-লি ভাবিনি।

নীতা: ঠিক। তুমি ভাবো না – আর ভাবো না বলেই বুঝতে পারো না একটা কমবয়েসী নতুন বউয়ের সামনে এরকম গামছা গায়ে বসে পা দোলানো তোমার উচিত নয় – সেই মেয়েটার এই দু’ফালি ঘর আর বারোয়ারি কলঘরের বাড়িতে থাকাটা ঠিক নয়- নীতা পিঠ না চুলকোলে ঘুম হয় না এটা লোকের কাছে বলাটা উচিত নয়! অপু একবার ভদ্রতা করে বলেছে বলেই দুম করে গিয়ে তার বাড়ি ওঠাটা ঠিক নয় কারণ তার একটা টিনেজ নাতনি আছে!

অমলকান্তি: আরে বাবা আমি তো বুড়োমানুষ ৬০ পেরিয়েছি!

নীতা: তাই তোমার গণ্ডী আরও স্পষ্ট হওয়া উচিত!

অমলকান্তি: ককেশিয়ান চক সার্কেল- খড়িমাটির গন্ডি – ব্রেখটের বিখ্যাত নাটক।
(আলো নেভে)
আরও পড়ুন:

নাট্যকথা: রোদ্দুর ও অমলকান্তি/২

ছোটদের যত্নে: বাচ্চা খেতেই চায় না? কী করে খিদে বাড়াবেন? কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? জানুন শিশু বিশেষজ্ঞের মতামত

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪: ধীরে চলো ‘ওরে যাত্রী’ [০২/০২/১৯৫১]

নিয়ম মানুন, সুস্থ থাকুন—পুজোয় ভালো থাকার সহজ উপায় জানালেন ডাক্তারবাবু

 

ভাগ- ৫

(আলো জ্বলে পার্কের অংশে –সেখানে দামী ট্র্যাকস্যুট পরে পার্কের সবুজ কাঠের বেঞ্চে এক্সারসাইজ করছে বিদেশী কোম্পানির
দাপুটে বড় সাহেব শ্যামলেন্দু চ্যাটার্জী এখন ৬০/৬২ চোখে রিমলেস চশমা – লম্বা- ক্লিন শেভড)

জনৈক বয়স্ক (হাঁটতে হাঁটতে চলে যায়): গুড মর্নিং শ্যামলেন্দু! শুরু করনি??

শ্যামলেন্দু: ওয়ার্মাপ করছি!
বয়স্ক লোকটি চলে যান। কাঠের বেঞ্চ ধরে এক্সারসাইজ করছে শ্যামলেন্দু। অমলকান্তি কাঁধে ব্যাগ নিয়ে শ্যামলেন্দুর সামনে দাঁড়ায়।
শ্যামলেন্দু একটু বিরক্ত হয়। কিন্তু অমলকান্তি সরে না।

শ্যামলেন্দু: কিছু বলবেন?

অমলকান্তি: আপনি দেখেছেন?

শ্যামলেন্দু: কি ?

অমলকান্তি: ককেশিয়ান চক সার্কেল- খড়িমাটির গন্ডি – ব্রেখটের বিখ্যাত নাটক।

শ্যামলেন্দু: না! (স্বগতোক্তি) অদ্ভূত প্রশ্ন!

অমলকান্তি: আপনাকে সাত সকালে বোধহয় একটু বিরক্ত করলাম।

শ্যামলেন্দু: আপনাকে আমি চিনি না তো- তাই – হ্যাঁ! বিরক্ত একটু হয়েছি। বলুন!

অমলকান্তি: বলার মানে কয়েকটা কথা জানার ছিল।

শ্যামলেন্দু: আমার কাছে। কাম অন! হাউ ডু ইউ নো মি! আর আমি আপনার প্রশ্নের জবাব দেবই বা কেন?

অমলকান্তি: কারণ উত্তরগুলো আপনার জানা!

শ্যামলেন্দু: আপনার কথা আমি কিছুই – আপনি কি জার্নালিস্ট? নাকি আস্ট্রোলজার?

আরও পড়ুন:

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব- ১: রামায়ণী কথামুখ — শোক থেকে শ্লোক…

ডিমেনশিয়া ও অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকির মধ্যে আপনি নেই তো? সতর্ক হতে হবে গোড়াতেই/ পর্ব: ১

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১৯: শাড়ি পরার ধরনধারণ‌ বদলেছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী

ছোট্ট সোনামণির পুষ্টি নিয়ে চিন্তিত? তাহলে এই সব বিষয়গুলিতে নজর দিন

অমলকান্তি: এদের প্রশ্নছাড়া উত্তর দেন না বুঝি?!
শ্যামলেন্দু অমলকান্তির মুখোমুখি দাঁড়ায় – ঘাড় বেঁকিয়ে অমলকান্তিকে দেখে । অমলকান্তি বিকারহীন।শুধু ব্যাগটা বদলে এক কাঁধ থেকে থেকে অন্য কাঁধে নেয়। শ্যামলেন্দু হাল ছেড়ে মাথা নামিয়ে কিছু ভাবে তারপর মনস্থির করে বেঞ্চে বসে পড়ে।

শ্যামলেন্দু: বসুন! বলুন কি জানতে চান? কোম্পানির শেয়ার ভ্যালু নিয়ে কোন টিপস আমি দিতে পারবো না সেটা আগেই বলে রাখছি।

অমলকান্তি: আপনি তো প্রায় দু’বছর আগে হিন্দুস্থান পিটার্স থেকে রিটায়ার করেছেন। আজ তো আপনি কোম্পানির কেউ নন! আপনার কাছে কেউ কেন সে প্রশ্ন করবে? লাভ কী? আচ্ছা শ্যামলেন্দু একটা সময়ে আপনি পিটার্সের সঙ্গে আপনার জীবনটা জড়িয়ে ফেলেছিলেন- এখন ছাড়াতে পেরেছেন (শ্যামলেন্দু মাথা নামিয়ে ভাবে যুৎসই উত্তর খোঁজে) বোধহয় না! ওই চেয়ার ওই ক্যাবিন। টেলিফোন তুলে চাপা দম্ভের সঙ্গে ‘চ্যাটার্জী’ বলা। এর বাইরে আপনার সত্যি কোন সত্তা নেই! ঠিক কি না?!

শ্যামলেন্দু: দেখুন এসব আজেবাজে কথা শোনার সময় আমার নেই। আপনি বয়স্ক তাই ভদ্রতা করেছি মাত্র। দ্যাটস অল!

অমলকান্তি: এটা তো আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি – যাকে আজকাল ইউএসপি বলে- ইউনিক সেলিং প্রপসিশন। নিজেকে বিক্রি করার কায়দা। আপনার ঝকঝকে বুদ্ধিদীপ্ত ভদ্রতা হল সেই ম্যাজিক- যার আড়ালে হিংস্র নখ দাঁত গুটিয়ে লুকিয়ে রয়েছে আসল উদ্দেশ্য- প্রোফেসশনাল টার্গেট। এটা দিয়েই আপনি রুনু স্যান্নালকে ভোকাট্টা করে দিলেন। আচ্ছা প্রোফেশনালিসমের আসল বাংলা মানেটাকি আজকাল ‘ধান্দাবাজি’?

শ্যামলেন্দু: স্টপ ইট আই সে!

অমলকান্তি: কোম্পানির আডিশন্যাল ডিরেক্টার হবার আগে কিন্তু আপনি এতো চটে যেতেন না মিঃ শ্যামলেন্দু চ্যাটার্জী। তালুকদারকে মনে আছে আপনার?

শ্যামলেন্দু: আপনি তালুকদারকেও চেনেন? ঠিক করে বলুনতো কে আপনি?
আবার সেই বয়স্ক লোকটি যাচ্ছেন- শ্যামলেন্দুকে আওয়াজ দিয়ে যায়।

জনৈক বয়স্ক (হাঁটতে হাঁটতে চলে যায়): কী হল শ্যামলেন্দু! রোদ্দুর চড়ে যাচ্ছে!

শ্যামলেন্দু: হ্যাঁ! এই যাবো!

অমলকান্তি: এমন একটা পরিস্থিতি – আপনার মানসম্মান চুলোয় তুলে আমাকে মারধোর করে আপনি এখানে সিন ক্রিয়েট করতেও চান না অথচ আপনি আমাকে জাস্ট নিতে পারছেন না। ঠিক কি না?!

শ্যামলেন্দু: আপনি কে?

একা এক বিকেল বেলায়।(চিত্রকলা:সংগৃহীত)

অমলকান্তি: এটা বোঝা গেলো আপনি তালুকদারকে ভুলতে পারেন নি। যদিও আডিশন্যাল ডিরেকটার হবার পর কখনও তালুকদারকে আপনার প্রয়োজন হয়নি আর ন্যাচারালি সে আপনার ঘরে ঢোকার অনুমতিও পেত না। মিঃ তালুকদার – ১৩ বছর লেবার অফিসার ছিলেন – পারসোনাল অফিসার হবার পর – আপনাকে কথায় ফ্যাক্টরিতে লেবার আন্রেস্ট ঘটালেন। আপনার পদোন্নতি হল। ব্যাস! তাই আপনি জানেন না এখন তালুকদার একজন ক্রনিক রেনাল ফেলিওরের পেশেন্ট আর রিটায়ারমেন্টের পর কোন গতিকে বেঁচে আছে।

শ্যামলেন্দু: সরি এটা আমি জানতাম না।

অমলকান্তি: আর ফ্যাক্টরিতে বোমা পড়ায় যে বুড়ো ওয়াচম্যানের চোট লেগেছিল ওই যে লোকটি ডায়াবেটিসের পেশেন্ট! মনে পড়েছে?

শ্যামলেন্দু তাকিয়ে থাকে কিন্তু জবাব দেয় না।

অমলকান্তি: ওই নিরীহ মানুষটার ডানচোখটা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে- আঘাতটা তখনকার। ডানচোখের নার্ভটা এখন শুকিয়ে যাচ্ছে! আপনাদের উচ্চাকাঙ্খা এতই তীব্র এত ভয়ংকর যে তার জন্য আপনারা দরকার হলে মানুষ খুন পর্যন্ত করতে পারেন!

শ্যামলেন্দু: তখন থেকে বাজে কথা বলে যাচ্ছেন! ফ্যাক্টরিতে লেবার ট্রাবল হয় এবং স্বাভাবিক! কেউ খুন হয়নি!

অমলকান্তি: হয়েছে।

শ্যামলেন্দু: কে?
—চলবে

[বহুরূপী ব্যতীত আর কোনও নাট্যদলকে এ নাটকের মঞ্চাভিনয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নাটকটি ভারত সরকারের রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস-এ দ্বারা আইনত রেজিস্ট্রিকৃত (L-76713/2018) নাটকের পূর্ণ বা আংশিক মঞ্চ, শ্রুতি বা চিত্রাভিনয় বা কোনপ্রকার অনুবাদ আইনত দণ্ডনীয়]

Skip to content