বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


মঙ্গলবার রোদ্দূর রায়কে তাঁর গোয়ায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করার পর আজ তাঁকে কলকাতায় আনা হল। লালবাজারের লকআপে বুধবার রাতে তাঁকে রাখা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ আধিকারিকেরা বুধবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ রোদ্দূরকে নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। তারপর বিমানবন্দর থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। রাতে লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে রাখা হবে ইউটিউবার রোদ্দূর রায়কে। গ্রেফতারের পর রোদ্দূরের ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করা হলে গোয়ার আদালত তা মঞ্জুর করে। এর পর পুলিশ আধিকারিকেরা রোদ্দূরকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।
রোদ্দূর রায় কলকাতায় ফিরেও একেবারে অন্য মুডে। রাতেও তাঁর চোখে রোদচশমা। ফেসবুকের মতো একেই ভাবে বিমানবন্দরের বাইরেও রোদ্দূর হাত-পা ছুঁড়ে বলতে লাগলেন, ডোন্ট টাচ মি, কিপ ডিসট্যান্স। এরপর রোদ্দূরকে কোনওরকম গাড়িতে তুলে পুলিশ রওনা দেয় লালবাজারের দিকে।
উল্লেখ্য, রোদ্দূরের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর শনিবার ঋজু দত্ত চিৎপর থানায় অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রোদ্দূরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা লাগানোর জন্য উস্কানি, শত্রুতা তৈরির চেষ্টা বিভিন্ন ধর্মীয়, জাতি ও ভাষাগত সম্প্রদায়ের মধ্যে, মানহানিকর মন্তব্য করা, মহিলাদের অসম্মান এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় (১৫৩, ১৫৩এ, ৫০১, ৫০৫, ৫০৯, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৪, ৪৭১, ১২০বি) মামলা দায়ের করেছে।
কেকে-র মৃত্যুর পর রোদ্দূর ফেসবুক লাইভে গায়ক রূপঙ্কর বাগচী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। পাশাপাশি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন সম্পর্কেও রোদ্দূর এ ধরনের মন্তব্য করেন। এ নিয়ে গত শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

Skip to content