গরফার ফ্ল্যাট থেকে গত ১৫ মে অভিনেত্রী পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় তার গলায় জড়ানো ছিল বিছানার চাদর। মেয়ে যে আত্মহত্যা করতে পারে তা পল্লবী বাবার নিলু দে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেননি। এমনকী তার দাবি ছিল, নিশ্চয়ই কেউ ওকে খুন করেছে। এরপরই তিনি পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা এবং তাঁর লিভ-ইন-সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গরফা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। কিন্তু যত দিন এগোচ্ছে পল্লবীর রহস্য মৃত্যু ঘিরে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। সেইসঙ্গে নতুন নতুন চরিত্রও সামনে আসছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পল্লবী আত্মহত্যা করেছেন এই তথ্য উঠে এলেও তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ কী তা খুঁজতে পল্লবী এবং মূল অভিযুক্ত স্বাপ্নিক চক্রবর্তীর ফোন বারবার খুঁটিয়ে দেখেছেন তদন্তকারী দল। তবে দু’জনেরই ফোন থেকে একটি নাম বারবার উঠে এসেছে। সেই নামটি হল স্টিভ। জানা গিয়েছে, সাগ্নিক এবং পল্লবীর সঙ্গে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও ছিল এই ব্যক্তির সঙ্গে। তাছাড়া সাগ্নিক যে বেআইনি কলসেন্টার চালাতেন টিম নামে এক ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া যায় সেখানেও। সেই কল সেন্টারের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই স্টিভও আছেন। কে ইনি? পল্লবী এবং সাগ্নিকের সঙ্গে তার যোগসুত্রই বা কি তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সাগ্নিক যে বেআইনি কল সেন্টার চালাতেন তাঁর কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারী দল প্রাথমিকভাবে মনে করছে, এই ব্যক্তি আর কেউ নন স্বয়ং সাগ্নিকই। অস্ট্রেলিয়ায় সঙ্গে যোগ ছিল সাগ্নিকের এই কল সেন্টারের। সাগ্নিক নিজেকে স্টিক বলে পরিচয় দিতেন অস্ট্রেলিয়ার পরিচিতদের কাছে। তবে তদন্তকারী দল খতিয়ে দেখছে সাগ্নিক এই নাম অন্য কাজেও ব্যবহার করতেন কিনা। এদিকে, বৃহস্পতিবার ৩০ মে পর্যন্ত সাগ্নিককে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। সাগ্নিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী দল।