অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ক্রিস রককে চড় উইল স্মিথের।
অস্কারের মঞ্চে ঝড়! ‘কিং রিচার্ড’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য অভিনেতা উইল স্মিথ অস্কার পুরস্কার নিতে ওঠেন ২০২২ অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড৷ মঞ্চে প্রকাশ্যে চড় মারলেন কমেডিয়ান ক্রিস রককে। উইলের অসুস্থ স্ত্রী জাডা পিঙ্কেটকে নিয়ে করা রসিকতার মধ্যেই অশালীনতার গন্ধ পান স্মিথ এবং বেজায় চটে চড় মেরে বসেন প্রকাশ্য মঞ্চেই। হলিজগতের এই ঘটনা স্বভাবতই প্রভাব ফেলেছে বলি এবং টলিজগতেও। স্মিথের এহেন আচরণের ঔচিত্য-অনৌচিত্য নিয়ে সরব টলি ও বলিজগতের তারকারা, মুখ খুলেছেন বিশিষ্ট বিদ্বজ্জনেরাও। অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরির মতে, স্মিথ যা করেছেন একদম ঠিক করেছেন। টোটার মতে ‘আমি হলে আর দু-তিনটে চড় বেশি মারতাম।’ অপরদিকে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের মতে, ‘প্রতিবাদ করেছেন খুবই ভালো কথা, কিন্তু চড় মারার কি প্রয়োজন ছিল? ক্রিস রক তো কেবল রসিকতা করছিলেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ তো করেননি। হিংসা কখনওই কাম্য নয়, কিন্তু চড় না মারলেও তো চলত।’ স্পষ্টতই বললেন শ্রীলেখা। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রসঙ্গও টানলেন তুলনা হিসাবে। অভিনেতা, সঞ্চালক মীর আফসার আলির ঋতুপর্ণকে নিয়ে করা রসিকতারও জবাব দিয়েছিলেন পরিচালক, কিন্তু তার জবাব দিতে গিয়ে কোনওরকম আক্রমণাত্মক আচরণ প্রকাশ পায়নি তার মধ্যে। আবার কন্ট্রোভার্সি বলি কুইন কঙ্গনা রানাওত একশো শতাংশ সমর্থন করেছেন স্মিথকে। পাশাপাশি ক্রিস রককে তার রিয়েলিটি শো ‘লক আপ’-এ আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
আদতে কী হয়েছিল ৯8তম অ্যাকাডেমির অ্যাওয়ার্ড মঞ্চে? সঞ্চালক ক্রিস রক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মধ্যেই জুড়ে দিচ্ছিলেন রসিকতার টুকরো পাঁচফোড়ন। এই রসিকতার অংশ হিসাবেই তিনি বেছে নেন উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেটকে। বলেন, ‘আমি জি আই জেম সিক্যোয়েল ২-এর অপেক্ষায় আছি।’ প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা দরকার জি আই জেনে জাডা পিঙ্কেট অভিনীত চরিত্রটির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল চরিত্রটির মাথায় চুলের স্বল্পতা, আর বর্তমানে অ্যালেপশিয়া নামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য পিঙ্কেটের মাথায় চুল কম। স্বভাবতই সবাই ধরে নেয় পিঙ্কেটের শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই এহেন রসিকতা করেছেন ক্রিস, আর নিজের স্ত্রীয়ের প্রতি এই আচরণ সহ্য করতে না পেরেই নিজের আসন থেকে উঠে গিয়ে সঞ্চালককে সটান চড় মারেন অভিনেতা উইল স্মিথ, এমনকী চিৎকার করে এরকম হুমকিও দেন—’আমার স্ত্রীয়ের নাম তুমি উচ্চারণ করবে না।’ দর্শকাসনে বসে থাকা জাডা পিঙ্কেটও ক্রিস রকের এহেন রসিকতায় যারপরনাই অসন্তুষ্ট হয়েছেন। যদিও পরে উইল স্মিথ অস্কার কর্তৃপক্ষের কাছে তার এই আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন৷ পাশাপাশি তাঁর ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতেও ক্ষমাপ্রার্থনা করে একটি বড়সড় পোস্ট দিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে, যেখানে তিনি লিখেছেন—‘আমি প্রকাশ্য জনমাধ্যমে আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি ক্রিস। আমি আমার সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিলাম, যা অত্যন্ত অন্যায়। আমার কাজের জন্য আমি লজ্জিত। আমার এই কাজ আমার ব্যক্তিপরিচয়ের সংজ্ঞা বদলে দেয়। হিংসা মাত্রই ক্ষতিকারক এবং ধ্বংসাত্মক। গত রাতের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে আমার আচরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য ছিল না, আমি ক্ষমাহীন অপরাধ করেছি। কৌতুক আমাদের পেশার অংশ। কিন্তু জাডার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মজা করা আমার পক্ষে সহ্য করা কঠিন ছিল এবং আমি আবেগপ্রবণ হয়ে যেরকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম, তা ঠিক হয়নি।’
আদতে কী হয়েছিল ৯8তম অ্যাকাডেমির অ্যাওয়ার্ড মঞ্চে? সঞ্চালক ক্রিস রক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মধ্যেই জুড়ে দিচ্ছিলেন রসিকতার টুকরো পাঁচফোড়ন। এই রসিকতার অংশ হিসাবেই তিনি বেছে নেন উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেটকে। বলেন, ‘আমি জি আই জেম সিক্যোয়েল ২-এর অপেক্ষায় আছি।’ প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা দরকার জি আই জেনে জাডা পিঙ্কেট অভিনীত চরিত্রটির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল চরিত্রটির মাথায় চুলের স্বল্পতা, আর বর্তমানে অ্যালেপশিয়া নামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য পিঙ্কেটের মাথায় চুল কম। স্বভাবতই সবাই ধরে নেয় পিঙ্কেটের শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই এহেন রসিকতা করেছেন ক্রিস, আর নিজের স্ত্রীয়ের প্রতি এই আচরণ সহ্য করতে না পেরেই নিজের আসন থেকে উঠে গিয়ে সঞ্চালককে সটান চড় মারেন অভিনেতা উইল স্মিথ, এমনকী চিৎকার করে এরকম হুমকিও দেন—’আমার স্ত্রীয়ের নাম তুমি উচ্চারণ করবে না।’ দর্শকাসনে বসে থাকা জাডা পিঙ্কেটও ক্রিস রকের এহেন রসিকতায় যারপরনাই অসন্তুষ্ট হয়েছেন। যদিও পরে উইল স্মিথ অস্কার কর্তৃপক্ষের কাছে তার এই আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন৷ পাশাপাশি তাঁর ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতেও ক্ষমাপ্রার্থনা করে একটি বড়সড় পোস্ট দিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে, যেখানে তিনি লিখেছেন—‘আমি প্রকাশ্য জনমাধ্যমে আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি ক্রিস। আমি আমার সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিলাম, যা অত্যন্ত অন্যায়। আমার কাজের জন্য আমি লজ্জিত। আমার এই কাজ আমার ব্যক্তিপরিচয়ের সংজ্ঞা বদলে দেয়। হিংসা মাত্রই ক্ষতিকারক এবং ধ্বংসাত্মক। গত রাতের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে আমার আচরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য ছিল না, আমি ক্ষমাহীন অপরাধ করেছি। কৌতুক আমাদের পেশার অংশ। কিন্তু জাডার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মজা করা আমার পক্ষে সহ্য করা কঠিন ছিল এবং আমি আবেগপ্রবণ হয়ে যেরকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম, তা ঠিক হয়নি।’