রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত।

প্রথম ছবি মুক্তির প্রায় ১১ বছর পরে তার সিক্যুয়েল বা দ্বিতীয় ভাগ ‘ওএমজি২’ মুক্তি পেতে চলেছে। অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘ওএমজি: ওহ মাই গড’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১২ সালে। এই ছবিতে শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে অক্ষয় অভিনয় করেছিলেন। অক্ষয় কুমার অভিনীত এই ছবির বিষয়বস্তু ছিল ধর্মবিশ্বাস, অবিশ্বাস, কুসংস্কার, অসাধু ব্যবসা ইত্যাদি। ‘ওএমজি- ওহ মাই গড’ ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্যও পেয়েছিল।
এদিকে, অক্ষয় কুমার ও পঙ্কজ ত্রিপাঠী অভিনীত ছবি ‘ওএমজি ২’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ১১ অগস্ট। গত ১১ জুলাই মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রথম ঝলক। সমাজমাধ্যমের পাতায় অভিনেতাকে মহাদেবের লুকে দেখে উত্তেজিত তাঁর অনুরাগীরা। যদিও এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে সেন্সর বোর্ডের।
সম্প্রতি একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে, ‘ওএমজি ২’ ছবিতে নাকি ‘এলজিবিটিকিউ’ গোষ্ঠীর মানুষদের কথা প্রাধান্য পেয়েছে। এ জন্যই সেন্সর বোর্ডের এমন পদক্ষেপ। তবে নির্মাতারা এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:

পৃথিবীর আকর্ষণের বাধা কাটিয়ে এ বার বেরনোর অপেক্ষা, সোমবারই সেই কঠিন পরীক্ষার প্রথম ধাপে চন্দ্রযান ৩

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭: সুন্দরবনের লুপ্ত রাষ্ট্র গঙ্গারিডি

সেন্সর বোর্ডের কেন এমন সিদ্ধান্ত? ‘আদিপুরুষ’ মুক্তির পর থেকেই ছবিটিকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। ছবির চরিত্র, তাঁদের পোশাকআসাক, সংলাপ-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে দর্শকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ‘আদিপুরুষ’ যেহেতু হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের আধুনিক সংস্করণ, তাই সেই অসন্তোষ থেকে তা দ্রুত বিক্ষোভে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগেনি।

ছবির একাধিক বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলেছে সেন্সর বোর্ড। ইতিমধ্যে ছবির ২০টি দৃশ্যে কাঁচি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড। একমকি, এই ছবিকে ‘ইউ/এ’-এর পরিবর্তে ‘এ’ শংসাপত্র দেওয়া হবে। তাতেই মাথায় হাত নির্মাতাদের। ‘ওএমজি ২’ ছবিতে অক্ষয়কে ভগবান শিব হিসাবে দেখানোতেও আপত্তি রয়েছে। ছবির যে সব দৃশ্যে অক্ষয়কে নীলাভ অঙ্গে জটা মাথায় দেখা গিয়েছে সেন্সর বোর্ড সেই অংশগুলিকেই অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২২: পঞ্চমের সুরে কিশোর-আশার গাওয়া ‘জীবন কে হার মোড় পে’ গানটির কথা মনে পড়ে?

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৮: কোষার ভান্ডার ছররি থেকে কুঠাঘাট হয়ে কুরদার

উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরের পুরোহিতরা অক্ষয়কে শিবের চরিত্রে মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, মহাদেবকে অসম্মান তাঁরা কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না। মহেশ শর্মা নামে এক পুরোহিত পরিষ্কার জানিয়েছেন, মহাকালেশ্বর মন্দিরে যে দৃশ্যগুলি তোলা হয়েছিল সেগুলি নির্মাতাদের মুছে দেওয়া উচিত।

এদিকে সেন্সর বোর্ডের বক্তব্য, মহাদেব শিবের চরিত্রটিকে শিবের দূত হিসেবে দেখানো হোক। মুক্তির দু’সপ্তাহ আগে এমন পরিবর্তনের দাবিতে মুশকিলে পড়েছেন নির্মাতারা। ‘ওএমজি ২’ ছবিটি এক রকম ভাবনায় শুটিং করা হয়েছে, এর পর সেগুলি বদল করতে হলে অনেক সময় লাগবে।

অভিনেতার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, হঠাৎ করে এত বিধিনিষেধ আসায় ছবির মুক্তি পিছিয়ে যাবে। সঙ্গে আর্থিক ক্ষতি তো রয়েইছে। সব মিলিয়ে ‘ওএমজি ২’ ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান অনুরাগী থেকে বলিপাড়া।

Skip to content