সঞ্জয় নেশা করেন, মানতেন না মা নার্গিস! যদিও অভিনেত্রী ছেলেকে সমকামী ভাবতেন

অভিনয়, বিতর্ক এবং বর্ণময় ব্যক্তিগত জীবনে ভরপুর। বিভিন্ন কারণে প্রায়শই ওই অভিনেতা শিরোনামে থাকেন। তিনি বলিউড স্টার সুনীল দত্ত এবং নার্গিস দত্তের পুত্র সঞ্জয় দত্ত।

মা নার্গিস নাকি সন্দেহ করতেন সঞ্জয় সমকামী নয় তো! সঞ্জয় অনেক পরে সেই সন্দেহের কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। জানতে পেরে সঞ্জুবাবা হাসিতে ফেটে পড়েন। অভিনেতা বিষয়টিকে খুব সুন্দর করে ধরে রাখেন আত্মজীবনী ‘সঞ্জয় দত্ত: দ্য ক্রেজি আনটোল্ড স্টোরি অফ বলিউড’স ব্যাড বয়’-এ।

প্রয়াত নার্গিসের জন্মবার্ষিকীতে সঞ্জয়ের জীবনের সেই সব মজাদার অধ্যায় চর্চায় চলে এসেছে। প্রায়শই বাড়িতে সঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁর পুরুষবন্ধুরা গল্প করতে আসতেন। কিন্তু যখনই তাঁরা আসতেন সঞ্জয় ঘরের দরজা বন্ধ করে দিতেন। নার্গিস সব সময় ভাবতেন এমন কি কথাবার্তা চলে যে ঘরের দরজা বন্ধ করতে হবে? পুত্র সমকামী নন তো? যদি তা না হয়, তাহলে এত গোপনীয়তার কারণ কী? বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তায় পড়েছিলেন মা নার্গিস।

সঞ্জয়কে নিয়ে নার্গিসের এই আশঙ্কার কথা বোন প্রিয়া দত্ত শুনে ফেলেছিলেন। নার্গিস ফোন এক বন্ধুকে বলছিলেন, “বন্ধুরা এলেই সঞ্জয় দরজা বন্ধ করে দেয় কেন? কী এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে? আমি আশা করছি, সঞ্জয় সমকামী নয়!” বোন প্রিয়া হাসতে হাসতে মায়ের আশঙ্কার কথা জানান সঞ্জয়কে।

নার্গিসের তিন সন্তান। সঞ্জয়, প্রিয়া এবং নম্রতা। এর মধ্যে সঞ্জয়ই সবচেয়ে বেশি আদরের। প্রশ্রয়ও ভীষণ পেতেন। নার্গিস সঞ্জয়ের উপর মেজাজ হারাতেন খুব কম দেখা গিয়েছে। কালেভদ্রে তাঁর ধৈর্যচ্যুতি ঘটত। একদিন নার্গিস নাকি খুব রেগে গিয়ে সঞ্জয়কে চটি ছুড়ে মেরেছিলেন।

নার্গিস প্রয়াত হন ১৯৮১ সালে। সঞ্জয়ের তখন ২২ বছরের যুবক। নার্গিস পুত্রকে খুব বিশ্বাস করতেন। অভিনেত্রী সঞ্জয়ের মাদকাসক্তির কথা বিশ্বাস করতে চাইতেন না। নার্গিসকে তাঁর কোনও সঞ্জয়ের মাদকাসক্তি নিয়ে সতর্ক করতে চাইলে অভিনেত্রী বলতেন, “সঞ্জয় কখনও মদ্যপান করে না। আর ওঁর ড্রাগ নেওয়ার প্রশ্ন তো ওঠেই না।”