বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


বিপাশা ও মাধবন।

কথায় আছে, যা রটে, কিছু তো তার বটে। অর্থাৎ, পর্দায় রসায়নকে গাঢ় দেখাতে গেলে বাস্তবেও হয়তো নায়ক-নায়িকার মধ্যে কিছু থাকতে হয়। আর মাধবনের দাবি, তাঁর জীবনে অন্তত তা ছিল। ২০২১ সালে ‘জোড়ি ব্রেকারস’-এ জুটিতে অভিনয়ের আগে থেকেই বিপাশা বসুকে ভালো লাগতে শুরু করে তাঁর। বঙ্গতনয়ার প্রতি নাকি আকৃষ্ট ছিলেন তিনি। সেই ভালোবাসারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছিল পর্দায়, যা দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল। পরে ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর অভিনেতা স্মৃতিমেদুর হয়ে এ কথা জানান।
অভিনেতা ছাড়াও পরিচালকের ভূমিকায় মাধবন নিজের জায়গাকে বলিউডে তৈরি করে নিয়েছেন। প্রথম বার ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ ছবি পরিচালনা করেই দর্শকের মন জিতে নিয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। তবে বরাবরই স্মৃতিচারণা করতে পছন্দ করেন মাধবন। রসবোধও তাঁর নেহাত কম নয়।
মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘বিপাশার প্রতি আমার আকৃষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ উনি যে অসাধারণ সুন্দরী!’ তবে কি পর্দায় রসায়নের বাইরেও বাস্তবেও কিছু সত্যি ছিল? ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মেঁ’ ছবিতে দেশ জুড়ে মহিলা-মহলে হিল্লোল তোলা নায়ক জানান, পর্দায় রসায়নকে জীবন্ত করে তুলতে হলে বাস্তবেও সেই ব্যক্তির প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে হবে। তিনিও বাস্তবে বিপাশার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। বিপাশা অসাধারণ সুন্দরী, কমনীয়। বাস্তবে কারও প্রতি অনুভূতি থাকলে তবেই সেটাকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা সহজ হয়।
২০১৬ সালে অভিনেতা কর্ণ সিংহ গ্রোভারকে বিয়ে করেন বিপাশা বসু। তার আগে ১০ বছর সম্পর্কে ছিলেন অভিনেতা জন আব্রাহামের সঙ্গে। অন্য দিকে, মাধবন সম্প্রতি স্ত্রী সরিতা বিরজের সঙ্গে ২৩তম বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন। একগুচ্ছ ছবি ভাগ করে নিয়ে জনপ্রিয় দক্ষিণী তারকা লিখেছেন-ভালোবাসা কেমন হয়, যত দিন যাচ্ছে অনুভব করতে পাচ্ছি। মনে হয় এই তো সবে ভালোবাসতে শুরু করলাম। আরও বাসব।… শুভ বিবাহবার্ষিকী।

Skip to content