অরণ্যের দিনরাত্রি
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা আমাদের উৎসবই ভরসা। বাঙালি যে উৎসবেই বাঁচে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। করোনাকালে আয়োজিত হতে পারেনি কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। সেই না পারার খেদ মিটিয়ে নিতেই গ্রীষ্মের নিদারুণ দাবদাহকে উপেক্ষা করেই আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে নন্দন চত্বরে আয়োজিত হতে চলেছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। ওই দিনই নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করবেন কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের। গত ৪ জানুয়ারির সাংবাদিক বৈঠকের ঘোষণা অনুযায়ী কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব হওয়ার কথা ছিল শীতকালে ১৪ থেকে ২৭ জানুয়ারি। কিন্তু উৎসবের চেয়ারম্যান বিধায়ক ও পরিচালক রাজ চক্রবর্তী সহ কেউ কেউ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ফলে উৎসব তখনকার মতো স্থগিত রাখা হয়। তারপর নানা ঘটনার আবর্তে কেটে গিয়েছে দু’ মাস। অবশেষে এপ্রিলের শেষেই আয়োজিত হতে চলেছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব।
স্মৃতির বুকে বেঁচে থাকে কলকাতা আর মহানগরীর এক তটভূমি নন্দনে স্মৃতির চর্চা হবে না তাও কি হয়! সেই স্মৃতিমুখর তটভূমিতেই প্রারম্ভ সন্ধ্যার প্রথম আন্তঃমীড়টি বাজতে চলেছে বিশ্ববরেণ্যর জন্ম শতবর্ষে, তাঁরই দৃষ্টিতে। সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ দিয়েই আরম্ভ হবে উৎসব। আগে উৎসবের উদ্বোধনী ছবিটি দেখানো হত নেতাজি ইন্ডোরে। আর শেষ ছবি দেখানো হত নজরুল মঞ্চে। এ বছর উদ্বোধনী ছবিটিও নজরুল মঞ্চেই দেখানো হবে।
শতবর্ষের শ্রদ্ধার্ঘ্যে সত্যজিৎ-এর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ফিল্ম সোসাইটির ঘনিষ্ঠতম বন্ধু চিদানন্দ দাশগুপ্তও। পরিচালক অরিন্দম শীলের বয়ান অনুযায়ী, মে দিবসের দিন সত্যজিতের ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে আয়োজিত হতে চলেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে সত্যজিৎ স্মারক বক্তৃতায় থাকবেন সর্দার উধম সিংহ খ্যাত পরিচালক সুজিত সরকার। পাশাপাশি নেতাজিও এবার শামিল হতে চলেছেন চলচ্চিত্র উৎসবের মিলনক্ষেত্রে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে এ বার সুভাষচন্দ্রকে নিয়ে দু’টি ছবির মধ্যে রয়েছে পীযূষ বসুর সাদা-কালো ‘সুভাষচন্দ্র’, অন্যটি শ্যাম বেনেগালের ‘বোস: দ্য ফরগটন হিরো’।
সদ্য প্রয়াতদের স্মরণার্থে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণও এবারের উৎসবের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। গদারের নায়ক জা পল বেলমোন্দো যেমন থাকছেন তেমনই থাকছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের পর্দায় ভাস্বর উপস্থিতি। দিলীপকুমারের মুঘল-এ-আজম থেকে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের উত্তরা, গৃহযুদ্ধও থাকছে। উৎসবের আমেজে পাওয়া গেল আরও একটি সুখবর, সে সুখের খবর নিয়ে এলেন চলচ্চিত্রকার গৌতম ঘোষ। জানালেন, টালিগঞ্জের চলচ্চিত্র শতবার্ষিকী ভবনে যে সমস্ত ফিচার ফিল্ম থেকে ডকুমেন্টারি নিউজ রিল রয়েছে, সেসবই পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সাহায্যে ডিজিটাইজ করার কাজ আরম্ভ হয়েছে। কাজ অনেকদূর এগিয়েও গিয়েছে। সেখানকার অডিটোরিয়ামে নন্দনের মতো দৈনন্দিনভাবে সিনেমা দেখা যাবে। অর্থাৎ জন্ম নিতে চলেছে আরও একটা সরকারি হল! প্রেক্ষাগৃহের এই অকালে এমন খবর সত্যিই মন ভালো করে দেওয়া একঝলক প্রাণবাহী তাজা বাতাসের মতোই যেন।
অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই কলকাতা সাজবে সিনেমার সমারোহে। আপনিও তৈরি তো সেই সমারোহে শামিল হওয়ার জন্য?
স্মৃতির বুকে বেঁচে থাকে কলকাতা আর মহানগরীর এক তটভূমি নন্দনে স্মৃতির চর্চা হবে না তাও কি হয়! সেই স্মৃতিমুখর তটভূমিতেই প্রারম্ভ সন্ধ্যার প্রথম আন্তঃমীড়টি বাজতে চলেছে বিশ্ববরেণ্যর জন্ম শতবর্ষে, তাঁরই দৃষ্টিতে। সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ দিয়েই আরম্ভ হবে উৎসব। আগে উৎসবের উদ্বোধনী ছবিটি দেখানো হত নেতাজি ইন্ডোরে। আর শেষ ছবি দেখানো হত নজরুল মঞ্চে। এ বছর উদ্বোধনী ছবিটিও নজরুল মঞ্চেই দেখানো হবে।
শতবর্ষের শ্রদ্ধার্ঘ্যে সত্যজিৎ-এর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ফিল্ম সোসাইটির ঘনিষ্ঠতম বন্ধু চিদানন্দ দাশগুপ্তও। পরিচালক অরিন্দম শীলের বয়ান অনুযায়ী, মে দিবসের দিন সত্যজিতের ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে আয়োজিত হতে চলেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে সত্যজিৎ স্মারক বক্তৃতায় থাকবেন সর্দার উধম সিংহ খ্যাত পরিচালক সুজিত সরকার। পাশাপাশি নেতাজিও এবার শামিল হতে চলেছেন চলচ্চিত্র উৎসবের মিলনক্ষেত্রে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে এ বার সুভাষচন্দ্রকে নিয়ে দু’টি ছবির মধ্যে রয়েছে পীযূষ বসুর সাদা-কালো ‘সুভাষচন্দ্র’, অন্যটি শ্যাম বেনেগালের ‘বোস: দ্য ফরগটন হিরো’।
সদ্য প্রয়াতদের স্মরণার্থে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণও এবারের উৎসবের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। গদারের নায়ক জা পল বেলমোন্দো যেমন থাকছেন তেমনই থাকছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের পর্দায় ভাস্বর উপস্থিতি। দিলীপকুমারের মুঘল-এ-আজম থেকে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের উত্তরা, গৃহযুদ্ধও থাকছে। উৎসবের আমেজে পাওয়া গেল আরও একটি সুখবর, সে সুখের খবর নিয়ে এলেন চলচ্চিত্রকার গৌতম ঘোষ। জানালেন, টালিগঞ্জের চলচ্চিত্র শতবার্ষিকী ভবনে যে সমস্ত ফিচার ফিল্ম থেকে ডকুমেন্টারি নিউজ রিল রয়েছে, সেসবই পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সাহায্যে ডিজিটাইজ করার কাজ আরম্ভ হয়েছে। কাজ অনেকদূর এগিয়েও গিয়েছে। সেখানকার অডিটোরিয়ামে নন্দনের মতো দৈনন্দিনভাবে সিনেমা দেখা যাবে। অর্থাৎ জন্ম নিতে চলেছে আরও একটা সরকারি হল! প্রেক্ষাগৃহের এই অকালে এমন খবর সত্যিই মন ভালো করে দেওয়া একঝলক প্রাণবাহী তাজা বাতাসের মতোই যেন।
অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই কলকাতা সাজবে সিনেমার সমারোহে। আপনিও তৈরি তো সেই সমারোহে শামিল হওয়ার জন্য?