বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


জিৎ সত্রাগ্নি।

একরাশ সম্ভাবনা নিয়ে জিৎ-রুক্মিণীর নতুন বাংলা ছবি ‘বুমেরাং’-এর শুটিং শুরু হচ্ছে। জিতজ ফিল্মওয়ার্কস-এর প্রযোজনায় এ ছবির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করছেন ‘সুইটজারল্যান্ড’, ‘আয় খুকু আয়’ খ্যাত সৌভিক কুণ্ডু। সময় আপডেটস-এ ‘বসুন্ধরা এবং…’ ১ম ও ২য় খণ্ডের স্রষ্টা জিৎ সত্রাগ্নি’র মূল কাহিনি অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ‘বুমেরাং’ । ‘বুমেরাং’ ছবি নিয়ে সাহিত্যিক নাট্যকার জিৎ সত্রাগ্নি’র সঙ্গে সময় আপডেটস অন্তরঙ্গ কথোপকথন প্রকাশিত হল।

● সময় আপডেটস: প্রথমেই অভিনন্দন। সময় আপডেটস ‘বুমেরাং’-এর সাফল্য কামনা করে।
●● জিৎ সত্রাগ্নি: সময় আপডেটেস-কে ধন্যবাদ। এই সুযোগে এই ওয়েবসাইটের সব পাঠককে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।

● সময় আপডেটস: মঞ্চনাটক, চিত্রনাট্য, উপন্যাস এবার গল্প নিয়ে ছবি। কেমন লাগছে?
●● জিৎ সত্রাগ্নি: ভালো লাগছে। ঈশ্বরের কাছে আমার সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা ও প্রণাম। তবে মঞ্চ নাটকের আগে রেডিও নাটক, টেলিসিরিয়াল, টেলিফিল্ম-ধাপে ধাপে ঠেকতে ঠেকতে শেখার শুরু। শেষ হয়নি শেখা। এখনও শিখছি। এখনও অনেকটা পথ বাকি। লেখার একেবারে শুরুটা স্কুল জীবনে। না, স্কুলের পত্রিকায় নয়। নাটকের অতিরিক্ত সংলাপ লেখা দিয়ে শুরু।

● সময় আপডেটস: যদি একটু বিশদে বলেন।
●● জিৎ সত্রাগ্নি: আসলে আমাদের পাড়ার বন্ধুবান্ধবদের একটা নাটকের দল ছিল। নাম ‘বৃন্তক’। ওই বয়সে যেমন হয়। লক্ষ্মীপুজোর পর কালীপুজোর আগের সময়টায় নাটক করতাম। বছরে একবার। কিন্তু খুব ভালোভাবে তৈরি হতাম আমরা। আলো মঞ্চে কোনও কার্পণ্য কোনও অপেশাদারিত্ব থাকত না। আবহ–আলো-সহ দস্তুর মতো টেকনিক্যাল রিহার্সাল করতাম। কিন্তু ছাপা নাটক। দলের সকলের সমান অভিনয়ের সুযোগ হয়ত হত না। আমাদের দলে বন্ধু-বান্ধব অনেকেই ভালো অভিনয় করত। কিন্তু চরিত্রের ছোট-বড় থাকত। বন্ধুত্ব বজায় রেখে সকলকে একসঙ্গে রাখতে মনোমালিন্য বাঁচাতে মূলনাটকের দৈর্ঘ্য ও আকর্ষণ অক্ষুণ্ণ রেখে কোনও কোনও চরিত্রের সংলাপ বা একটি দুটি অতিরিক্ত চরিত্র সংযোজন করতে হত আমাকে। আমরা চিঠি দিয়ে নাট্যকারের অনুমতি নিতাম। অবশ্যই পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেই এসব হত। আমাদের দাদা স্থানীয় একজন নির্দেশনা করতেন অলোক ঘোষ (বুলিদা)। তিনি ছিলেন শৌভনিক নাট্যদলের ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’–সহ বহু মঞ্চসফল নাটকের মুখ্য অভিনেতা সুকুমার ঘোষের ছোটভাই। আমার বাবার বন্ধু কিন্তু সবাই-এর মত খোকাদা বলতাম।
● সময় আপডেটস: তার পরের পর্যায়ে পৌঁছনটা কীভাবে?
●● জিৎ সত্রাগ্নি: আমি ভাগ্যবান। এরপর বেতার নাটক লেখার পাঠ শ্রাবন্তী মজুমদারের লিভিং সাউন্ড স্টুডিয়োতে। বাংলা গানের ক্ষেত্রে শ্রাবন্তীদির যেমন একটা ভিন্নধারা ছিল, বেতারনাটকের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমন। পরিবেশনাকে একটা অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। অভিনয় করতে গিয়ে নাটক লিখতে শুরু করলাম। বোরোলিনের সংসার, কেয়োকার্পিনের নাটকের আসর, পি থ্রি রহস্য সিরিজ — প্রচুর লিখতে হত। মিহিরদা (সেন), শ্যামলদা (সেন) লিখতেন। ওঁরা সিনিয়র। সৌমিত্র বসুও লিখতেন। আমি তখন থেকে শিখছি। গুরুত্বপূর্ণ চাকরি করেছি, কিন্তু রাস্তাটা ছাড়িনি। চলার পথে প্রভাত রায়ের মতো গুণী কাহিনি চিত্রনাট্যকার ও পরিচালকের সঙ্গে তাঁর সান্নিধ্যে ইটিভি’র জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘একাকী অরণ্যে’, কাহিনিচিত্র ‘তুমি এলে তাই’, ‘শুধু একবার বলো’-সহ অনেক টেলিফিল্মে চিত্রনাট্য লেখার সুযোগ পেয়েছি। পিনাকী চৌধুরীর মতো গুণী পরিচালকের, দূরদর্শনের জন্যে নির্মিত ছবি ‘অতিক্রম’ বা রাজা দাশগুপ্তের ‘মুখগুলি’ লিখে খুব তৃপ্তি পেয়েছিলাম। দূরদর্শনের আদিতে স্পন্সসর্ড ধারাবাহিক ‘সোনার সংসার’ বা রাজা দাশগুপ্তের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সোঁদা মাটি নোনা জল’ কিংবা রবিঠাকুরের ‘গল্পগুচ্ছ’ অথবা ছোটগল্পের ধারাবাহিক ‘সম্পর্ক’ বা ‘মানুষের মুখ’-এর জন্যে লেখা কয়েকটি পর্ব আমাকে ক্রমাগত শিখিয়েছে। ডেলি সোপের যুগান্তকারী ‘জন্মভূমি’ ধারাবাহিকেও ইন্দর সেনের মতো পরিচালকের সান্নিধ্যে কিছুদিনের জন্যে চিত্রনাট্য লিখেছি। রমাপদ চৌধুরীর কাহিনি নিয়ে লেখা সাধু মেহের অভিনীত ‘সুন্দরী’ ছবিটি ৪র্থ কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছিল। প্রভাতদার সাহচর্যে লেখা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘সম্পর্ক’ দেখানো হয়েছিল ৯ম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে। আমার সৌভাগ্য বিশ্বমানের অভিনেতা ওমপুরি আমার চিত্রনাট্যে কাজ করেছিলেন প্রেম চন্দ-এর ‘সোয়া সের গেঁহু’ ছবিতে। এ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুরকার সলিল চৌধুরী। আমার জীবন ধন্য হয়েছে। সোনার সংসারের আবহ পরিচালনা করেছিলেন সলিলপুত্র সঞ্জয় চৌধুরী- সঙ্গীত আয়োজক দেবজ্যোতি মিশ্র।
আরও পড়ুন:

জিৎ-রুক্মিণীর ‘বুমেরাং’ সায়েন্স ফিকশন কমেডি, লক্ষ্য আট থেকে আশি: সৌভিক

দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-২৫: মাথায় নকল চুল, নকল চোখের পাতায় চড়া মেকআপ, যেন জেল্লা ঠিকরে বেরোচ্ছে

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৬: আমার হৃদয় কাঁপে পরিস্থিতির চাপে

● সময় আপডেটস: আর মঞ্চ নাটক?
●● জিৎ সত্রাগ্নি: ঠিক একই ভাবে নাটকের ক্ষেত্রে লোককৃষ্টির পরিচালক স্বনামধন্য অভিনেতা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করার সুবাদে শিখেছি। এ ভাবেই মাঙ্গলিক, বহুরূপী, কোরাস, নাট্যরঙ্গ, ক্যালক্যাটা পারফর্মার, থেস্পিয়ান্স-সহ বিভিন্ন নাট্যদলের সঙ্গে কাজের সুবাদে আমি সমৃদ্ধ হয়েছি। বিভাস চক্রবর্তী, অশোক মুখোপাধ্যায়, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, দেবেশ রায়চৌধুরী, দেবশঙ্কর হালদার, কৌশিক সেনের মতো এই মূহুর্তের বিশিষ্ট নাট্যপ্রতিভার কাছে আমি আমার লেখা নাটকের পাণ্ডুলিপি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করি। তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাকে সঠিক দিশা দেয়। প্রতিমূহুর্তে পরিমার্জিত করে। আমার লেখা গল্প বা উপন্যাস নিয়ে অগ্রজপ্রতিম সাংবাদিক তীর্থ পরিব্রাজক সুমন গুপ্ত আমার পরিচিত বিশিষ্ট পাঠক এবং ঘনিষ্ট শুভানুধ্যায়ীদের মতামতকে আমি ভীষণ গুরুত্ব দিই।

● সময় আপডেটস: কোনও লেখা নিয়ে আক্ষেপ আছে?
●● জিৎ সত্রাগ্নি: আক্ষেপ নেই। তবে অপেক্ষা আছে। আছে কষ্ট। ঈশ্বরের অনুগ্রহে সামান্য যা করতে পেরেছি তার অনেক অনেক বেশি লেখা আমার বাড়ির তাকে সযত্নে রাখা আছে। বিধাতা চাইলে তার পরিণতি ঘটবে। কিছু কিছু লেখা “সব হয়ে হইল না শেষ”—প্রভাতদার সঙ্গে লেখা একটা দারুণ থ্রিলার—একটা জমজমাট কমেডি ছবি। রাজা দাশগুপ্তের কিছুদিন চলা ধারাবাহিক ‘স্বপ্ননীল’ চন্দ্রবিন্দু’র টাইটেল সং ছিল এতে। কমেডি সিরিয়াল ‘মেগাহিট কর্পোরেশন’-এর জন্যে এখনও কষ্ট হয়। একটি মঞ্চ নাটক বহু দিন থমকে আছে। এক বিশিষ্ট অভিনেতার পরিচালনায় অভিনয়ে মঞ্চস্থ হবার কথা। আরেক বিশিষ্ট অভিনেতা পরিচালকের ভীষণ প্রিয় একটি বড় মাপের প্রযোজনা কুঁড়িতে থমকে আছে। ফুল ফোটার অপেক্ষায় আছি।

সৌভিক কুণ্ডু।

● সময় আপডেটস: ‘বুমেরাং’ ছবির গল্পটা যদি একটু বলেন?
●● জিৎ সত্রাগ্নি: গল্পটার মধ্যে একটা অন্য চমক আছে, তাই সেটা নিয়ে এক্ষুনি কিছু মন্তব্য করতে পারবো না। ‘এলিমেন্ট অফ সারপ্রাইজ’ ধরে রাখার জন্যে এটা সকলের সচেতন সিদ্ধান্ত। তবে একটা ভীষণ মজার কমেডি ছবি। পরিবারের সকলকে নিয়ে হইহই করে উপভোগ করতে পারবেন আট থেকে আশি সবাই। আমার গল্পের নির্যাস থেকে অসম্ভব ভালো ঝকঝকে চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক সৌভিক কুণ্ডু। জি বাংলা সিনেমায় সৌভিকের ‘কাদের কুলের বউ’ ভীষণ ভালো লেগেছিল। তারপর ‘সুইজারল্যান্ড’ এবং ‘আয় খুকু আয়’। এ পর্যন্ত দেখা সৌভিকের সবকটি ছবিতেই একটা ঝকঝকে ফ্রেশনেস আছে, যেটা আকর্ষণ করে। আমার বিশ্বাস এই ছবিতে সেটা আরও ভালো, মনোগ্রাহী আরও পরিণত হবে।

● সময় আপডেটস: বুমেরাং বলতে তো আমরা উল্টো পরিণতির কথা বুঝি। মানে কী করতে গেলাম আর কী ঘটে গেল?
●● জিৎ সত্রাগ্নি: হ্যাঁ, আমরা বলি বুমেরাং হয়ে গেল। কিন্তু আদপে বুমেরাং একটা অস্ত্র।
জামাকাপড় রাখার হ্যাঙ্গারের নিচের অংশটা বাদ দিলে ওপরের দুটো অংশ যেমন দেখতে লাগে তেমন। বহু বহু যুগ আগে অস্ট্রেলিয়ায় এটা শিকারের জন্য ব্যবহার হতো। কাঠের হাড়ের বা মেটালের তৈরি। মনে করা হয় যে বুমেরাং টার্গেটে আঘাত করে আবার যে ছুঁড়েছে তার হাতে ফিরে আসে। যাতে সে আবার আঘাত করতে পারে। ছবির নাম কেন বুমেরাং সেটা তো ছবি দেখে বোঝা যাবে। তবে চাইবো কাহিনী চিত্রনাট্য অভিনয়ের বুমেরাং একই সঙ্গে যেন দর্শকের হৃদয় এবং মস্তিষ্ক বারবার ছুঁয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৯: পঞ্চমের সুরে লতার গাওয়া ‘মেরে নয়না সাওন ভাদো’ গান শুনে শুনেই প্রস্তুতি শুরু করেন কিশোর

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪১: কান্না হাসির দোল দোলানো ‘একটি রাত’

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-২২: কেস কালাদেও: ফাইল নম্বর ১

● সময় আপডেটস: জিতজ ফিল্মওয়ার্কস বেশ কিছু ভালো ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছে। তাতে রোম্যান্টিক কমেডি রয়েছে। আছে অ্যাকশনের ছবিও। আপনার গল্প থেকে প্রথম ফিচার ফিল্ম তাঁদের হাত ধরে। এ নিয়ে আপনার কি মত?
●● জিৎ সত্রাগ্নি: আমি অভিভূত। একমাত্র ঈশ্বরের করুণা ছাড়া হয়তো এটা সম্ভব হতো না। আসলে আমরা তো কিছু করি না। সত্যি সত্যি আমাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই। আমরা শুধুমাত্র সৎভাবে পরিশ্রমটুকু করতে পারি। তার থেকে প্রাপ্তিটা একেবারেই ঈশ্বরের ইচ্ছে। নায়ক নায়িকা ছাড়াও এই ছবির পার্শ্বচরিত্ররাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সেই সব চরিত্রে রয়েছেন। আর প্রযোজনা সংস্থার তরফে সুপারস্টার জিৎ ছাড়াও গোপাল মাদনানি এবং অমিত জুরমানির কথা আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করব। ‘চেঙ্গিস’ এর মধ্যে দিয়ে বাংলা ছবিকে সর্বভারতীয় আঙ্গিনায় তাঁরা যেভাবে উপস্থাপিত করেছেন সেটা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। তাঁদের উৎসাহ উদ্দীপনায় সৌভিক কুণ্ডু’র মতো একজন তরুণ উদ্যমী চিত্রপরিচালকের হাতে ‘বুমেরাং’ একটা অন্য চেহারা পাবে। জিৎ একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। তাঁর কাছে ছবির বিনোদন-মূল্য জনপ্রিয়তা বক্স-অফিস সাফল্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা সব সময় একটা চাপ সৃষ্টি করে। তা সত্ত্বেও এই ফরম্যাট-এর মধ্যে থেকেও ছবিতে তাঁর অভিনীত চরিত্রকে অনায়াস দক্ষতায় একটা চেনা, মন-ছুঁয়ে-যাওয়া রক্ত মাংসের অবয়ব দেন। দিতে জানেন নায়ক অভিনেতা জিৎ। সে পরিচয় দ্য রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, অসুর, রাবণ, বা চেঙ্গিস মতো ছবির নানান দৃশ্যে ছড়িয়ে আছে। সঙ্গে অনবদ্য কমেডি টাইমিং। সেটাই তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪: সুন্দরবনের লবণ-বৃত্তান্ত

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৭: মদ না খেলে ফ্যাটি লিভার হয় না?

অমরনাথের পথে, পর্ব-৫: অমরগঙ্গাকে ডানদিকে রেখে বরফঢাকা কঠিন পথে এগিয়ে চলি গুহার পথে…

● সময় আপডেটস: ছবিতে অন্যান্য অভিনেতাদের নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
●● জিৎ সত্রাগ্নি: দেখুন সিনেমা প্রথমে গল্প থেকে চিত্রনাট্যকার এরপর তাঁর চোখ দিয়ে ছবির পরিচালক ছবিটা মনে মনে দেখেন। তারপর ছবিটা পরিচালক বারংবার মানসচক্ষে দেখতে শুরু করেন। তারপর তিনি ক্যামেরা পারশনকে দেখান তিনি ছবিটা কী ভাবে দেখেছেন। কী দেখতে চান। শুটিং শেষ হবার পর এডিটিং টেবলে পরিচালক এবং চিত্রসম্পাদক আবার নতুন করে ছবিটা গল্পটা গুছিয়ে নেন। তাই পরিচালক এবং অবশ্যই প্রযোজক ছবির জন্যে প্রয়োজনীয় সঠিক অভিনেতাদের বেছে নিয়েছেন। রুক্মিণী মৈত্র একজন ভালো অভিনেত্রী। বাংলা ছবি করলেও তাঁর মধ্যে একটা সর্বভারতীয় আবেদন আছে। তাই তিনি হিন্দি ছবিতেও সফল হবেন বলেই আমার বিশ্বাস। আধুনিক এবং ঘরোয়া, দুটো ক্ষেত্রেই নিজেকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে জানেন। পাসওয়ার্ড সুইটজারল্যান্ড ছবিতে সেটা আমরা দেখেছি। এঁদের সঙ্গে এই ছবিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন এই সময়ের সম্ভাবনাময় অভিনেতা সত্যম ভট্টাচার্য ও অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহরায়। রয়েছেন আমার অত্যন্ত প্রিয় শিল্পী বিশ্বনাথ বসু, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অম্বরিশ ভট্টাচার্য-সহ অনেকে। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আপনাদের সকলের শুভেচ্ছায় ‘বুমেরাং’ সর্বাঙ্গীন সাফল্য পাক। দর্শকের অকুণ্ঠ ভালোবাসা পাক, এখন এটাই কামনা।

Skip to content