অভিজিৎ গুহ।
প্রদোষ চন্দ্র মিত্রর ঘনিষ্ঠ বন্ধু লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে জটায়ুর চরিত্রে সন্তোষ দত্ত, রবি ঘোষ, অনুপ কুমার, বিভু ভট্টাচার্য’র পর এ বার অভিজিৎ গুহ। ডিসেম্বরে বড় দিনের মরসুমে আসছে পরিচালক সন্দীপ রায় পরিচালিত ছবি ‘হত্যাপুরী’।
সত্যজিতের এই চরিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে এত বড় বড় নাম। সেই সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হাজারও স্মৃতি। যে চরিত্রের এত ইতিহাস, সেই চরিত্রে পা রাখতে এক বারের জন্যও কি বুক কেঁপেছিল পরিচালক তথা অভিনেতা অভিজিতের? এই সমাজমাধ্যমের যুগে চুলচেরা বিশ্লেষণের কথা ভেবে এক বারও কি তাঁর দ্বিধা হয়েছিল এই বিখ্যাত চরিত্রে অভিনয় করতে?
আরও পড়ুন:
কলকাতায় তাঁর চাকরি জীবনে প্রথম বেতন কত ছিল? ভক্তদের জানালেন বলিউডের শাহেনশা
ইংলিশ টিংলিশ: I talk কিন্তু he talks কেন হয়? সঙ্গে আরও জেনে নাও be এবং have verb-এর সঠিক প্রয়োগ
অভিজিতের কথায়, “এখন সমস্যা হল সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ নিজেদের খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। যার কোনও কারণ নেই। আসলে তাদের উপর নজরদারির কেউ নেই, তাই সমালোচনা করা সহজ হয়ে গিয়েছে। নিজেদের মহান আসনে বসিয়ে রেখেছে।” তিনি আরও যোগ করে বলেন, “আমি নবম শ্রেণি থেকে চিত্রবাণী বলে একটি জায়গায় সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করতাম। সুতরাং সমালোচনা নিয়ে ভয় পাই না। যাঁরা আমাকে নিয়ে সমালোচনা করবেন তাঁদের সবাইকে আমার বুড়ো আঙুল।”
আরও পড়ুন:
ট্রেনের টিকিট ‘কনফার্ম’ না হলে একেবারে বিনামূল্যে বিমানের টিকিট পাবেন যাত্রীরা! কোন অ্যাপে, কীভাবে পাবেন?
গৃহিণীদের মধ্যে বইয়ের নেশা বাড়াতে কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাধা, ‘চলমান পাঠাগার’ তাঁর পরিচয়!
ইন্ডাস্ট্রিতে বলা হয় যাঁরাই জটায়ু চরিত্রে অভিনয় করেন, তাঁদের শেষটা খুব একটা ভালো হয় না। এই কথায় অবশ্য পাত্তা না দিয়েই তিনি বলেন, “ধুর এগুলো সব গল্প কথা। কই সন্তোষদা তো কত দিন বেঁচে ছিলেন। আমি খুব কাছ থেকে সন্তোষদা, রবিদাদের দেখেছি। তখন অবসার্ভার হিসাবে ছিলাম। সন্তোষদাকে গাড়িতে করে তুলে শুটিংয়ে নিয়ে যেতাম।” তাঁদের এত কাছাকাছি দেখার পরও জটায়ু চরিত্রে কখনও তাঁর প্রভাব ফেলতে দেননি এই জটায়ু। তাঁর বিশ্বাস সত্যজিতের গল্প আর সন্দীপের এই নতুন ছবি দর্শকমনে দাগ রেখে যাবে।