বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: সংগৃহীত।

বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতায় তেলুগু ছবি ‘ভোলা শঙ্কর’-এর শুটিং শুরু করলেন চিরঞ্জীবী। বুধবার দুপুরে কলকাতায় পৌঁছন দক্ষিণী এই মহাতারকা। ছবিতে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন অভিনেত্রী তমন্না ভাটিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে ছবির শুটিং লোকেশন ছিল শহরের প্রাণকেন্দ্র ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। সকাল ৭টা থেকে ভিক্টোরিয়ার সামনে ইউনিটের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। মূল গেটের সামনে দাঁড়েয়ে আছে গোটা দশেক হলুদ ট্যাক্সি। জানা গেল চিরঞ্জীবী এবং তমন্না দুই অভিনেতাই এখানে শুটিং করবেন। দু’ জনেই তখন রূপটানে ব্যস্ত।
পরিচালক মেহের রমেশ মনিটরের পিছনে। নিরাপত্তাকর্মীরা মেকআপ ভ্যানের দরজা খুলতেই তাঁকে দেখা গেল রোদচশমা পরে। পরনে কলকাতার হলুদ ট্যাক্সিচালকদের মতো পোশাক সঙ্গে পায়ে সাদা-কালো স্নিকার্স। বাকি ট্যাক্সিচালকদের সঙ্গে স্ট্যান্ডে বসে অভিনেতার গল্প করার দৃশ্য শুটি করা হবে। শট শেষ হতেই ফের নিজের ভ্যানের দিকে ফিরে গেলেন চিরঞ্জীবী।
আরও পড়ুন:

কিছুতেই পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে না? জানুন দশ মিনিটের কোন উপায়ে ক্লান্তি হবে উধাও

‘মোকা’ কবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে? বাংলায় আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে কি? জানিয়ে দিল হাওয়া দফতর

ভিক্টোরিয়ার গেটের সামনের একটি লাল অডি গাড়ি এনে রাখা হয়। জানা গিয়েছিল, তমন্না এই গাড়িটি চালিয়ে আসবেন। সেটি এখানে বিকল হয়ে যাবে। কোনও উপায় না দেখে তমন্না শেষমেশ উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা চিরঞ্জীবীর ট্যাক্সিতে উঠবেন। এর পরে আরও চমক অপেক্ষা করছে জনগণের জন্য। তমন্না লোকেশনে আসবেন।

দেখা গেল, অভিনেত্রী ভ্যান থেকে নেমে এলেন আইনজীবীর পোশাকে! তমন্না গাড়ি চালিয়ে কয়েক বার রিহার্সালও করে নেন। গাড়ি থামতেই নকল ধোঁয়া দেওয়া হল। জ্বালিয়ে দেওয়া হল পার্কিং ইন্ডিকেটর। গাড়ি থেকে নেমেই সাহায্যের জন্য কাউকে ফোন করলেন। তাঁকে বেশ উত্তেজিত লাগছিল। সেই দৃশ্যের টেক নিলেন পরিচালক মেহের রমেশ। শট শেষ হতেই অভিনেত্রী মনিটরে চোখ রাখলেন।
আরও পড়ুন:

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা মেট্রোর পরিষেবা মিলবে না

বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-৪: সত্তরের হীরের টুকরো

কলকাতায় শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন? পরিচালক মেহের রমেশ বললেন, ‘‘তেলুগু এবং তামিল ইন্ডাস্ট্রি কলকাতাকে খুবই সম্মান করে। আমার দীর্ঘ দিনের ইচ্ছে ছিল কলকাতায় এসে শুটিং করা। আর চিরঞ্জীবী স্যর নিজেও বাংলাকে খুব ভালোবাসেন। তাই তাঁকে প্রস্তাব দিতেই উনি কলকাতায় শুটিং করতে রাজি হয়ে যান।’’

Skip to content