নাটকের একটি দৃশ্যে বাঁ দিক থেকে এণা সেনগুপ্ত, অভিজিৎ দে ও বেবী সরকার।
নাট্যরঙ্গ, নাট্যদল ৫০ বৎসর অতিক্রম করে তাঁদের পথ চলা অব্যাহত রেখেছে নব নব নাট্যসৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। এই বছরে এঁদের নতুন প্রযোজনা ‘ভুচু দ্য গ্রেট’ প্রথম বার মঞ্চস্থ হতে চলেছে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর গিরিশ মঞ্চে। দর্শকমহলে ইতিমধ্যেই উৎসাহ মিশ্রিত কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে এই নাটক ঘিরে। এই প্রথম নাট্যরঙ্গের জন্য টিনের তলোয়ার হাতে তুলে নিয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যকার জিৎ সত্রাগ্নি। নাট্যকার আশাপূর্ণা দেবীর রচনা, ‘নিজস্ব সংবাদদাতা’ অবলম্বনে এই রম্য নাটকটি সৃষ্টি করেছেন। বাংলা নাটকে সঙ্গীত প্রয়োগ নতুন কিছু নয়। কিন্তু এই নাটকে সময়ের সারণি বেয়ে সঙ্গীতের মূর্ছনা এক ভিন্ন মাত্রা এনে দেবে।
হাস্য, সঙ্গীত, মানবিক মূল্যবোধের বার্তা দেওয়া এই নাটকের নাম ‘ভুচু দ্য গ্রেট’। সাবেক বঙ্গসমাজের জীবন ধারায় একটা সময়ে ছিল পারস্পরিক সম্পর্ক, সম্পর্কের সেতু। রক্তের বন্ধন না থাকলেও একে অপরের মেলবন্ধন ছিল আমাদের সম্পদ। অনাত্মীয় হয়ে উঠতো পরম আত্নীয়। কবি শঙ্খ ঘোষের ভাষায় ‘সে ছিল এক দিন আমাদের…’। সেই দিনগুলোতে আমরা সত্যিই ছিলাম বেঁধে, বেঁধে। তারপর দিন গড়িয়েছে। আমরা আধুনিক হয়েছি। জীবন গতি পেয়েছে।
হাস্য, সঙ্গীত, মানবিক মূল্যবোধের বার্তা দেওয়া এই নাটকের নাম ‘ভুচু দ্য গ্রেট’। সাবেক বঙ্গসমাজের জীবন ধারায় একটা সময়ে ছিল পারস্পরিক সম্পর্ক, সম্পর্কের সেতু। রক্তের বন্ধন না থাকলেও একে অপরের মেলবন্ধন ছিল আমাদের সম্পদ। অনাত্মীয় হয়ে উঠতো পরম আত্নীয়। কবি শঙ্খ ঘোষের ভাষায় ‘সে ছিল এক দিন আমাদের…’। সেই দিনগুলোতে আমরা সত্যিই ছিলাম বেঁধে, বেঁধে। তারপর দিন গড়িয়েছে। আমরা আধুনিক হয়েছি। জীবন গতি পেয়েছে।
নাটকের মহলায় বেবী সরকার ও ইন্দ্রজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আজ আর মহালয়ার ৭ দিন আগে পাড়ার রেডিওর দোকানে লাইন পড়েনা, বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠ, ধূমায়িত চায়ের পেয়ালায় ওষ্ঠ ছুঁইয়ে পিতৃপক্ষের সূচনার চুঁইয়ে পড়া আনন্দ আজ প্রায় ইতিহাস। বীরেন্দ্র বাবুর কণ্ঠ এখন মোবাইলের রিংটোন। বিজয়ার প্রণাম থেকে বসন্তের পলাশ রাঙ্গা ফাগের উৎসব সবটাই আজ ভার্চুয়াল। অলস দুপুরে বাসনের ফেরিওয়ালা, রবিবারের সকালে শালপাতার চ্যাঙাড়িতে কচুরি, জিলিপি হারিয়ে গিয়েছে ফ্লিপ কার্ড, পিৎজার আগমনে। গান বাজনা রূপান্তরিত হয়েছে বাজনা গানে, কখনও বা সঙ্গীত হাঙ্গামায়। পুরাতনি গান আজও নতুন, অথচ নতুন গান পুরানো হওয়ার সময় পায়না, তার আগেই মিলিয়ে যায় কোথায়। আরণ্যক উপন্যাসে এক পাগলের কথা আমরা সবাই জানি, যে জঙ্গলে গাছ লাগাত, জঙ্গলটাকে আরো সুন্দর করার জন্য। এই নাট্যে এমন এক সৃষ্টিছাড়া আছে, জীবন যার কাছে নিখুঁত গণিত নয়। অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন:
একটি নাটকীয় দৃশ্যে বাঁ দিক থেকে শুভদীপ সাহারায়, জুঁই বাগচী, সৌহার্দ্য দে, সায়ন্তন রায়চৌধুরি ও দেবব্রত রায়।
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব-৩৪: বসুন্ধরা এবং…
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৩৪: কবি যখন শিক্ষক
পুজোয় শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার জন্য কলকাতায় চালু হল বিশেষ বাস পরিষেবা, কোন কোন রুটে চলবে?
শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে, জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
নাটকের একটি মজার দৃশ্যে বাঁদিক থেকে অভিজিৎ দে, এণা সেনগুপ্ত, সৌহার্দ্য রায় ও ইন্দ্রজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কিন্তু ভুচু দ্য গ্রেটের ভুচু? ভুচু বা ভুচুরা কি নীলকণ্ঠ হয়েই বেঁচে থাকবে? হৃদয় হীন এই পৃথিবীতে ওরাই কি হৃদয়ের কারবারি? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এবং ১৯ অক্টোবর যথাক্রমে গিরিশ মঞ্চ এবং আকাদেমি প্রেক্ষাগৃহে। এই নাটকে মঞ্চ প্রকল্পকের কাজ করেছেন বিলু দত্ত। আবহ নির্মাণ-অনিন্দ্য নন্দী, আবহ প্রক্ষেপণ: সব্যসাচী পাল। আলো: জয়ন্ত দাস, রূপসজ্জা: সঞ্জয় পাল। নাট্যরঙ্গের প্রাণপুরুষ, অসংখ্য মঞ্চ সফল নাট্যের পরিচালক স্বপন সেনগুপ্ত এই নাট্যের মূখ্য উপদেষ্টা। ওঁর অভিভাবকত্বে যৌথ পরিচালনা করছেন অভিজিৎ দে ও সায়ন্তন রায় চৌধুরি।