অপরাজিতা আঢ্য
ছোটপর্দা থেকে বড় পর্দা এখন সব জায়গাতেই একটি পরিচিত নাম অপরাজিতা আঢ্য। জি বাংলার একটি রিয়েলিটি শোতে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত থেকে অভিনয় জীবন সবকিছুই দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন অকপটে। বেশিরভাগ সময়ই তাঁর ভারী চেহারা নিয়ে তাঁকে ঠাট্টা ইয়ার্কি শুনতে হয়েছে। এরকম তিনি শুনেছেন কোন এক নায়কের মুখে যে, তাঁকে হয়তো এবার থেকে তাঁর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। সবকিছুতেই তিনি ছিলেন খুব স্বতঃস্ফূর্ত। তাই তিনি ওই অভিনেতার কথায় গুরুত্ব দেননি। ছোট থেকেই দস্যি ছিলেন অপরাজিতা। সবার তাঁকে ভয় পেত। তাঁদের বাড়িতে বছরে চারবার লক্ষ্মীপুজো হতো। পুজোর প্রসাদ বিলি করার দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। তিনি রাস্তা দিয়ে যখন পাড়ার কারোর বাড়িতে প্রসাদ বিলি করতে যেতেন তখন পছন্দের ফলগুলো কিন্তু ততক্ষণে তাঁর পেটে। এই প্রসাদের ভাগ থেকে বাদ যেত না মিষ্টিও। সাক্ষাৎকারটিতে এইরকমই নানান রকম আলোচনায় মশগুল হয়েছিলেন অপরাজিতা। অভিনয়ের জীবনের একেবারে শুরুতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন। তবে তার সঙ্গে সঙ্গে প্রযোজকের কাছ থেকে কু-প্রস্তাবও এসেছিল। তাই তখনই তিনি ঠিক করে নেন ছোটপর্দাতেই কাজ করবেন। কারণ ছোটপর্দা থেকে এরকম কোন ধরনের কুপ্রস্তাব কোনওদিনই তিনি পাননি। এখন ছবি তৈরি করতে এগিয়ে এসেছেন অনেক ছোট পর্দার পরিচালক এবং প্রযোজকেরা। ফলে তিনিও নানান স্বাদের ছবিতে একের পর এক অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন। ছবির গল্প যে দিকে এগিয়েছে তিনিও ঠিক সেই চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরেছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় পরিচালক নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘প্রাক্তন’ ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী ভূমিকায় মালিনীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি প্রসেনজিতের প্রাক্তন ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ওরফে সুদীপা। কিন্তু ঋতুপর্ণার থেকেও অপরাজিতার অভিনয় দর্শক এবং সমালোচকদের কাছে অনেক বেশি প্রশংসিত হয়েছিল। তবে এর পুরোকৃতিত্বটাই তিনি দিয়েছেন পরিচালকজুটিকে। অপরাজিতার স্বীকারোক্তি, ‘বেলা শেষে’ ছবিতে তিনি অভিনয় করতে চাননি। কিন্তু ছবির প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরির কথায় অবশেষে রাজি হন তিনি। অতনু রায়চৌধুরী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন ‘এই ছবি বক্স অফিসে ইতিহাস তৈরি করবে। অন্য মাত্রা পাবে তোমার অভিনয়’ বাকিটা অবশ্যই দর্শকদের মনের মনিকোঠায় স্থান পেয়েছে।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে