শনিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৪


ঐন্দ্রিলা শর্মা।

মঙ্গলবার রাতে আচমকাই শারীরিক অবস্থায় অবনতি শুরু হয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার। বমি করতে শুরু করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হঠাৎই ব্রেন স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে তাঁর। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করা হয়।
অভিনেত্রী আপাতত আইসিইউ-এ ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি। শেষ পাওয়া খবর, এখনও পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি নায়িকার। অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা জানান, ‘ভাগাড়’ সিরিজের পর নতুন ছবির কাজের জন্য তাঁর গোয়ায় যাওয়ার কথা ছিল,। কিন্তু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল সব কিছু। আচমকা স্ট্রোক হয়ে শেষ তিন দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অভিনেত্রী। শরীরের এক দিক অসাড়। রীতিমতো মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:

স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার শ্যামশরণ প্রয়াত, বয়স হয়েছিল ১০৬ বছর

ভোটার হতে আগামী বছর থেকে নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে দেশে, কী কী সুবিধা মিলবে ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

যে ছবির জন্য ঐন্দ্রিলার গোয়ায় যাওয়ার কথা ছিল, সেটা কি তাহলে স্থগিত হয়ে গেল? সূত্রের খবর, গোয়ায় ইতিমধ্যেই শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। ঐন্দ্রিলার চরিত্রে অন্য কোনও অভিনেত্রীকে দেখা যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিমের এক সদস্য জানিয়েছেন, সব কিছু অনেক দিন আগে থেকেই ঠিক ছিল। কিছু জন তো গোয়ায় পৌঁছেও গিয়েছিলেন। তাই ঐন্দ্রিলা আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুটিং বন্ধ করা বা অন্য কোনও উপায় বার করা সম্ভব ছিল না।
আরও পড়ুন:

জিমে যাওয়ার সময় নেই? সুস্থ থাকার জন্য হাঁটবেন নাকি দৌড়োবেন?

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৮: জৌলুসে শোভনীয়, রসনায় অতুলনীয় বরোলি যেন না হারায়!

তিনি আরও জানান, প্রতিটি ছবির নেপথ্যে শুধু নায়ক বা নায়িকা ছাড়াও আরও অনেক মানুষ যুক্ত থাকেন। ক্যামেরা থেকে লাইট, শুটিংয়ের খুঁটিনাটি সামলানোর জন্য বহু মানুষের প্রয়োজন হয়। আর সেই শুটিং যদি শহরের বাইরে হয়, তা হলে তো খরচও অনেকটা বেড়ে যায়। বলিউড বা হলিউড কিংবা দক্ষিণী ছবির ক্ষেত্রে প্রযোজক বা পরিচালকরা ছবি তৈরির ক্ষেত্রে যে বিলাসিতা দেখাতে পারেন, তা বাংলা ছবির পরিচালক বা প্রযোজকদের ভাবাও কঠিন। কারণ বাজেট এখানে পরিসীমিত। এতগুলো কারণকে মাথায় রেখেই ঐন্দ্রিলার অনুপস্থিতিতে নতুন নায়িকাকে নিয়েই গোয়ায় শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে এই নতুন ছবির।

Skip to content