আরও ১১২ জন টেট পরীক্ষার্থীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এই নিয়ে মোট ১৮৯ জন টেট পরীক্ষার্থীকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। এখানেই শেষ নয়, এই ১৮৯ জনকে পুজোর আগেই চাকরি দিতে হবে।
পর্ষদের ভুল প্রশ্নের জন্য টেট পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্য বাড়তি নম্বর এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের চাকরি চেয়ে নূর আলম নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেন। নূরের আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ১১২ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন পর্ষদকে। উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত সোমবার ২৩ জন এবং মঙ্গলবার ৫৪ জনকেও একেই ভাবে পুজর আগে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পর্ষদের ভুল প্রশ্নের জন্য টেট পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্য বাড়তি নম্বর এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের চাকরি চেয়ে নূর আলম নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেন। নূরের আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ১১২ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন পর্ষদকে। উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত সোমবার ২৩ জন এবং মঙ্গলবার ৫৪ জনকেও একেই ভাবে পুজর আগে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রাথমিক শিক্ষক পদে দুর্গাপুজোর আগে আরও ৫৪ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রশ্ন ভুল থাকায় আরও ৫৪ জন বাড়তি নম্বর পেয়েছেন। তাই এই ৫৪ জন চাকরি পাওয়ার যোগ্য বলে জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, ওই ৫৪ জন টেট উত্তীর্ণকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। সেই সঙ্গে জানান হয়েছে, ভবিষ্যতের জন্য থাকা শূন্যপদ থেকেই এঁদের নিয়োগ করতে হবে। এই নিয়ে মতো মোট ৭৭ জনকে দুর্গাপুজোর আগে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
বনলতা সমাদ্দার-সহ মোট ৫৪ জন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় যাঁরা উত্তর দিয়েছেন, হাইকোর্ট তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মতো এই ৫৪ জন পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়লেও তাঁদের এখনও নিয়োগ করা হয়নি। সমস্যার সমাধানে এই ৫৪ জন আদালতের দ্বারস্থ হন। বনলতাদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও সুদীপ্ত দাশগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘বাড়তি নম্বর পেলে ওই ৫৪ জন টেট উত্তীর্ণ হবেন। আর টেট উত্তীর্ণ হলে সবাইকে চাকরি দিতে হবে। কারণ, তখন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। ৫৪ জন মামলাকারীই প্রশিক্ষিত’’
বনলতা সমাদ্দার-সহ মোট ৫৪ জন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় যাঁরা উত্তর দিয়েছেন, হাইকোর্ট তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মতো এই ৫৪ জন পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়লেও তাঁদের এখনও নিয়োগ করা হয়নি। সমস্যার সমাধানে এই ৫৪ জন আদালতের দ্বারস্থ হন। বনলতাদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও সুদীপ্ত দাশগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘বাড়তি নম্বর পেলে ওই ৫৪ জন টেট উত্তীর্ণ হবেন। আর টেট উত্তীর্ণ হলে সবাইকে চাকরি দিতে হবে। কারণ, তখন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। ৫৪ জন মামলাকারীই প্রশিক্ষিত’’
আরও পড়ুন:
পুজোর আগে বাড়তি ভিড় সামালাতে সেপ্টেম্বরের শনি-রবিবার চলবে অতিরিক্ত মেট্রো
গৃহিণীদের মধ্যে বইয়ের নেশা বাড়াতে কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাধা, ‘চলমান পাঠাগার’ তাঁর পরিচয়!
এদিকে, গতকাল সোমবারও কলকাতা হাই কোর্ট ২৩ জন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীকে আগামী ২৩ দিনের মধ্যে শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাদের ভুল স্বীকার করার পরেও গাফিলতির জন্য এই ২৩ জন চাকরিপ্রার্থী টানা ছয় বছর ধরে বঞ্চনার শিকার হন বলে অভিযোগ! কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যদি কোনও শূন্যপদ না থাকে তাহলেও শূন্যপদ তৈরি করে ওই মামলাকারী ২৩ জনকে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে সময়ের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, ওই ২৩ জন চাকরিপ্রার্থী শেষ পর্যন্ত চাকরি পেলেন কি না তাও পরবর্তী শুনানিতে জানাতে হবে হাই কোর্টকে।
২০১৪-র টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন সোহম রায়চৌধুরী-সহ ২৩ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে তাঁদের ফল প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায় তাঁরা সবাই অসফল হয়েছেন। তাই ওই ২৩ জনই চাকরি পাননি। যদিও ওই ২৩ জন চাকরিপ্রার্থী দাবি করেন, প্রশ্নপত্রে মোট ছ’টি প্রশ্ন ভুল ছিল। তার জন্য তাঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, সেই সময় প্রশিক্ষিত নন এমন অনেকেই প্রাথমিকে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন। অন্য একটি প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলায় হাই কোর্ট বাড়তি নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়েছিল। আর সেই মামলার নির্দেশকে সামনে রেখে সোহম রায়চৌধুরী-সহ ২৩ জন পরীক্ষার্থীও মামলা করেন।
মামলাকারীদের ২০২০-র নভেম্বরে টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নের জন্য বাড়তি নম্বর দেওয়া সম্ভব কি না তা পর্ষদকে দেখতে বলে কলকাতা হাই কোর্ট। ২০২১-র ডিসেম্বরে ২৩ জন পরীক্ষার্থীকে বাড়তি ছয় নম্বর করে দেয় পর্ষদ। এর ফলে ২৩ জনই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। যদিও এখনও তাঁরা প্রাথমিকে শিক্ষক পদে চাকরি পাননি। মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতকে বলেন, যাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন, তাঁরা যদি চাকরি পান, তাহলে ওই ২৩ জন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কারণ, তাঁরা সবাই প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী।
২০১৪-র টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন সোহম রায়চৌধুরী-সহ ২৩ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে তাঁদের ফল প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায় তাঁরা সবাই অসফল হয়েছেন। তাই ওই ২৩ জনই চাকরি পাননি। যদিও ওই ২৩ জন চাকরিপ্রার্থী দাবি করেন, প্রশ্নপত্রে মোট ছ’টি প্রশ্ন ভুল ছিল। তার জন্য তাঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, সেই সময় প্রশিক্ষিত নন এমন অনেকেই প্রাথমিকে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন। অন্য একটি প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলায় হাই কোর্ট বাড়তি নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়েছিল। আর সেই মামলার নির্দেশকে সামনে রেখে সোহম রায়চৌধুরী-সহ ২৩ জন পরীক্ষার্থীও মামলা করেন।
মামলাকারীদের ২০২০-র নভেম্বরে টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নের জন্য বাড়তি নম্বর দেওয়া সম্ভব কি না তা পর্ষদকে দেখতে বলে কলকাতা হাই কোর্ট। ২০২১-র ডিসেম্বরে ২৩ জন পরীক্ষার্থীকে বাড়তি ছয় নম্বর করে দেয় পর্ষদ। এর ফলে ২৩ জনই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। যদিও এখনও তাঁরা প্রাথমিকে শিক্ষক পদে চাকরি পাননি। মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতকে বলেন, যাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন, তাঁরা যদি চাকরি পান, তাহলে ওই ২৩ জন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কারণ, তাঁরা সবাই প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী।
আরও পড়ুন:
টালার পর এবার চিৎপুর ব্রিজ! সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে শীঘ্রই
সরকারি কর্মীদের কোনও ডিএ বাকি নেই, পুজোয় অনুদান মামলায় হাই কোর্টকে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার
যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য, পর্ষদের ভুল হয়েছে। কিন্তু এখন শূন্যপদ নেই। তাই ওই ২৩ জনকে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। শূন্যপদ তৈরি হলে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। যদিও পর্ষদের এই যুক্তিকে আদালত গ্রাহ্য করেনি।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আর সময় দেওয়া যাবে না। দরকার হলে ভবিষ্যতের জন্য রাখা শূন্যপদ থেকেই এই ২৩ জনকে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আর সময় দেওয়া যাবে না। দরকার হলে ভবিষ্যতের জন্য রাখা শূন্যপদ থেকেই এই ২৩ জনকে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই।