বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


শিক্ষক দিবস মানে ছাত্রছাত্রীদের দিন। তোমরা বিদ্যা অর্জন করছ। বিকশিত হচ্ছ। হৃদয় ও মস্তিষ্কের ঐশ্বর্যে সমাজকে উন্নততর করছ। তোমাদের জন্যই আমাদের অন্তরের সবটুকু শুভেচ্ছা। তোমাদের মঙ্গল হোক এটাই আমাদের প্রার্থনা।
তোমাদের জন্য কিছু কথা আমাদের সব সময়ই বলতে ইচ্ছা করে। আমরা বলিও। আজকের সুন্দর সকালে আমাদের আশীর্বাদস্বরূপ কয়েকটি কথা বলি। নিজেকে খুব ভালোবাসবে। নিজের মূল্য যে, অসীম তা জানবে। নিজের বৌদ্ধিক, মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক বিকাশের জন্য সবরকম যত্ন নেবে। শিক্ষক বাবা-মা আর গুরুজনদের কাছ থেকে অনেক কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা রাখবে। তাঁরা অমূল্য রত্নে তোমাকে ভরিয়ে দেবেন। তাঁরা তোমাকে বিদ্যা অর্জনে সবরকম সাহায্য করবেন। মূল্যবোধ আর নীতিশিক্ষা দেবেন। উৎসাহ দেবেন, জীবন চেনাবেন। জীবিকার সন্ধান দেবেন। তাঁদের হাত ধরে চিনবে বন্ধুকে। জানতে পারবে কোনটি সঠিক পথ আর কোথায় তোমার গন্তব্য।
বই পড়বে। বাঁটুল থেকে বিরাট কোহলির অবদান। মহাকাশ থেকে মহাপুরুষের জীবনী। লিখবে, যা পার তাই। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ। গান ও আবৃত্তি করবে। ফুটবল খেলবে। সবই নিজের জন্য। সাধ্য মতো।
শরীরচর্চা করবে। তুমি বাস কর তোমার ভিতর। বাসস্থানটি যত্নে রাখবে। আনন্দে থাকবে। আনন্দে রাখবে। সবাইকে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। তোমার হাত ধরে কোনও মানুষ যেন ডাঙায় উঠে আসতে পারে। জলে ভেসে যেতে দেবে না কাউকে।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৩৩: রবীন্দ্রনাথের মাস্টারমশায়

উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজিতে পাশ, ‘আমব্রেলা গার্ল’ সুদীপ্তা এখন অনার্সের ছাত্রী

ছোটদের যত্নে: সুস্থ ও পরিপুষ্ট সন্তানের জন্য এগুলি মেনে চলছেন তো? সন্তানসম্ভবাদের জরুরি পরামর্শে শিশু বিশেষজ্ঞ

তোমার দেওয়া পঞ্চাশ টাকা কারও কাছে পাঁচশত টাকার সমান। তুমি একটি খাতা দিলে সে লিখতে পারবে একমাস। এ ভাবেই বড় হতে থাকো। মায়ের মুখ উজ্জ্বল কর। তুমি মানুষ হলেই তাঁর মাতৃত্ব সার্থক হয়। তোমার আনন্দ হলেই বাবার ক্লান্তি দূর হয়। তুমি ভালো শিক্ষার্থী হলেই শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের অর্জিত বিদ্যা সার্থক হয়।
সাফল্য না পেলে নিজেকে কখনও ব্যর্থ ভাববে না। সফল হওয়ার অনেক সুযোগ তোমার কাছে আসবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখাই জীবনের একমাত্র সৌন্দর্য। সবার জন্য ভালোবাসা। সবার জন্য অফুরন্ত শুভেচ্ছা। ভালো থেকো।

Skip to content