শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


টুম্পারানি মণ্ডল পড়ুয়া।

কলকাতা হাই কোর্টে যে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা চলছে প্রেক্ষিতে সমাজমাধ্যমে শিক্ষকদের একটি নামের তালিকা ভাইরাল হয়ে যায়। রবিবার সেই তালিকায় থাকা এক শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শিক্ষিকার নাম টুম্পারানি মণ্ডল পড়ুয়া (৩০)। তিনি বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন। নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠে কর্মরত ছিলেন টুম্পারানি। ওই শিক্ষিকা চণ্ডীপুর থানার সরিপুর গ্রামের ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। রবিবার সন্ধ্যায় নাগাদ ওই ভাড়াবাড়িতে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁকে উদ্ধার করে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন:

তাক লাগানো প্রযুক্তি, সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা দাম, এবার কাতার বিশ্বকাপে রেফারিদের ঘড়ির ফিচার জানলে চমকে যাবেন

সাবধান! শীতে ইমার্শন রড ব্যবহার করে জল গরমের সময় এই সব নিয়ম মানছেন তো?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের জানা গিয়েছে, নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। সেবারই টুম্পারানি চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালে নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠে বাংলার শিক্ষিকা পদে যোগ দেন। টুম্পারানির এক পরিচিত চণ্ডীপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর কথায়, কয়েক দিন আগে নবম-দশমের স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য যাচাই বিষয়ক একটি তালিকা সমাজমাধ্যমে আচমকা ভাইরাল হয়ে যায়। টুম্পারানির নাম সেই তালিকায় ছিল। এর পরে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তিনি শনিবারও স্কুলে যাননি। আর রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:

ছোটদের যত্নে: হঠাৎই জ্বর, মুখে-হাতে ঘা হচ্ছে শিশুদের! কষ্টকর হলেও ভয়ের কিছু নেই, জেনে নিন কোন রোগের উপসর্গ এগুলি

বাইরে দূরে: মোহনার দিকে…

চণ্ডীপুর থানার বুরুন্দা গ্রামে টুম্পারানি মণ্ডল পড়ুয়ার বাপের বাড়ি। ডিহি কাশিমপুর গ্রামের সুবীর পড়ুয়ার সঙ্গে ২০১৪ সালে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁরা সরিপুর গ্রামের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সুবীর চণ্ডীপুর বাজারে শনিবার বিকেল নাগাদ চা খেতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন টুম্পারানি। সুবীর বাড়ি ফিরে স্ত্রী ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি। এর পরে ঘরের মধ্যে টুম্পারানির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। চণ্ডীপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

Skip to content