এসএসসি দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। আদালতে এসএসসি দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআই-র দাবি, মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট, নিয়োগের সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শুনে বিচারপতি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, অপরাধে যুক্ত কাউকে বরদাস্ত করা হবে না।
গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত এক মামলায় সিবিআইয়ের সিটের নবনিযুক্ত প্রধান অশ্বিন শেনভিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই শুনানিতে উপস্থিত হয়ে অশ্বিন জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার পদের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। তাঁর দাবি অনুযায়ী, ওই ২১ হাজারের মধ্যে ৯ হাজারের বেশি উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) বিকৃত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১৪: আশা-নিরাশা ও ভরসার সে এক অন্য ‘মনের ময়ূর’
সোমবার বঙ্গোপসাগরের নীচে পুরীর কাছাকাছি ভূমিকম্প! কাঁপল ঢাকা-সহ বাংলাদেশের একটি বড় অংশ
আদালতে সিবিআইয়ের সিট প্রধান আরও জানান, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া এসএসসি-র হার্ড ডিস্কই এই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সাহায্য করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, মেধাতালিকায় গোলমাল রয়েছে বলেই প্রথমে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় দুর্নীতি অনেক বড় আকারের! এই সব নথি এসএসসি-কে দেখানো হয়েছে বলেও সিবিআই দাবি করে।
আরও পড়ুন:
আমার সেরা: গরমে বিকেলের টিফিনে চটপট তৈরি করে ফেলুন ডিমের কাবাব
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৪২: নিজেকে যিনি আড়ালে রেখেছিলেন
সিটের প্রধানের এমন দাবি শুনে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু উল্লেখ করেন, দুর্নীতিতে যুক্ত আছে এমন কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। এসএসসি-র উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘‘জল থেকে কাদা সরিয়ে জলকে স্বচ্ছ করুন।’’ যে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা শুধু ফলাফলের আশায় অপেক্ষা করছেন। তাঁরা জানতে চান না সিবিআই কী করল, স্কুল সার্ভিস কমিশন কী করল! যোগ্য প্রার্থীরা শুধু নিয়োগপত্র চান বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি বসু।