
প্রায় ৫৯০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন। তিনি তাঁর নির্দেশে বলেছেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার শিক্ষকের তথ্য দিয়ে সম্পূর্ণ নম্বর বিভাজন-সহ মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।
২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে দু’দফায় নিয়োগ হয়। ২০১৬ এবং ২০২০ সালে নিয়োগ হয়। দু’ দফা মিলে প্রায় ৫৯ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এবার সেই সব প্রাথমিক শিক্ষকের প্রাপ্ত নম্বরের বিস্তারিত-সহ মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে পর্ষদকে। এই শিক্ষকরা লিখিত ও মৌখিকে কত পেয়েছেন, তার বিস্তারিত থাকবে এই তালিকায়।
আরও পড়ুন:

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ১৮৫ জনকে সুপারিশপত্র দিল প্রাথমিক পর্ষদ

সাপের কামড়ে মৃত যুবককে বাঁচাতে খাল কেটে জলে ১৫ ঘণ্টা ফেলে রাখা হল, ওঝাকে খুঁজছে পুলিশ!
২০১৪ সালে টেটে আবেদন করেছিলেন প্রায় ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষায় বসেন ২১ লক্ষ। যাঁরা পাশ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকে নিয়োগ করা হয়েছিল ৫৯ হাজার জনকে। ২০১৪ সালের টেটের নিরিখে ২০১৬ সালে প্রায় ৪৩ হাজার জনের চাকরি হয়। পরবর্তী ধাপে ২০২০ সালে ১৬ হাজার ৫০০ জন নিয়োগ হয়। এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। নম্বর বেশি পেয়েও অনেকে শিক্ষকের চাকরি পাননি বলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার এই ৫৯০০০ নিয়োগের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।