শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান।

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ১৯৮৭ সালের মাধ্যমিক ব্যাচের ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত ‘উদ্যম’ গতকাল ২৩ জুলাই, রবিবার সন্ধে সাড়ে ছয়টায় নরেন্দ্রপুরের কৃতি ছাত্রদের সম্বর্ধনা প্রদানের জন্য একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
২০২৩-এ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ফল হয়েছে চোখ ধাঁধানো। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় ১২ জন এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৯ জন স্থান করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে জেইই মেন (JEE mains), ডব্লুবিজেইই (WBJEE), জেইই অ্যাডভান্সড (JEE advanced), নিট (NEET)-এর রেজাল্টেও ছাত্ররা পুরোনো ঐতিহ্য বজায় রেখেছে।
আরও পড়ুন:

ক্লাসরুম: উচ্চ মাধ্যমিকে দশের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া সহজ ছিল না, তবে মন বলছিল—আমি পারব

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩: আত্মারামে কুটো বাঁধা আছে

এই অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের কৃতিদের পাশাপাশি জেইই অ্যাডভান্স-এ সবচেয়ে ভালো ফল করা প্রথম তিনজন সায়ন সাহা, অর্ক ঘোষ ও অনীক পাঁজা, নিট-এ ভালো ফল করা সঙ্গীত কর্মকার, স্বস্তিক সামন্ত ও শুভায়ু মাজি ছাড়াও আইএসআই এন্ট্রান্স (ISI Entrance) এ ভালো র‍্যাঙ্ক করে সুযোগ পাওয়া কিরীট মৈত্র এবং সিএমআই (CMI)-এ সুযোগ পাওয়া শিবেন্দু নাথকে সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। সম্বর্ধনায় ছাত্রদের দেওয়া হয়েছে ৫০০০ টাকার একটি চেক স্কলারশিপ হিসাবে। ‘উদ্যমে’র পক্ষ থেকে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় নরেন্দ্রপুরের আরও দু’ জন ছাত্র বিজয় ঘোষ ও অঙ্কন বণিককে ২৫০০০ টাকা স্কলারশিপ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:

অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-২৯: প্রাণ ব্যাকুল হলে, ঈশ্বর দর্শন হবেই…

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৮: বাবা, ‘পিতা নোহসি’ বলো — এই কথাটি ঘুরেফিরেই কবির কানে বেজে উঠত

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজি মহারাজ, রামকৃষ্ণ মিশন সারদা মঠের সম্পাদক মহারাজ, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম নরেন্দ্রপুরের সম্পাদক স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দজি মহারাজ এবং নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইস্টেশানন্দ। এছাড়াও ‘উদ্যমে’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন গুণী সদস্যরা।
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-১৪: রাজনীতিতে নিজের উন্নতি করতে গেলে দেবগুরু বৃহস্পতির মতো মানুষের উপরেও বিশ্বাস করা অনুচিত

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-২০: অহল্যার শাপমুক্তি ও কিছু প্রশ্ন

সঙ্গীত, অসাধারণ ও অমূল্য বক্তৃতা, বিদ্যালয়ের এক কৃতি ছাত্রের নিজস্ব অভিজ্ঞতা আলোচনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল সর্বাঙ্গসুন্দর। সর্বোপরি উল্লেখ করতে হয় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ইংরাজি বিভাগের শিক্ষক জয়ন্ত দাসের পরিচালন দক্ষতা।

Skip to content