রবিবার ৬ অক্টোবর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর এক ধাপ এগোল সরকার। সব ঠিক ভাবে এগলে ২০২৪-এর শিক্ষাবর্ষ থেকেই ৪ বছরের স্নাতক পাঠক্রম রাজ্যে চালু হবে। রাজ্যের শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যে আগাম প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চলেছে। সোমবারই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। এতে যোগ দেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসও। বৈঠকের পরে বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা বলেন, বৈঠকে পরের শিক্ষাবর্ষ থেকে ৩ বছরের বদলে ৪ বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নয়া বিধি কার্যকর করার কথা বলা হলে অধ্যক্ষদের একাংশ পরিকাঠামোর অভাবের কথা বৈঠকে তুলে ধরেন। অনেকে আবার নতুন ব্যবস্থা চালুর আগে কিছু কর্মশালা আয়োজনের প্রস্তাব দেন। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় এ নিয়ে আশ্বাস মিলেছে। এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরও উদ্যোগী হয়েছে।
আরও পড়ুন:

শীঘ্রই কোউইন অ্যাপ থেকে বুকিং করা যাবে সিরামের টিকা কোভোভ্যাক্স, কত দাম?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩১: মরুভূমির উপল পারে বনতলের ‘হ্রদ’

রাজ্যের শিক্ষা দফতর জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি)-র প্রয়োগ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করে। ৬ সদস্যের এই কমিটির প্রধান করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে। এ ছাড়াও কমিটিতে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্মাল্য নারায়ণ চক্রবর্তী, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিকী দাশগুপ্ত এবং কাউন্সিলের যুগ্ম সম্পাদক (শিক্ষা) মৌমিতা ভট্টাচার্যকে।
আরও পড়ুন:

পর্দার আড়ালে, পর্ব-১৯: হিন্দি ‘মমতা’ ছবির শুটিংয়ে সুচিত্রা’র সংলাপ মুখস্ত করার ঘটনা ছিল অসাধারণ

হেলদি ডায়েট: আরও বেশি সুন্দর ও তরতাজা থাকতে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই এই নিয়মগুলো মেনে চলুন

ঠিক হয়, ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি ৪ সপ্তাহ পর উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ করার কথা রাজ্যের। তবে ওই কমিটির রিপোর্ট পেশ করার আগেই ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসতে চলেছে রাজ্য সরকার।

Skip to content