শনিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৪


কলকাতা হাই কোর্ট উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে আপাতত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু দু’দিনের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে হাই কোর্ট এও নির্দেশ দিয়েছে এসএসসি কোনও চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশপত্রও দিতে পারবে না।
উল্লেখ্য, রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু ২০১৭ সালের জুনে এসএসসি শুধু কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা নেয়। ইন্টারভিউ হয় ২০১৮ সালের মার্চে। এ বছর গত অক্টোবরে কর্মশিক্ষা এবং শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে অতিরিক্ত পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি।
এর পরেই সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) গত ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষা বিষয়ে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ প্রকাশ করেছে তা তাঁর নাম নেই। তিনি তফসিলি জাতিভুক্ত একজন চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে তিনি মোট ৭২ নম্বর পেয়েছেন। সোমা রায়ের অভিযোগ, তাঁকে ‘অ্যাকাডেমিক স্কোরে’ ২২-এর পরিবর্তে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে।
সোমা রায় হাই কোর্টে জানান, লিখিত পরীক্ষায় তিনি ৫৪ পেয়েছেন। অ্যাকাডেমিক স্কোরে পেয়েছিলেন ২২। তাঁর মোট প্রাপ্ত নম্বর হওয়ার কথা ৭৬। যদিও তাঁকে ৭২ নম্বর দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বরও র মধ্যে যোগ করা হয়নি বলে তিনি হাই কোর্টকে জানান।
আরও পড়ুন:

টেটে আবেদনের সময়সীমা বেড়ে গেল, আদালতে মামলার মধ্যেই ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

যে গান যায়নি ভোলা— প্রাক জন্মদিনে তাঁর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য…/১

চাকরিপ্রার্থী সোমা রায় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম জানান, এসএসসি-র তালিকায় ৬০ জন চাকরিপ্রার্থীর নাম রয়েছেন, যাঁদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর সোমা রায়ের থেকে কম। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ওই ৬০ জন চাকরিপ্রার্থীকে মামলায় সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ বলেছেন। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘‘প্রতিটি নাম ধরে ধরে দেখতে চাই, কী ভাবে নিয়োগ হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:

ষাট পেরিয়ে, পর্ব-১৫: এখন থেকেই যত্ন নিন কিডনির, গুরুত্ব দিন এ সব বিষয়ে

প্যান কার্ড হারিয়ে ফেলেছেন? চিন্তা নেই, মুহূর্তে অনলাইনেই পেতে পারেন হারানো কার্ড, জানুন পদ্ধতি

কমিশনের আইনজীবীর বক্তব্য, যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের ‘বিশেষ যোগ্যতা’ রয়েছে। অনেক ‘প্যারা টিচার’ও (পার্শ্বশিক্ষক) ওই তালিকায় রয়েছেন। সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তভে এই যুক্তিকে মান্যতা দেননি বিচারপতি বসু। এসএসসি-কে বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, ‘‘তাঁদের কী বিশেষ যোগ্যতা রয়েছে? ভৌমিক পদবি তফসিলি জাতিভুক্ত? চাকরিপ্রার্থীদের অহেতুক আপনারা হয়রানি করছেন।’’
তাঁর পরই হাই কোর্ট ৭৫০ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

Skip to content