অধ্যাপক লালন কুমার
করোনার জন্য দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ ছিল। অনেকেই অভিযোগের সুরে বলতেন প্রায় তিন বছর ছাত্র-ছাত্রীদের না পড়িয়েও শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন। শিক্ষকদের দিকে এই অভিযোগের মাঝে দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন অধ্যাপক লালন কুমার। লালন বিহারের মুজফফরপুরের নীতীশ্বর কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনি ৩৩ মাসের বেতনের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
অতিমারির কারণে প্রায় তিন বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ ছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের না পড়িয়েই শিক্ষকরা মাসের পর মাস বেতন পেয়েছেন। কিন্তু কোথাও যেন ‘বিবেকের দংশন’ হচ্ছিল সহকারী অধ্যাপক লালনের। যেমন ভাবা তেমন কাজ, ২ বছর ৯ মাসের বেতন ২৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন লালন। তিনি দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিন্দিতে স্নাতকোত্তর করেছেন। আর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল এবং পিএইচডি শেষ করেছেন। নীতীশ্বর ২০০৯ সালে কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? লালনের উত্তর, অতিমারির কারণে অনলাইনে ক্লাস চালু হলেও তাতে অংশ নিত খুব কম সংখ্যক পড়ুয়া। এমনকি শুধু হিন্দি বিভাগে ১১০০ পড়ুয়া থাকলেও তাঁদের উপস্থিতির সংখ্যা থাকত খুবই কম। তাই পড়িয়েও মাসের পর মাস বেতন নিতে বিবেকে বাধছিল। সেই জন্যই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩৩ মাসের বেতনের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার। যদিও এ প্রসঙ্গে নীতীশ্বর কলেজের অধ্যক্ষ জানান, পড়ুয়াদের অনুপস্থিতির কারণ নয়, স্নাতকোত্তর স্তরে বদলির জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে অধ্যাপকের এই মহানুভবতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিআর অম্বেডকর বিহার ইউনিভার্সিটির (বিআরএবিইউ) রেজিস্ট্রার। তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে নীতীশ্বর কলেজে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করব। পাশাপাশি পড়ুয়াদের অনুপস্থিতি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চাইব।
অতিমারির কারণে প্রায় তিন বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ ছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের না পড়িয়েই শিক্ষকরা মাসের পর মাস বেতন পেয়েছেন। কিন্তু কোথাও যেন ‘বিবেকের দংশন’ হচ্ছিল সহকারী অধ্যাপক লালনের। যেমন ভাবা তেমন কাজ, ২ বছর ৯ মাসের বেতন ২৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন লালন। তিনি দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিন্দিতে স্নাতকোত্তর করেছেন। আর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল এবং পিএইচডি শেষ করেছেন। নীতীশ্বর ২০০৯ সালে কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? লালনের উত্তর, অতিমারির কারণে অনলাইনে ক্লাস চালু হলেও তাতে অংশ নিত খুব কম সংখ্যক পড়ুয়া। এমনকি শুধু হিন্দি বিভাগে ১১০০ পড়ুয়া থাকলেও তাঁদের উপস্থিতির সংখ্যা থাকত খুবই কম। তাই পড়িয়েও মাসের পর মাস বেতন নিতে বিবেকে বাধছিল। সেই জন্যই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩৩ মাসের বেতনের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার। যদিও এ প্রসঙ্গে নীতীশ্বর কলেজের অধ্যক্ষ জানান, পড়ুয়াদের অনুপস্থিতির কারণ নয়, স্নাতকোত্তর স্তরে বদলির জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে অধ্যাপকের এই মহানুভবতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিআর অম্বেডকর বিহার ইউনিভার্সিটির (বিআরএবিইউ) রেজিস্ট্রার। তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে নীতীশ্বর কলেজে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করব। পাশাপাশি পড়ুয়াদের অনুপস্থিতি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চাইব।