সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

প্রাতরাশের জন্য একটি চমৎকার বিকল্প হল ওটস। এর কারণও রয়েছে! ওটসের পুষ্টিগুণ আপনাকে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। ওটস পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ব্রেকফাস্ট রেসিপি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, লবণ, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। খাদ্য তালিকায় ওটস থাকলে তা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। পাশাপাশি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে।
ওটস একটি গ্লুটেন-মুক্ত গোটা শস্য। তবে প্রতিদিন ওটস খাওয়ার বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।
 

প্রতিদিন ওটস না খাওয়ার ৫টি কারণ

 

গ্লুটেন সংবেদনশীলতা

ওটস প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন মুক্ত। তবে রোজ দিন খেলে কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। ওটস প্রক্রিয়াজাত করার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গম, বার্লি ইত্যাদির মতো কিছু গ্লুটেন যুক্ত উপাদান মেশানো হয়। সিলিয়াক ডিজিজ বা নন-সেলিয়াক গ্লুটেন ইনটলারেন্স রয়েছে এমন কারও ক্ষেত্রে এটি না খাওয়াই ভালো।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: ওষুধ খেয়েও পিসিওএস সারছে না? কিছু দিন এই সব খাবার খেয়ে দেখুন তো

পেটখারাপ হয়েছে মানেই উপোস নয়, এই সব খাবার খেতে পারেন নিশ্চিন্তে

 

পেট ফাঁপা

ওটসে থাকা ফাইবার উপাদান হজমে সাহায্য করে। কিন্তু ওটসের অত্যধিক ব্যবহার কোনও কোনও ক্ষেত্রে কারও কারও গ্যাস এবং পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে। কোনও ব্যক্তি যদি উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবারে অভ্যস্ত না হন, তবে তাঁর ক্ষেত্রে প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপার সমস্যা আরও বেশি করে দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন:

মুভি রিভিউ: বড়পর্দায় সোনাক্ষী-হুমার জোড়া ধামাকা ‘ডবল এক্সএল’

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৮: অভিভাবিকা মা সারদা

 

উচ্চ ফসফরাস যুক্ত

ওটসে তুলনামূলক ভাবে বেশি ফসফরাস থাকে। বেশি ফসফরাস যুক্ত খাবার কিডনি রোগে ভুগছেন এমনদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত ফসফরাস গ্রহণের ফলে খনিজ ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এমনকি, কিডনির স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যেতে পারে।
 

ফাইটিক অ্যাসিড

ওটসে ফাইটিক অ্যাসিড পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এই অ্যাসিড ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং জিঙ্কের মতো নির্দিষ্ট কিছু খনিজের শোষণকে বাধা দিতে পারে। ওটস ভেজানো বা গাঁজন তাদের ফাইটিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪০: স্বভাবে অনন্য সুন্দরবনের বাঘ

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮১: কবির ‘গানের ভাণ্ডারী’ দিনেন্দ্রনাথ বৈষয়িক-কারণে শান্তিনিকেতন ত্যাগ করেছিলেন

 

অ্যালার্জি

গমের মতো অন্যান্য শস্যের থেকে ওটসে অ্যালার্জি সম্ভাবনা তুলনামূলক ভাবে কম। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ওটস খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি দেখা দিলেও দিতে পারে। ত্বকে হালকা জ্বালা ভাব থেকে আরও গুরুতর অ্যালার্জি পর্যন্ত হতে পারে। তাই ডায়েটে ওটস যোগ করার আগে অ্যালার্জি সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content