ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
শীতে শরীর উষ্ণ রাখতে অনেকেই একটু বেশিই চা পান করেন। কেউ শুকনো গলা ভিজিয়ে চা খান তো কেউ আবার নেশার বশে। লিকার চায়ের থেকেও দুধ চায়ের স্বাদ বেশি পছন্দ আমজনতার। তেমনি আবার মশলা চাও খুব পছন্দের। চায়ের দোকানে এখন হরেকরকমের মশলা চা দেদার বিকোচ্ছে। অনেকের দুধ দিয়ে চা খেলে অ্যাসিডিটি হয়। সেক্ষেত্রে লিকার চায়ে বিভিন্ন উপাদান যেমন: তুলসী, আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, গোলমরিচ ইত্যাদি মিশিয়ে মশলা চা বানানো যেতেই পারে।
মশলা চা কতটা উপকারী
মশলা চায়ে যে মশলাগুলি ব্যবহৃত হয় যেমন: লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, তুলসী, আদা ইত্যাদি এগুলির পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও বিভিন্ন রকমের মিনারেল ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ফ্রি-রেডিক্যাল অপসারণ করে এবং শরীরে কোষের ক্ষতি হ্রাস করতে সাহায্য করে। অনেক সময় মুড সুইং হলে মন ভালো এবং তরতাজা রাখতে মশলা চায়ের জুড়ি মেলা ভার। সর্দি, কাশি এবং শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে মশলা চা খুবই ভালো। অনেকেরই মশলা চায়ে অতিরিক্ত চিনি দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাতে শরীরে উপকারিতার থেকে ক্ষতি হয় বেশি।
উপকরণ
তুলসীপাতা : ঘরোয়া পদ্ধতিতে তুলসীপাতা দিয়ে চা তৈরি করা যেতে পারে। তুলসীপাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তোলে। স্ট্রেস কমাতেও তুলসী চা খাওয়া যেতেই পারে। সর্দি, কাশিতে তুলসী চা খেলে আরাম পাওয়া যায়।
আদা : জলের মধ্যে আদার রস অথবা আদার ছোট ছোট কুচি দিয়ে ফোটালেই তৈরি হয়ে যায় আদা চা। আদাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম ও অন্যান্য মিনারেল থাকে যা আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বুস্ট করতে সাহায্য করে। মর্নিং সিকনেসে (morning sickness) আদা চা খাওয়া যেতে পারে তাতে বমি ভাব দূর হয়। বদহজম কমাতে, সর্দি, কাশি, গলার ইনফেকশনে আদা চা খাওয়া যেতে পারে।
লবঙ্গ : লবঙ্গের মধ্যে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে থাকে যা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। লবঙ্গের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ থাকে। দাঁতের মাড়ি ফোলা বা দাঁতের বিভিন্ন সমস্যায় লবঙ্গ চা ব্যবহার করা যেতে পারে। এই চায়ের সুবাসে মন মজে আপামর জনতার।
এলাচ : মশলা চায়ের আরেকটি উপাদান হল এলাচ। এলাচের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ডাইইউরেটিক প্রপাটিজ থাকে যা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে ডিপ্রেশনের জন্য এলাচ খুবই ভালো।
দারুচিনি : দারুচিনি দিয়েও তৈরি করা যেতে পারে মশলা চা। দারুচিনির নির্যাস চায়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে চা-কে আরও সুস্বাদু করে তোলে। দারুচিনিতেও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ইমিউনিটি বুস্ট করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের সমস্যায় দারুচিনি চা খুবই ভালো।
গোলমরিচ : গোলমরিচের উপকারিতা প্রচুর। গোলমরিচে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হজমের জন্য খুবই ভালো। চায়ের সঙ্গে গোলমরিচ মেশালে ঝাল লাগে ঠিকই কিন্তু শীতে গলা ব্যথা, সর্দি, কাশির উপশম হিসেবে খুবই কার্যকরী।
সবশেষে একটাই কথা বলার, কোনও জিনিস-ই অতিরিক্ত ভালো নয়। যাঁদের জলের রেস্ট্রিকশন আছে তাঁদের বারে বারে চা খাওয়া যাবে না। যাঁরা নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা মেনে চলছেন তাঁরা পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিয়ে মশলা চা খেতে পারেন।
যোগাযোগ: ৯৪৩৩৯৯১৭১৫
মশলা চায়ে যে মশলাগুলি ব্যবহৃত হয় যেমন: লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, তুলসী, আদা ইত্যাদি এগুলির পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও বিভিন্ন রকমের মিনারেল ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ফ্রি-রেডিক্যাল অপসারণ করে এবং শরীরে কোষের ক্ষতি হ্রাস করতে সাহায্য করে। অনেক সময় মুড সুইং হলে মন ভালো এবং তরতাজা রাখতে মশলা চায়ের জুড়ি মেলা ভার। সর্দি, কাশি এবং শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে মশলা চা খুবই ভালো। অনেকেরই মশলা চায়ে অতিরিক্ত চিনি দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাতে শরীরে উপকারিতার থেকে ক্ষতি হয় বেশি।
সবশেষে একটাই কথা বলার, কোনও জিনিস-ই অতিরিক্ত ভালো নয়। যাঁদের জলের রেস্ট্রিকশন আছে তাঁদের বারে বারে চা খাওয়া যাবে না। যাঁরা নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা মেনে চলছেন তাঁরা পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিয়ে মশলা চা খেতে পারেন।
যোগাযোগ: ৯৪৩৩৯৯১৭১৫