শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫


রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাতিলেবু খাওয়ার অভ্যাস করুন। ছবি: সংগৃহীত

শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা বছরের সব সময়েই পাতিল লেবু পাওয়া যায়। তবে গ্রীষ্মকালে পাতিলেবু খাওয়ার প্রচলন সবচেয়ে বেশি। এ সময় খাওয়া প্রয়োজনীয়ও। পাতিলেবু ভিটামিন-সি এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ভিটামিন-সি আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে শুরু করে ডিহাইড্রেশন দূর করতে, মুখের রুচি ফেরাতে এই পাতিলেবুর গুণাগুণ অপরিসীম। করানোর মতো অতিমারির সময় থেকে লেবু খাওয়ার প্রচলন আমাদের খাদ্য তালিকায় হয়ে এসেছে।
অন্যান্য ফলের চেয়ে লেবুতে ভিটামিন-সি এর পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তা ছাড়া ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামেও সমৃদ্ধ লেবু। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসের জোগান হিসেবে এবং ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে লেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
 

ত্বক ও চুল ভালো রাখতে

ত্বক ও চুল ভালো রাখার জন্য পাতিলেবুর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। চুলের গোড়া মজবুত করার পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল রাখে পাতিলেবু।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: খাদ্যতালিকায় তেঁতুল নেই! এ সব জানলে এমন ভুল আর নয়

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪১: মা সারদার অন্তরঙ্গ সেবক শরৎ মহারাজ

 

হজম শক্তি বাড়ায় ও পেট খারাপ প্রতিরোধ করে

পাতি লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকরিরিয়া ধ্বংস করে। তাই ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পাতিলেবুর রস খুব কাজে দেয়। এছাড়াও এতে উপস্থিত সাইট্রিক অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
 

হার্ট ভালো রাখতে

পাতিলেবু ধমনীতে ভালো রাখার পাশাপাশি এর কার্যকারিতা ঠিক রাখে। তাই রক্ত চলাচল ভালো হয়। আর যে কারণে হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা ভালো রাখতে পাতিলেবুর একটা পরোক্ষ উপকারিতা আছে।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৩: সুন্দরবনের পশ্চিমাংশে ম্যানগ্রোভ

ইতিহাস কথা কও: পূর্বোত্তরে ইতিহাস ঐতিহ্যে হাতি

 

লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স

লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবারগুলির মধ্যে পাতিলেবু অন্যতম। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের পক্ষে এই লেবু খাওয়া খুবই উপকারী।
 

ডিহাইড্রেশন দূর করতে

এই প্রচণ্ড গরমে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা খুব প্রয়োজন। তাই নুন-চিনি ও লেবু সহযোগে শরবত নিমেষে ক্লান্তি দূর করে মুখের স্বাদ ফেরায়। ডিহাইড্রেশনও দূর করে।

আরও পড়ুন:

মুভি রিভিউ: ভোটের বাজারে জমে যাবে ম্যাডাম চিফ মিনিস্টার

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৪: নোবেল পাওয়ায় বন্ধু দিয়েছিলেন লজ্জাবতীর চারা

 

কারা নিয়ন্ত্রণে খাবেন

গরমে পাতিলেবু খাওয়া খুবই ভালো। রোজ একটা করে পাতিলেবু খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাতিলেবু নিয়ন্ত্রণে খাওয়া উচিত। কিডনির অসুখের ক্ষেত্রে পাতিলেবু কম খেতে হবে। কিডনির অসুখ থাকলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লেবুতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় কিডনি রোগীদের অতিরিক্ত লেবু খেতে বারণ করা হয়।

ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের ক্ষেত্রেও লেবুর পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকলে ভালো। সরাসরি লেবু খাওয়ার অভ্যেস থাকলে এক সময়ে তা দাঁতের এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তা ছাড়া খিদের মুখে শুধু লেবুর রস পেটে গেলে লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে পাচক রসে থাকা অ্যাসিড মিলে পাকস্থলীর গাত্রের ক্ষতি করতে পারে, যার জেরে স্টমাক আলসারও হতে পারে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content